leadT1ad

আল-জাজিরা/বাংলাদেশের সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে

১৭ বছর প্রবাসে থাকার পর বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রাজপুত্র’ তারেক রহমান ঢাকায় ফিরেছেন। এখন প্রশ্ন—তিনি কি বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন?

আল-জাজিরা এক্সপ্লেইনার
আল-জাজিরা এক্সপ্লেইনার
ঢাকা

আল-জাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, এপি, এএফপি ও ওয়াশিংটন টাইমস সহ বেশিরভাগ প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে তারেক রহমানকে বাংলাদেশের সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। স্ট্রিম গ্রাফিক

১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা তারেক রহমান বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরে এসেছেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর ও আশপাশে লাখো নেতাকর্মী জড়ো হন। দেশে-বিদেশে তিনি বাংলাদেশের সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার তারেক রহমান ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমান থেকে নেমেই তিনি খালি পায়ে দেশের মাটিতে দাঁড়ান। এই দৃশ্য ছিল প্রতীকী এবং ইঙ্গিতবহ। তাঁর সমর্থকদের কাছে এটি ছিল আবেগ ও প্রত্যাবর্তনের বার্তা। এর মধ্য দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী ও নেতৃত্বের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে।

তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ঘটল। ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে হওয়া গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এই সরকার আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে।

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বিএনপির জন্য বড় ধরনের প্রেরণা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন নেতৃত্বশূন্যতা ও চাপে থাকা দলটির নেতাকর্মীরা এতে নতুন উদ্দীপনা পেয়েছেন। একই সঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থানও আরও দৃশ্যমান হয়েছে।

এদিকে তারেক রহমানের মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি ২৩ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিএনপির কার্যত নেতৃত্ব তারেক রহমানের হাতেই রয়েছে। দেশের বৃহত্তম এই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে অদূর ভবিষ্যতে রাষ্ট্রক্ষমতায় তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

তারেক রহমান কে

তারেক রহমানের বয়স ৬০ বছর। তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন।

২০০৮ সাল থেকে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করে আসছিলেন। ২০১৮ সালে তাঁর মা কারাবন্দী ও অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় থেকেই তিনি দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মেয়াদের সরকার আমলে তারেক রহমান জাতীয় রাজনীতিতে বড় একটি নাম হয়ে ওঠেন। তবে সে সময় থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগ ওঠে। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের শুরু পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসব অভিযোগ তদন্ত করে।

২০০৭ সালের মার্চ মাসে গভীর রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঢাকায় তাঁর বাসভবনে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। কয়েক মাস পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান এবং দীর্ঘ ১৭ বছর আর দেশে ফেরেননি।

তারেক রহমান ও বিএনপি বরাবরই বলে এসেছে, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে তাঁর দুর্নীতির দুর্নাম শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ২০১১ সালে উইকিলিকস প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক নথিতে তাঁর নাম উঠে আসে।

সেই নথিতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিক জেমস এফ মোরিয়ার্টি তাঁকে ‘লুটতরাজমূলক শাসন ও সহিংস রাজনীতির প্রতীক’ বলে উল্লেখ করেন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর প্রবেশ ঠেকানোর সুপারিশও করা হয়েছিল।

পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থপাচার, জালিয়াতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে সাজার রায় দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলাও ছিল। ওই হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হন।

তবে ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যায়। শেখ হাসিনার পতনের পর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা বেশির ভাগ মামলা ও দণ্ডাদেশ স্থগিত বা বাতিল করা হয়। এর ফলে তাঁর দেশে ফেরার আইনি বাধা দূর হয়।

ঢাকায় ফেরার দিন এক সমাবেশে ভাষণ দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ২০২৪ সালে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একসঙ্গে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। তিনি এই ঘটনাকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন। একই সঙ্গে তিনি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, এখন সময় এসেছে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়ার। তিনি একটি নিরাপদ বাংলাদেশের আহ্বান জানান। তাঁর ভাষায়, নারী, পুরুষ বা শিশু—যেই হোক না কেন, সবাই যেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারে এবং নিরাপদে ফিরে আসতে পারে।

কেন নির্বাসনে ছিলেন তারেক রহমান

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে দুটি রাজনৈতিক পরিবারের আধিপত্য দেখা যায়। ১৯৯১ সালের পর থেকে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা পালাক্রমে রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকেছেন। মাঝে কিছু সময় ছাড়া প্রায় তিন দশক ধরে এই দুই নেত্রীর হাতেই দেশের শাসনভার ঘুরেছে।

শেখ হাসিনা রাজনীতিতে আসেন তাঁর বাবা শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর। শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি। ১৯৭৫ সালের আগস্টে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নিহত হন। অন্যদিকে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে উঠে আসেন তাঁর স্বামী জিয়াউর রহমান হত্যার পর। জিয়াউর রহমান ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি। ১৯৮১ সালের মে মাসে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন।

দুই দলের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দীর্ঘদিনের। আশির দশকের শেষ দিকে স্বল্প সময়ের জন্য তারা একসঙ্গে সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। তবে এরপর আবারও বৈরিতা গভীর হয়।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনা দীর্ঘ বিরতির পর ক্ষমতায় ফেরেন। এরপর শুরু হয় তাঁর টানা দীর্ঘ শাসনকাল। এই সময় বিএনপি বিরোধী দলে পড়ে যায়। দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার, মামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।

তারেক রহমান এর আগেই, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যে চলে যান। ২০০৭-২০০৮ সালের জরুরি অবস্থার সময় তিনি প্রায় ১৮ মাস আটক ছিলেন। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। এরপর আর দেশে ফেরেননি। সেই সময় থেকেই কার্যত তাঁর প্রবাসজীবন শুরু হয়।

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের তাৎপর্য

দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর শেখ হাসিনা গত বছর বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। ছাত্রদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া এক গণ-আন্দোলন তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ছড়িয়ে পড়ে। শুরুতে আন্দোলনটি সরকারি চাকরিতে কোটা নীতির বিরোধিতা দিয়ে শুরু হলেও পরে তা তাঁর শাসনের অবসানের দাবিতে রূপ নেয়।

নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর দমন-পীড়নের মধ্যেই আন্দোলন তীব্র হয়। জাতিসংঘের হিসাবে, এই সময়ে প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হন। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনে ব্যাপক দমননীতি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিরোধী রাজনীতিক ও সমালোচকদের গ্রেপ্তার, হত্যা, নির্যাতন ও গুমের ঘটনাও আলোচনায় আসে।

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলো নিয়েও ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে। এসব নির্বাচনে শেখ হাসিনা বড় ব্যবধানে জয় পেলেও সেগুলোকে অনেকেই অবাধ ও সুষ্ঠু মনে করেননি।

শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আন্দোলনকারীরা তাঁর সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে। এর আগেই তিনি হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।

এরপর গত মাসে একটি ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ছাত্র আন্দোলন দমনের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে এই রায় হয়। একই সঙ্গে তাঁর দল আওয়ামী লীগকে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের ফেরা বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস গত জুনে লন্ডন সফরে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

তারেক রহমান এমন এক সময়ে দেশে ফিরলেন, যখন তাঁর মা খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, বিএনপি সেই জায়গা দখলের চেষ্টা করছে। দলটি এখন নিজেকে আরও ধর্মনিরপেক্ষ, উদার ও মধ্যপন্থী হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। এ কারণেই তারা দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন ড্যানিলোভিজ মনে করেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন নির্বাচন প্রস্তুতির ‘শেষ ধাপ’। আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দিলে তারেক রহমান গত ১৭ বছরে দেশে কী পরিবর্তন এসেছে, তা কাছ থেকে বুঝতে পারবেন। একই সঙ্গে জনগণও দেখতে পাবে, এই সময়ে তিনি নিজে কতটা বদলেছেন।

আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছে। প্রায় দুই দশক পর দলটি আবার ক্ষমতায় ফিরতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ডিসেম্বরে করা এক জরিপে জানিয়েছে, বিএনপির প্রতি সমর্থন ৩০ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, তাদের সমর্থন ২৬ শতাংশ। বাংলাদেশে ‘ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট’ পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়। তাই বহু দল অংশ নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পেলেও জয় সম্ভব।

ছাত্র আন্দোলনের একাংশ নিয়ে গঠিত ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি এখনো সংগঠন ও অর্থের অভাবে দুর্বল অবস্থায় আছে। জরিপ অনুযায়ী, তাদের সমর্থন মাত্র ৬ শতাংশ।

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় বিএনপির জন্য পরিস্থিতি আরও অনুকূল হয়ে উঠেছে। মুহাম্মদ ইউনূস-পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ক্ষমতার দৌড়ে তারেক রহমানের দল অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।

জন ড্যানিলোভিজ বলেন, এই নির্বাচন বিএনপির হারার চেয়ে জেতার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁর মতে, গত ১৭ বছরে দমন-পীড়নের মধ্যেও দলটি টিকে থাকার সক্ষমতা দেখিয়েছে।

তবে তারেক রহমানের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তাঁকে তাঁর প্রবাসজীবনে সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ অনুসারীদের সঙ্গে দেশে থাকা বড় দলীয় কাঠামোর সমন্বয় ঘটাতে হবে। এই দলীয় কাঠামো মূলত তাঁর মা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল। এই দুই ধারাকে একসঙ্গে কাজ করানোই তাঁর জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত