
লেখক ও অনুবাদক

অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক সারা জীবনে প্রায় কিছুই লিখলেন না। শিক্ষকতা করলেন, দাবা খেললেন আর গল্প করে গেলেন। অথচ লেখার মতো অনেক কিছু তাঁর ছিল। তাঁর শেষ না করা পিএইচডি থিসিস দেখলে তাতে সন্দেহ থাকে না। কিন্তু তিনি আর কিছু লিখলেন না।

রাশিয়াতে যখন ১৯১৭ সালে বিপ্লব ঘটল, তখন বহির্বিশ্ব তাৎক্ষণিকভাবে এর গভীরতা অনুধাবন করতে পারেনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক ডামাডোলের মধ্যে এটিকে অনেকেই আরেকটি সাধারণ ঘটনা হিসেবে গণ্য করেছিল। তবে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তির সংগ্রামে লিপ্ত দরিদ্র দেশগুলোর কাছে এই বিপ্লব এক নতুন দৃষ্টিকোণ এনে দেয়।

বহু বছর ধরে সারা বিশ্বের কাছে আমেরিকা মানেই পুঁজিবাদের চূড়ান্ত প্রতীক। এই দুনিয়া চলে ওয়াল স্ট্রিট, সিলিকন ভ্যালির ইশারাতে। ব্যক্তির ইচ্ছাই এখানে শেষ কথা। এখানে ‘সমাজতন্ত্রী’ শব্দটি আজও রাজনৈতিক আক্রমণ বা গালাগাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

জেন-জি বা ‘জেনারেশন জুমার্স’। অধুনা দুনিয়ায় বহুল আলোচিত একটি প্রজন্ম-পরিভাষা। জন্ম থেকেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সংস্পর্শে আসা এরা প্রথম প্রজন্ম। উন্নত দেশ হোক বা উন্নয়নশীল সমাজ, জেন-জিরা নানা উপায়ে নাড়িয়ে দিচ্ছে প্রচলিত শাসন, সংস্কৃতি ও চিন্তার কাঠামো। তাঁদের ভাষা, অভিব্যক্তি আর প্রতিক্রিয়া অনেক ক্ষেত্র

আজকের পেইড অ্যাক্টিভিজম আরও জটিল ও আন্তর্জাতিক। এখন আন্দোলন মানে এক দেশ থেকে আরেক দেশে প্রচার, পেশাদার সমন্বয়, মিডিয়া ক্যাম্পেইন, আইনি সহায়তা। গরিব বা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হাতে যখন নিজস্ব সম্পদ নেই, তখন দাতাদের অর্থে তাদের কণ্ঠ তুলে ধরা সম্ভব বলে মনে করেন অনেকে।

সম্প্রতি তামিলনাড়ুর করুরে থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে প্রায় ৪০ জন ভক্তের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় দক্ষিণ ভারতে তারকাখ্যাতি ও রাজনৈতিক সমাবেশের বিস্ফোরক শক্তি আবারও আলোচনায় এসেছে।

এই বছর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সময় প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে ছয় প্রভাবশালী রাজনীতিক নিউ ইয়র্কে উপস্থিত রয়েছেন। অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠকেও অংশ নেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কীভাবে সমাজ এক ধাপে ধাপে এমন সংকটে পৌঁছায়, যেখানে আর পুরনো ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। আমেরিকা কি এখন সেই ধরনের এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে? আমেরিকার কি তার শক্তির শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত পেরিয়ে গেছে? সে এখনো বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। কিন্তু এর মানে এই নয় যে চিরকাল এই অবস্থায় থাকব। ইতিহাসের প্রতিটি সা

আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের খোঁজে ১৯৪৭ থেকে বহুবার রক্ত দিয়েছে এই বাংলার মানুষ। আদর্শ ও কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দেখা কখনোই পায়নি। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও মানুষ গণতন্ত্রের জন্য পথ চেয়ে আছে। এই লেখায় খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে, বৈশ্বিক গণতন্ত্রের বর্তমান পরিস্তিত

আজ কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুদিন। বিদ্রোহী এই কবিকে পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশের মানুষেরা কেন আপন করে নিয়েছিল, তার পেছনে রয়েছে সমাজতাত্ত্বিক ও মনস্তত্ত্বিক কারণ। কবির প্রয়াণ দিবসে তার সুলুক-সন্ধান।

২০২৫ সালের আগস্টে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি ও আশেপাশের এলাকা থেকে সব পথকুকুর সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। আদেশটি দুই সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর করতে বলা হয়েছিল। এই আদেশই জন্ম দেয় ‘কুকুর বাঁচাও’ আন্দোলনের।

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট। উপমহাদেশের অনেক মানুষের চোখে ঘুম ছিল না সেই রাতে। এমন রাত তাঁদের জীবনে আগে কখনো আসেনি। তাঁরা জানত না রাতের আঁধারে কেমন সকাল তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে। সাতচল্লিশের সেই দেশভাগ বা পার্টিশনের প্রভাব এখনো বহন করে চলেছি আমরা। একে কোনো একরৈখিক বয়ানে বেঁধে ফেলা দুষ্কর।

যিনি যত বড় নেতা, তাঁর গাড়ি তত আগে হাসপাতালের গেটে! তাঁর অনুসারী তত বেশি অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখে! তাঁর ফেসবুক পেজে তত দ্রুত পোস্ট!