leadT1ad

প্রথমবার ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা: যুদ্ধ কি আসন্ন

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২১
২৯শে ডিসেম্বর ভেনেজুয়েলার সাথে উত্তেজনার মধ্যে পুয়ের্তো রিকোর আগুয়াডিলার রাফায়েল হার্নান্দেজ বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি এমসি-১৩০ হারকিউলিস বিমান ট্যাক্সি। সেখানে মার্কিন সামরিক বাহিনী মোতায়েন অব্যাহত রয়েছে। ছবি: এএফপি।

ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টি ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের সামরিক তৎপরতার একটি বড় ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ পদক্ষেপ। এর আগে এমন স্থল হামলা হয়নি।

সোমবার ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এই হামলার কথা জানান। ওই সময় তাঁর পাশে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ট্রাম্পের দাবি, যে স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে মাদক বহনের জন্য নৌযান প্রস্তুত করা হতো। তিনি বলেন, ওই ঘাটে নৌযানগুলোতে মাদক তোলা হচ্ছিল।

তবে ভেনেজুয়েলা কর্তৃপক্ষ এখনো এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি এবং কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ট্রাম্প বলেন, মাদক বোঝাই নৌযান যেখানে প্রস্তুত করা হচ্ছিল, সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। তিনি দাবি করেন, প্রথমে নৌযানগুলোতে হামলা চালানো হয়। পরে সেই এলাকা লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়।

হামলা কে চালিয়েছে বা ঠিক কোথায় তা হয়েছে, এই বিষয়ে ট্রাম্প স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তিনি শুধু বলেন, এটি উপকূলীয় এলাকায় ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গণমাধ্যম দাবি করেছে, এই হামলা সিআইএ পরিচালনা করেছে।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আরেকটি হামলার কথা জানায়। তারা বলে, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌযানে হামলা চালানো হয়েছে। এতে আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। তবে হামলার নির্দিষ্ট স্থান জানানো হয়নি।

উত্তেজনা বাড়ছে

গত সেপ্টেম্বর থেকে ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা দ্রুত বেড়েছে। ওই সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে ভেনেজুয়েলার নৌযানে একাধিক হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্র সরকার দাবি করে, এসব নৌযান মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত।

এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র দুই ডজনের বেশি নৌযানে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো মাদক পাচারের কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব ট্যাংকার নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত তেল বহন করছিল। একই সঙ্গে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে এসব ট্যাংকারের বিরুদ্ধে নৌ অবরোধ জারি করা হয়েছে।

ভেনেজুয়েলা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার মাদক পাচারের অভিযোগকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদের লক্ষ্য ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তন ঘটানো। এতে এসব অভিযানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের আশঙ্কাও বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এসব অভিযানের জন্য মাদুরো সরকারকে দায়ী করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।

তবে এসব হামলার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র কোনো প্রমাণ বা আইনি ব্যাখ্যা দেয়নি। এতে সমালোচকদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের আসল লক্ষ্য হলো অঞ্চলের তেলসম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তন ঘটানো।

এই হামলাগুলোর সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশকের মধ্যে অঞ্চলে সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং প্রায় ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন।

ভেনেজুয়েলা সরকার মাদক পাচারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত বলে উল্লেখ করেছে।

কারাকাসের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র মাদক ইস্যুকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে। এর উদ্দেশ্য সরকার পরিবর্তন এবং ভেনেজুয়েলার তেলসম্পদ দখল করা।

যুদ্ধ কি আসন্ন?

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরাও যুক্তরাষ্ট্রের আংশিক নৌ অবরোধের নিন্দা জানিয়েছেন। তারা একে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে অবৈধ সশস্ত্র আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে তারা মার্কিন কংগ্রেসকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।

এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে, এই হামলা কি যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে আসন্ন যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে?

কারাকাসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওরিনোকো রিসার্চের বিশ্লেষক এলিয়াস ফেরের বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে থাকে, তবে তা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তবে যদি মাদুরো সরকারের পূর্বানুমতি নিয়ে এই হামলা হয়ে থাকে, তাহলে বিষয়টি ভিন্ন হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প ও মাদুরোর মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ফেরেরের মতে, এই ঘটনার ফলে পরিস্থিতি হয় আরও উত্তপ্ত হতে পারে, নয়তো উল্টোভাবে কিছুটা শান্তও হতে পারে। তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলার ক্ষেত্রে উত্তেজনা কমানোর আগে ট্রাম্প একটি “জয়” দেখাতে চান। কথিত মাদক সংশ্লিষ্ট একটি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করাকে তিনি সেই বিজয় হিসেবে তুলে ধরতে পারেন।

তিনি উদাহরণ হিসেবে ইরান–ইসরায়েল সংঘাতের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে বোমা হামলার কথা উল্লেখ করেন। ওই ঘটনার পর ইরান কাতারে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে হামলা চালায়। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে, যদি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে কোনো সমঝোতা ছাড়াই এই হামলা হয়ে থাকে, তাহলে এটি একটি গুরুতর উত্তেজনাকর পদক্ষেপ বলে মনে করেন টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাতিন আমেরিকা–বিষয়ক অধ্যাপক অ্যালান ম্যাকফারসন।

তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে এটি প্রথম সরাসরি হামলা। তাই এটি অপ্রয়োজনীয় এবং ইচ্ছাকৃত যুদ্ধের সব লক্ষণ বহন করে। তাঁর মতে, রাজনৈতিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের মূল লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করা।

ম্যাকফারসন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মাদক ব্যবসায় আঘাত হানতে চাইতে পারে। তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য হলো তেল খাতের রাষ্ট্রীয়করণ উল্টে দিয়ে মার্কিন কোম্পানিগুলোর স্বার্থ নিশ্চিত করা।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের মূল কারণ কি তেল?

সাম্প্রতিক সময়ে হোয়াইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য নতুন প্রশ্ন তুলেছে। অনেকের মতে, ভেনেজুয়েলার বিপুল তেলসম্পদই কি ওয়াশিংটন ও কারাকাসের উত্তেজনার প্রকৃত কারণ। মাদক পাচার কি শুধু অজুহাত—এই প্রশ্নও উঠছে।

ভেনেজুয়েলার প্রমাণিত তেল মজুত বিশ্বের সবচেয়ে বড়। একসময় যুক্তরাষ্ট্র এই তেলক্ষেত্র উন্নয়নে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে অংশীদার ছিল। ১৯৬০ সালে ভেনেজুয়েলা ওপেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়। ১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ গঠনের মাধ্যমে সব বিদেশি তেল কোম্পানিকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর দেশটি বড় তেল রপ্তানিকারকে পরিণত হয়।

১৯৯০–এর দশকের শেষ ভাগ ও ২০০০–এর শুরুর দিকে ভেনেজুয়েলা প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ ব্যারেল তেল যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করত। সে সময় দেশটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় বিদেশি তেল সরবরাহকারী। তবে ১৯৯৮ সালে হুগো শাভেজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই চিত্র বদলাতে থাকে।

শাভেজ তেল খাতের কাঠামো আমূল পরিবর্তন করেন। তিনি বিভিন্ন সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেন। পিডিভিএসএ পুনর্গঠন করেন। রপ্তানির বদলে দেশীয় ও রাজনৈতিক লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তেল রপ্তানি দ্রুত কমে যায়।

হুগো শাভেজের উত্তরসূরি নিকোলাস মাদুরোর ২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ২০১৯ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রে তেল বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারেও ভেনেজুয়েলার প্রবেশাধিকার সীমিত হয়। তেল রপ্তানি আরও হ্রাস পায়।

এ মাসের শুরুতে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহকারী স্টিফেন মিলার বলেন, ভেনেজুয়েলার তেল আসলে ওয়াশিংটনের সম্পদ। তিনি তেল খাতের রাষ্ট্রীয়করণকে ‘চুরি’বলে অভিহিত করেন। তাঁর দাবি, মার্কিন শ্রম, দক্ষতা ও উদ্ভাবন দিয়েই ভেনেজুয়েলার তেল শিল্প গড়ে উঠেছে।

তবে আন্তর্জাতিক আইন ভেনেজুয়েলার নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর দেশটির সার্বভৌম অধিকার স্বীকার করে। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো তেল খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছিল।

ট্রাম্পকে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখতে কি কংগ্রেস হস্তক্ষেপ করতে পারে?

যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক ক্ষমতা ভাগাভাগি করে রাখা। সংবিধান অনুযায়ী যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে। তবে সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯৪২ সালে।

এর অর্থ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘ যুদ্ধগুলো কংগ্রেসের ঘোষণাবিহীন অবস্থায় হয়েছে। সংবিধান প্রেসিডেন্টকে ঘোষিত যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। একই সঙ্গে হামলা বা আসন্ন হুমকির জবাবে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতাও প্রেসিডেন্টের হাতে থাকে।

এই ক্ষমতার ব্যাখ্যা দিয়েই কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন দেশে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। ১৯৭৪ সালের ওয়ার পাওয়ার্স রেজল্যুশন এই ক্ষমতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে প্রণীত হয়। এতে কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া সেনা মোতায়েনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। আরও কিছু শর্তও আরোপ করা হয়।

তবে বাস্তবে এই আইনের প্রয়োগ দুর্বল। নির্বাহী বিভাগ কোন ক্ষেত্রে অনুমোদন প্রয়োজন এবং বিদ্যমান সামরিক অনুমোদনের আওতায় কী করা যায়—এসব বিষয়ে বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিয়েছে। এতে প্রেসিডেন্ট কার্যত বড় ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে চলেছেন।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ ঠেকাতে কংগ্রেসের সদস্যরা একাধিকবার চেষ্টা করেছেন। চলতি মাসের শুরুতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের কয়েকজন সদস্য একটি প্রস্তাব ভোটে তোলেন। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার কথা ছিল।

তবে রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে প্রস্তাবটি অল্প ব্যবধানে বাতিল হয়ে যায়। ভোটের ফল ছিল ২১৬ বনাম ২১০।

লাতিন আমেরিকা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যালান ম্যাকফারসনের মতে, কংগ্রেস চাইলে যুদ্ধ ঘোষণা না করতেও পারে। তারা প্রেসিডেন্টকে বলপ্রয়োগের কোনো অনুমোদন নাও দিতে পারে। এমনকি নির্দিষ্ট সামরিক খাতে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করার ক্ষমতাও কংগ্রেসের রয়েছে।

তবে ম্যাকফারসনের আশঙ্কা, নির্বাহী বিভাগ এসব সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করতে পারে। তাঁর মতে, বর্তমান রিপাবলিকান-প্রধান কংগ্রেস থেকে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম।

Ad 300x250

সম্পর্কিত