leadT1ad

ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে ‘বৈষম্য’, জাবি শিক্ষকের প্রতিবাদ

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মৃধা মো. শিবলী নোমান। সংগৃহীত ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিফটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে বৈষম্য সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান। এর প্রতিবাদে তিনি এ বছর পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন না।

জাবির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে রোববার (২১ ডিসেম্বর)। এ দিন ছয়টি আলাদা শিফটে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। গতকাল সোমবার ‘ই’ ইউনিটে দুই শিফটে ও ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা তিন শিফটে নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার এক শিফটে ‘সি-১’ ইউনিট এবং ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা চার শিফটে হয়। আগামীকাল আরও পাঁচ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি শিফটে ভিন্ন প্রশ্ন থাকায় বৈষম্যের শিকার হন ভর্তিচ্ছুরা। কারণ, সব প্রশ্নের মান একরকম রাখা সম্ভব হয় না। এতে ফলাফলে দেখা যায়, কোনো শিফট থেকে অনেক বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন, আবার অন্য শিফটে কম সুযোগ পাচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর শিফটভিত্তিক আলাদা আসন সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। তবে এক্ষেত্রেও সমতা নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ, আসন নির্ধারিত থাকায় কিছু শিক্ষার্থী অন্য শিফটের পরীক্ষার্থীদের তুলনায় বেশি নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ পান না।

এ বিষয়ে শিক্ষক শিবলী নোমান বলেন, ‘শিফট বৈষম্যের ভিত্তিতেই আমরা আবারও পরীক্ষাটা নিচ্ছি। অথচ আমরা শুনেছিলাম, গতবারই শেষ। এবার পদ্ধতিটি আলাদা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা হয়নি। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও হয়রানি হয়। গত বছর আমাদের পরিকল্পনাগত ত্রুটি ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রথম দিনেই বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। সেই ঘটনার পরই আমার মনে হয়েছিল, এই পদ্ধতির সঙ্গে না থাকার সময় চলে এসেছে।’

এ ব্যাপারে ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদের সভাপতি অদ্রি অংকুর স্ট্রিমকে বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা দেখি, একেক শিফটে একেক রকম প্রশ্ন হয় এবং প্রতি শিফট থেকে আলাদা মেরিট অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। এখানে প্রতি শিফটের প্রশ্নের মান যেহেতু ভিন্ন হয়, সেক্ষেত্রে অনেক সময় কঠিন প্রশ্নে তুলনামূলক ভালো পরীক্ষা দিয়েও অনেকে সুযোগ পান না। আবার সহজ প্রশ্নে অনেক সময় তুলনামূলক কম ভালো পরীক্ষা দিয়েও অনেকে ভর্তির সুযোগ পান। ফলে এই পদ্ধতি আদতে খুব ভালো ফল বয়ে আনছে না। অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা নিতে হবে। প্রয়োজনে বিভাগীয় শহরগুলোতে একই প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি এবং এই বৈষম্যমূলক পরীক্ষা পদ্ধতির অবসান ঘটাতে হবে।’

জাবির কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা স্ট্রিমকে বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিফট পদ্ধতি বাতিল করে বাইরে (বিভাগীয় শহরে) পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও পরীক্ষা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী বছর এই পদ্ধতি বাতিল করে একদিনেই পরীক্ষা শেষ করতে জানুয়ারি থেকেই প্রস্তুতি শুরু হবে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত