স্ট্রিম ডেস্ক

২০১১ সালে সিরিয়ার একটি স্কুল প্রাঙ্গণের দেয়ালে কয়েকজন কিশোর একটি বার্তা লিখেছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘এবার তোমার পালা, ডাক্তার।’ এই লেখাটি ছিল একটি পরোক্ষ হুমকি। এতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে, লন্ডনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চক্ষু চিকিৎসক এবং তৎকালীন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদও আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত শাসকদের তালিকায় যুক্ত হতে পারেন।
এই ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব হতে সময় লাগে প্রায় ১৪ বছর। এই সময়ে প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিহত হন। বাস্তুচ্যুত হন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। শেষ পর্যন্ত বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি গভীর রাতে সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ার মস্কোতে পালিয়ে যান।
ক্ষমতা হারানোর পর বাশার আল-আসাদ মস্কোয় বিলাসবহুল নির্বাসিত জীবন শুরু করেন। তবে একই সঙ্গে তিনি আবার তার পুরোনো পেশার দিকে ফিরছেন বলে জানা গেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যের শেষ বাথ পার্টি শাসনের এই সাবেক নেতা এখন আবার চক্ষুবিদ্যার পাঠ নিচ্ছেন।
আসাদ পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, বাশার বর্তমানে রুশ ভাষা শিখছেন। পাশাপাশি তিনি চক্ষুবিদ্যায় নিজের দক্ষতা ঝালিয়ে নিচ্ছেন। এটি তার দীর্ঘদিনের আগ্রহ। অর্থের প্রয়োজন না থাকলেও তিনি এই বিষয়ে আগ্রহী। যুদ্ধ শুরুর আগেও তিনি দামেস্কে নিয়মিত চক্ষু চিকিৎসা করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, মস্কোর ধনী অভিজাতরাই তার সম্ভাব্য রোগী হতে পারেন।
সিরিয়ায় ক্ষমতা হারানোর এক বছর পর আসাদ পরিবার এখন মস্কো ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিরিবিলি ও বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করছে। পরিবারটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাশিয়া ও সিরিয়ার কিছু সূত্র এবং ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে তাদের বর্তমান জীবনের কিছুটা ধারণা পাওয়া গেছে। একসময় তারা কঠোর হাতে সিরিয়া শাসন করত।
দুটি সূত্রের মতে, আসাদ পরিবার সম্ভবত মস্কোর অভিজাত এলাকা রুবলিয়োভকায় বসবাস করছে। এটি একটি সুরক্ষিত আবাসিক এলাকা। সেখানে রাশিয়ার ধনী ও প্রভাবশালীরা বসবাস করেন। একই এলাকায় ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের থাকার কথাও জানা যায়।
অর্থকষ্টে নেই আসাদ পরিবার। ২০১১ সালে বিক্ষোভ দমনে সহিংস অভিযানের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় তারা বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে চলে যায়। এরপর তারা তাদের বড় অংশের সম্পদ মস্কোতে সরিয়ে নেয়। সেখানে পশ্চিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর হাত পৌঁছায় না।
তবে বিলাসী জীবনযাপন সত্ত্বেও পরিবারটি এখন অনেকটাই একঘরে। তারা আগের মতো সিরীয় বা রুশ অভিজাত মহলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারছে না। শেষ মুহূর্তে বাশারের পালিয়ে যাওয়ায় তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা নিজেদের পরিত্যক্ত মনে করেন। রুশ নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষও তাকে সাবেক শাসনব্যবস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না।
পরিবারের এক বন্ধু বলেন, তাদের জীবন এখন খুবই নীরব। বাইরের জগতের সঙ্গে তার যোগাযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। মাত্র কয়েকজন সাবেক প্রাসাদ কর্মকর্তা তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন মানসুর আজ্জাম এবং ইয়াসার ইব্রাহিম।
ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছেও এখন বাশার আল-আসাদ গুরুত্বহীন। ক্ষমতা হারানো নেতাদের প্রতি পুতিনের ধৈর্য কম। আসাদকে এখন আর প্রভাবশালী ব্যক্তি বা বিশেষ অতিথি হিসেবে দেখা হয় না।
২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর ভোররাতে বাশার আল-আসাদ তার দুই ছেলেকে নিয়ে দামেস্ক ছাড়েন। তখন উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে বিদ্রোহীরা রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। রুশ সেনাদের একটি দল তাকে নিরাপত্তা দেয়। তাকে খমেইমিম বিমানঘাঁটিতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি দেশ ছাড়েন।
পালানোর আগে বাশার তার পরিবারের সঙ্গ সম্পর্কযুক্তদের বা ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের কিছুই জানাননি। তারা সবাই অনিশ্চিত অবস্থায় পড়ে যান।
বাশারের ভাই ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মাহের আল-আসাদের এক বন্ধু বলেন, মাহের কয়েক দিন ধরে বাশারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বাশার ফোন ধরেননি। মাহের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রাসাদে ছিলেন। বিদ্রোহীরা সেখানে ঢুকে দেখেন, তার হুক্কার কয়লা তখনও উষ্ণ। অন্যদের পালাতে সাহায্য করেছিলেন মাহের। বাশার কেবল নিজের কথাই ভেবেছিলেন।
বাশারের চাচা রিফাত আল-আসাদের আইনজীবী জানান, বাশার পালানোর পর তার আত্মীয়রা আতঙ্কে পড়ে যান। তারা জানতেন না কীভাবে সিরিয়া ছাড়বেন। খমেইমিম বিমানঘাঁটিতে পৌঁছে তারা রুশ সেনাদের বলেন যে তারা আসাদ পরিবারের সদস্য। কিন্তু ভাষাগত সমস্যার কারণে সেনারা তা বুঝতে পারেননি। ফলে আটজনকে গাড়িতেই রাত কাটাতে হয়। পরে এক জ্যেষ্ঠ রুশ কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তারা ওমানে পালাতে সক্ষম হন।
সিরিয়া ছাড়ার পর প্রথম কয়েক মাস বাশার তার সাবেক সহযোগীদের বিষয়ে তেমন চিন্তা করেননি। পরিবারটি তখন মস্কোতে একত্র হয়। তারা আসমা আল-আসাদের পাশে ছিলেন। ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এই সাবেক ফার্স্ট লেডি দীর্ঘদিন লিউকেমিয়ায় ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে উঠেছিল। ক্ষমতা পতনের আগেই তিনি মস্কোতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
আসমার স্বাস্থ্য বিষয়ে অবগত একটি সূত্র জানায়, পরীক্ষামূলক চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি সেরে উঠেছেন। এই চিকিৎসা রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
আসমার স্বাস্থ্যের উন্নতির পর বাশার আল-আসাদ নিজের বক্তব্য জনসমক্ষে তুলে ধরতে আগ্রহী হয়েছেন। তিনি রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরটি এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক ডানপন্থী জনপ্রিয় পডকাস্টারে সাক্ষাৎকার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে রুশ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।

রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ বাশার আল-আসাদকে প্রকাশ্যে উপস্থিত হওয়া বা কথা বলা থেকে কার্যত নিষিদ্ধ করেছে বলে জানা গেছে। নভেম্বর মাসে ইরাকি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিরল সাক্ষাৎকারে ইরাকে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এলব্রুস কুত্রাশেভ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত এই শাসক রাশিয়ায় থাকলেও কোনো ধরনের প্রকাশ্য কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।
কুত্রাশেভ স্পষ্টভাবে জানান, আসাদ কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবেন না। তিনি গণমাধ্যমেও কথা বলতে পারবেন না। রাষ্ট্রদূত বলেন, কেউ আসাদের বক্তব্য শোনেনি, কারণ তাকে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে তিনি নিরাপদে ও জীবিত আছেন।
এর বিপরীতে, আসাদ পরিবারের সন্তানদের জীবন তুলনামূলকভাবে কম পরিবর্তিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা ধীরে ধীরে মস্কোর অভিজাত সমাজে নিজেদের নতুন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। কয়েক মাস আগে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করা এক পারিবারিক বন্ধু জানান, তারা এখনো কিছুটা হতভম্ব অবস্থায় রয়েছে। ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্য না থাকার বাস্তবতায় তারা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হচ্ছে।
ক্ষমতা পতনের পর বাশার ছাড়া আসাদ পরিবারকে একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা গেছে মাত্র একবার। গত ৩০ জুন মেয়ে জেইন আল-আসাদের স্নাতক অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত ছিলেন। জেইন মস্কোর অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয় এমজিআইএমও থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাশিয়ার শাসকগোষ্ঠীর বহু সদস্য পড়াশোনা করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ছবিতে ২২ বছর বয়সী জেইনকে অন্য স্নাতকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানের একটি ঝাপসা ভিডিওতে দর্শকসারিতে আসাদ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে দেখা যায়। তাদের মধ্যে ছিলেন আসমা আল-আসাদ এবং তার দুই ছেলে হাফেজ ও কারিম।
জেইনের দুই সহপাঠী নিশ্চিত করেছেন যে পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তারা খুবই নীরব ভূমিকা পালন করেন। একজন সাবেক সহপাঠী জানান, পরিবারটি বেশিক্ষণ থাকেনি। অন্যদের মতো মঞ্চে জেইনের সঙ্গে ছবি তোলেনি।
একসময় বাশার আল-আসাদের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে প্রস্তুত করা হাফেজ আল-আসাদ এখন অনেকটাই জনচক্ষুর আড়ালে। ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি টেলিগ্রামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে তিনি দামেস্ক ছাড়ার বিষয়ে পরিবারের নিজস্ব ব্যাখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, তারা মিত্রদের পরিত্যাগ করেননি। বরং মস্কোর নির্দেশেই তারা সিরিয়া ছেড়েছিলেন।
ভিডিও প্রকাশের পর সিরীয়রা দ্রুতই হাফেজের অবস্থান শনাক্ত করেন। ভিডিওটি মস্কোর রাস্তায় হাঁটার সময় ধারণ করা হয়েছিল। এরপর হাফেজ তার অধিকাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন। ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি এখন ছদ্মনামে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন। ওই নামটি একটি মার্কিন শিশুতোষ গোয়েন্দা সিরিজ থেকে নেওয়া।
পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, সন্তানরা ও তাদের মা বেশির ভাগ সময় কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন। তারা নতুন রুশ বাসভবনটি বিলাসবহুল সামগ্রী দিয়ে সাজাচ্ছেন। ফাঁস হওয়া রুশ তথ্য অনুযায়ী, জেইন নিয়মিত দামি পোশাক কেনেন। তিনি একটি অভিজাত পেডিকিউর স্যালনে নিবন্ধিত। পাশাপাশি তিনি মস্কোর একটি উচ্চমানের জিমের সদস্য।
আসাদ পরিবারের সন্তানরা সংযুক্ত আরব আমিরাতেও নিয়মিত যাতায়াত করেন। অন্তত একবার আসমা আল-আসাদও তাদের সঙ্গে সেখানে গেছেন। গার্ডিয়ানের হাতে আসা ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের ফ্লাইট রেকর্ড অনুযায়ী, ক্ষমতায় থাকাকালেও সংযুক্ত আরব আমিরাত ছিল তাদের পছন্দের গন্তব্য। কারিম ও হাফেজ একাধিকবার আবুধাবি, মস্কো ও সিরিয়ার মধ্যে যাতায়াত করেছেন।
প্রথমদিকে আসাদ পরিবার মস্কো ছেড়ে স্থায়ীভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ভেবেছিল। স্থানটি তাদের কাছে বেশি পরিচিত ছিল। তারা রুশ ভাষা জানতেন না। রাশিয়ার সামাজিক পরিমণ্ডলেও তারা স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। তবে এখন তারা বুঝতে পেরেছেন, স্থায়ীভাবে সেখানে যাওয়ার সুযোগ আপাতত নেই। কারণ বিশ্বের বহু বিতর্কিত ধনীদের আশ্রয় দিলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত আসাদ পরিবারকে নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে।
সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা অগ্রসর হওয়ার সময় তারা আসাদের বিভিন্ন প্রাসাদে পাওয়া ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে। সেখানে তরুণ বয়সের বাশার আল-আসাদকে অন্তর্বাস পরা অবস্থায় কিংবা সাঁতার কাটতে দেখা যায়। এই দৃশ্যগুলো সিরীয়দের পরিচিত কঠোর শাসকের ভাবমূর্তি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল।
এই ঘটনাগুলো ছিল একসময় অটল মনে হওয়া এক স্বৈরশাসকের ভাবমূর্তিতে প্রথম বড় ফাটল। তবে এখনো সিরীয়রা বাশার আল-আসাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানে না। অথচ তার শাসনামলে ১৪ বছর ধরে সংঘাত চলেছে এবং এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছেন।
আটলান্টিক কাউন্সিলের সাবেক জ্যেষ্ঠ গবেষক কামাল আলম বলেন, ক্ষমতার পতন না হলে এসব ছবি প্রকাশ পেত না। তার মতে, আসাদ পরিবার সবসময়ই ব্যক্তিগত থাকতে চেয়েছে। তারা কখনোই জনসমক্ষে আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেনি। ভবিষ্যতেও সেই অবস্থান বদলাবে বলে মনে হয় না।
(দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন)

২০১১ সালে সিরিয়ার একটি স্কুল প্রাঙ্গণের দেয়ালে কয়েকজন কিশোর একটি বার্তা লিখেছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘এবার তোমার পালা, ডাক্তার।’ এই লেখাটি ছিল একটি পরোক্ষ হুমকি। এতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে, লন্ডনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চক্ষু চিকিৎসক এবং তৎকালীন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদও আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত শাসকদের তালিকায় যুক্ত হতে পারেন।
এই ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব হতে সময় লাগে প্রায় ১৪ বছর। এই সময়ে প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিহত হন। বাস্তুচ্যুত হন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। শেষ পর্যন্ত বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি গভীর রাতে সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ার মস্কোতে পালিয়ে যান।
ক্ষমতা হারানোর পর বাশার আল-আসাদ মস্কোয় বিলাসবহুল নির্বাসিত জীবন শুরু করেন। তবে একই সঙ্গে তিনি আবার তার পুরোনো পেশার দিকে ফিরছেন বলে জানা গেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যের শেষ বাথ পার্টি শাসনের এই সাবেক নেতা এখন আবার চক্ষুবিদ্যার পাঠ নিচ্ছেন।
আসাদ পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, বাশার বর্তমানে রুশ ভাষা শিখছেন। পাশাপাশি তিনি চক্ষুবিদ্যায় নিজের দক্ষতা ঝালিয়ে নিচ্ছেন। এটি তার দীর্ঘদিনের আগ্রহ। অর্থের প্রয়োজন না থাকলেও তিনি এই বিষয়ে আগ্রহী। যুদ্ধ শুরুর আগেও তিনি দামেস্কে নিয়মিত চক্ষু চিকিৎসা করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, মস্কোর ধনী অভিজাতরাই তার সম্ভাব্য রোগী হতে পারেন।
সিরিয়ায় ক্ষমতা হারানোর এক বছর পর আসাদ পরিবার এখন মস্কো ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিরিবিলি ও বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করছে। পরিবারটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাশিয়া ও সিরিয়ার কিছু সূত্র এবং ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে তাদের বর্তমান জীবনের কিছুটা ধারণা পাওয়া গেছে। একসময় তারা কঠোর হাতে সিরিয়া শাসন করত।
দুটি সূত্রের মতে, আসাদ পরিবার সম্ভবত মস্কোর অভিজাত এলাকা রুবলিয়োভকায় বসবাস করছে। এটি একটি সুরক্ষিত আবাসিক এলাকা। সেখানে রাশিয়ার ধনী ও প্রভাবশালীরা বসবাস করেন। একই এলাকায় ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের থাকার কথাও জানা যায়।
অর্থকষ্টে নেই আসাদ পরিবার। ২০১১ সালে বিক্ষোভ দমনে সহিংস অভিযানের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় তারা বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে চলে যায়। এরপর তারা তাদের বড় অংশের সম্পদ মস্কোতে সরিয়ে নেয়। সেখানে পশ্চিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর হাত পৌঁছায় না।
তবে বিলাসী জীবনযাপন সত্ত্বেও পরিবারটি এখন অনেকটাই একঘরে। তারা আগের মতো সিরীয় বা রুশ অভিজাত মহলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারছে না। শেষ মুহূর্তে বাশারের পালিয়ে যাওয়ায় তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা নিজেদের পরিত্যক্ত মনে করেন। রুশ নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষও তাকে সাবেক শাসনব্যবস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না।
পরিবারের এক বন্ধু বলেন, তাদের জীবন এখন খুবই নীরব। বাইরের জগতের সঙ্গে তার যোগাযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। মাত্র কয়েকজন সাবেক প্রাসাদ কর্মকর্তা তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন মানসুর আজ্জাম এবং ইয়াসার ইব্রাহিম।
ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছেও এখন বাশার আল-আসাদ গুরুত্বহীন। ক্ষমতা হারানো নেতাদের প্রতি পুতিনের ধৈর্য কম। আসাদকে এখন আর প্রভাবশালী ব্যক্তি বা বিশেষ অতিথি হিসেবে দেখা হয় না।
২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর ভোররাতে বাশার আল-আসাদ তার দুই ছেলেকে নিয়ে দামেস্ক ছাড়েন। তখন উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে বিদ্রোহীরা রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। রুশ সেনাদের একটি দল তাকে নিরাপত্তা দেয়। তাকে খমেইমিম বিমানঘাঁটিতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি দেশ ছাড়েন।
পালানোর আগে বাশার তার পরিবারের সঙ্গ সম্পর্কযুক্তদের বা ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের কিছুই জানাননি। তারা সবাই অনিশ্চিত অবস্থায় পড়ে যান।
বাশারের ভাই ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মাহের আল-আসাদের এক বন্ধু বলেন, মাহের কয়েক দিন ধরে বাশারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বাশার ফোন ধরেননি। মাহের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রাসাদে ছিলেন। বিদ্রোহীরা সেখানে ঢুকে দেখেন, তার হুক্কার কয়লা তখনও উষ্ণ। অন্যদের পালাতে সাহায্য করেছিলেন মাহের। বাশার কেবল নিজের কথাই ভেবেছিলেন।
বাশারের চাচা রিফাত আল-আসাদের আইনজীবী জানান, বাশার পালানোর পর তার আত্মীয়রা আতঙ্কে পড়ে যান। তারা জানতেন না কীভাবে সিরিয়া ছাড়বেন। খমেইমিম বিমানঘাঁটিতে পৌঁছে তারা রুশ সেনাদের বলেন যে তারা আসাদ পরিবারের সদস্য। কিন্তু ভাষাগত সমস্যার কারণে সেনারা তা বুঝতে পারেননি। ফলে আটজনকে গাড়িতেই রাত কাটাতে হয়। পরে এক জ্যেষ্ঠ রুশ কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তারা ওমানে পালাতে সক্ষম হন।
সিরিয়া ছাড়ার পর প্রথম কয়েক মাস বাশার তার সাবেক সহযোগীদের বিষয়ে তেমন চিন্তা করেননি। পরিবারটি তখন মস্কোতে একত্র হয়। তারা আসমা আল-আসাদের পাশে ছিলেন। ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এই সাবেক ফার্স্ট লেডি দীর্ঘদিন লিউকেমিয়ায় ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে উঠেছিল। ক্ষমতা পতনের আগেই তিনি মস্কোতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
আসমার স্বাস্থ্য বিষয়ে অবগত একটি সূত্র জানায়, পরীক্ষামূলক চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি সেরে উঠেছেন। এই চিকিৎসা রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
আসমার স্বাস্থ্যের উন্নতির পর বাশার আল-আসাদ নিজের বক্তব্য জনসমক্ষে তুলে ধরতে আগ্রহী হয়েছেন। তিনি রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরটি এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক ডানপন্থী জনপ্রিয় পডকাস্টারে সাক্ষাৎকার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে রুশ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।

রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ বাশার আল-আসাদকে প্রকাশ্যে উপস্থিত হওয়া বা কথা বলা থেকে কার্যত নিষিদ্ধ করেছে বলে জানা গেছে। নভেম্বর মাসে ইরাকি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিরল সাক্ষাৎকারে ইরাকে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এলব্রুস কুত্রাশেভ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত এই শাসক রাশিয়ায় থাকলেও কোনো ধরনের প্রকাশ্য কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।
কুত্রাশেভ স্পষ্টভাবে জানান, আসাদ কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবেন না। তিনি গণমাধ্যমেও কথা বলতে পারবেন না। রাষ্ট্রদূত বলেন, কেউ আসাদের বক্তব্য শোনেনি, কারণ তাকে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে তিনি নিরাপদে ও জীবিত আছেন।
এর বিপরীতে, আসাদ পরিবারের সন্তানদের জীবন তুলনামূলকভাবে কম পরিবর্তিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা ধীরে ধীরে মস্কোর অভিজাত সমাজে নিজেদের নতুন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। কয়েক মাস আগে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করা এক পারিবারিক বন্ধু জানান, তারা এখনো কিছুটা হতভম্ব অবস্থায় রয়েছে। ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্য না থাকার বাস্তবতায় তারা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হচ্ছে।
ক্ষমতা পতনের পর বাশার ছাড়া আসাদ পরিবারকে একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা গেছে মাত্র একবার। গত ৩০ জুন মেয়ে জেইন আল-আসাদের স্নাতক অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত ছিলেন। জেইন মস্কোর অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয় এমজিআইএমও থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাশিয়ার শাসকগোষ্ঠীর বহু সদস্য পড়াশোনা করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ছবিতে ২২ বছর বয়সী জেইনকে অন্য স্নাতকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানের একটি ঝাপসা ভিডিওতে দর্শকসারিতে আসাদ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে দেখা যায়। তাদের মধ্যে ছিলেন আসমা আল-আসাদ এবং তার দুই ছেলে হাফেজ ও কারিম।
জেইনের দুই সহপাঠী নিশ্চিত করেছেন যে পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তারা খুবই নীরব ভূমিকা পালন করেন। একজন সাবেক সহপাঠী জানান, পরিবারটি বেশিক্ষণ থাকেনি। অন্যদের মতো মঞ্চে জেইনের সঙ্গে ছবি তোলেনি।
একসময় বাশার আল-আসাদের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে প্রস্তুত করা হাফেজ আল-আসাদ এখন অনেকটাই জনচক্ষুর আড়ালে। ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি টেলিগ্রামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে তিনি দামেস্ক ছাড়ার বিষয়ে পরিবারের নিজস্ব ব্যাখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, তারা মিত্রদের পরিত্যাগ করেননি। বরং মস্কোর নির্দেশেই তারা সিরিয়া ছেড়েছিলেন।
ভিডিও প্রকাশের পর সিরীয়রা দ্রুতই হাফেজের অবস্থান শনাক্ত করেন। ভিডিওটি মস্কোর রাস্তায় হাঁটার সময় ধারণ করা হয়েছিল। এরপর হাফেজ তার অধিকাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন। ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি এখন ছদ্মনামে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন। ওই নামটি একটি মার্কিন শিশুতোষ গোয়েন্দা সিরিজ থেকে নেওয়া।
পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, সন্তানরা ও তাদের মা বেশির ভাগ সময় কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন। তারা নতুন রুশ বাসভবনটি বিলাসবহুল সামগ্রী দিয়ে সাজাচ্ছেন। ফাঁস হওয়া রুশ তথ্য অনুযায়ী, জেইন নিয়মিত দামি পোশাক কেনেন। তিনি একটি অভিজাত পেডিকিউর স্যালনে নিবন্ধিত। পাশাপাশি তিনি মস্কোর একটি উচ্চমানের জিমের সদস্য।
আসাদ পরিবারের সন্তানরা সংযুক্ত আরব আমিরাতেও নিয়মিত যাতায়াত করেন। অন্তত একবার আসমা আল-আসাদও তাদের সঙ্গে সেখানে গেছেন। গার্ডিয়ানের হাতে আসা ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের ফ্লাইট রেকর্ড অনুযায়ী, ক্ষমতায় থাকাকালেও সংযুক্ত আরব আমিরাত ছিল তাদের পছন্দের গন্তব্য। কারিম ও হাফেজ একাধিকবার আবুধাবি, মস্কো ও সিরিয়ার মধ্যে যাতায়াত করেছেন।
প্রথমদিকে আসাদ পরিবার মস্কো ছেড়ে স্থায়ীভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ভেবেছিল। স্থানটি তাদের কাছে বেশি পরিচিত ছিল। তারা রুশ ভাষা জানতেন না। রাশিয়ার সামাজিক পরিমণ্ডলেও তারা স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। তবে এখন তারা বুঝতে পেরেছেন, স্থায়ীভাবে সেখানে যাওয়ার সুযোগ আপাতত নেই। কারণ বিশ্বের বহু বিতর্কিত ধনীদের আশ্রয় দিলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত আসাদ পরিবারকে নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে।
সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা অগ্রসর হওয়ার সময় তারা আসাদের বিভিন্ন প্রাসাদে পাওয়া ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে। সেখানে তরুণ বয়সের বাশার আল-আসাদকে অন্তর্বাস পরা অবস্থায় কিংবা সাঁতার কাটতে দেখা যায়। এই দৃশ্যগুলো সিরীয়দের পরিচিত কঠোর শাসকের ভাবমূর্তি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল।
এই ঘটনাগুলো ছিল একসময় অটল মনে হওয়া এক স্বৈরশাসকের ভাবমূর্তিতে প্রথম বড় ফাটল। তবে এখনো সিরীয়রা বাশার আল-আসাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানে না। অথচ তার শাসনামলে ১৪ বছর ধরে সংঘাত চলেছে এবং এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছেন।
আটলান্টিক কাউন্সিলের সাবেক জ্যেষ্ঠ গবেষক কামাল আলম বলেন, ক্ষমতার পতন না হলে এসব ছবি প্রকাশ পেত না। তার মতে, আসাদ পরিবার সবসময়ই ব্যক্তিগত থাকতে চেয়েছে। তারা কখনোই জনসমক্ষে আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেনি। ভবিষ্যতেও সেই অবস্থান বদলাবে বলে মনে হয় না।
(দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন)

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে বন্দুক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ ১৫ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। এ ছাড়া আহতের সংখ্যাও ৪০ জন বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামীণ এলাকায় স্কুলশিক্ষার্থী বহনকারী একটি বাস খাদে পড়ে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে স্থানীয় গভর্নর এ তথ্য জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে বন্দুক হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন হামলাকারীও আছেন। এ ছাড়া আহত হন আরও অন্তত ২৯ জন। নিহতদের মধ্যে একটি শিশুও আছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের এফ–১৬ যুদ্ধবিমান বহরের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিকায়ন সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে। এই চুক্তির আর্থিক মূল্য প্রায় ৬৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
১ দিন আগে