হাসান জামিল

তারেক রহমান তাঁর মায়ের জানাজায় মাত্র ৫৮ সেকেন্ড কথা বললেন। তাঁর তো অনেক কথা বলার ছিল। বাবা শহীদ হয়েছেন। যে মায়ের জানাজায় দাঁড়িছেন—কে না জানেন, সেই মাকে চিকিৎসা করতে না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি যাঁর বাবা, প্রধানমন্ত্রী মা, নিজে দেশের এখন সবচেয়ে বড় দলের প্রধান, তিনি ভাষণের রাজনীতি করলেন না। মিতভাষী তারেক রহমান এখন জানেন কখন কী বলা লাগবে।
তারেক রহমান তাঁর মায়ের জানাজার বক্তব্য এমন কী, তাঁর মা যে কত অবিচারের শিকার হয়েছেন, সেই কথাও মুখে আনেননি। খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ থেকে শুরু করে চিকিৎসাহীন জেলে রাখা, সংসদে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া থেকে শুরু করে কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট কাজে লাগিয়েও খালেদা জিয়াকে মানুষের মন থেকে সরানো যায়নি। তিনি হয়েছেন মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত।
তাঁর সন্তান জানাজায় হাজির হয়েছেন একজন মায়ের সাধারণ সন্তান হিসেবে। সন্তান হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে মায়ের ঋণ পরিশোধের কথা বললেন, ‘আমি মরহুমা বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান। আজকে এখানে উপস্থিত সকল ভাই ও বোনেরা, মরহুমা বেগম খালেদা জিয়া জীবিত থাকা অবস্থায় যদি আপনাদের কারো কাছ থেকে যদি কোনো ঋণ নিয়ে থাকেন, দয়া করে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। আমি সেটি পরিশোধের ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ।’
খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে বলেলেন, ‘একই সাথে, তিনি জীবিত থাকাকালীন অবস্থায় ওনার কোনো ব্যবহারে, ওনার কোনো কথায় কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে মরহুমার পক্ষ থেকে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দোয়া করবেন, আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে বেহেশত দান করেন।’
তারেক রহমানের বক্তব্যে আবেগের আতিশয্য নেই, প্রতিশোধের বিস্ফার নেই, নেই কোনো অভিযোগ। খালেদা জিয়ার প্রয়াণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্টেটসম্যানের অনানুষ্ঠানিক দায়িত্ব মূলত তারেক রহমানের কাঁধে গেল। তিনি যেন সেই দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকেই কথা বললেন। কোনো প্রতিশোধ নয়। কোনো বিদ্বেষ নয়। একজন সাধারণ বাঙালি মুসলমান যা করেন, সেই ‘কালচারাল’ সিলসিলা তিনি বহন করেছেন। সেভাবেই তিনি অ্যাক্ট করেছেন। জানাজার আগে মায়ের পাশে তিনি পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেছেন। খেয়াল করলে দেখবেন, সেই ছোট আকারের কোরআন বহু ব্যবহারে মলিন। আর দশটা মুসলিম পরিবারে যেমন হয়।
তারেক রহমান তাঁর মায়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক ফায়দায় ব্যবহার করার চেষ্টা করেননি। তিনি খুব সচেতনভাবে কাজটি করেছেন। কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি। তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, খালেদা জিয়া রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন। তিনি সবার। বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তারেক রহমান আর দশজন বাংলাদেশির মতোই অসাধারণভাবে সাধারণ রইলেন।
‘মৃত্যু শুধু দূরে ঠেলে দেয় না, কাছেও আনে’ বলে যে কথা প্রচলিত আছে, তা আবার দেখা গেল। খালেদার অন্তিম মূহূর্তে তাঁর পরিবারের সবাই উপস্থিত ছিলেন। দেশবাসীর শুভকামনা তো বটেই, পরিবারের সবার উপস্থিতিতে অনন্তে পাড়ি জমান খালেদা জিয়া। দেশের লাখো মানুষ জড়ো হলেন তাঁর জানাজায়। খালেদা জিয়াকে এত অত্যাচারকারী আওয়ামী লীগ পর্যন্ত ক্ষমা না চেয়ে শোক প্রকাশ করে ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ লুটতে চেয়েছে। এই বছর যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া দুই ‘চিরশত্রু’ ভারত-পাকিস্তানের হাই অফিশিয়ালরা খালেদা জিয়ার মৃত্যু কেন্দ্র করে ঢাকায় একসঙ্গে বসেছেন!
কোনো লেখায় যা বলা হয় তার সমান গুরুত্বপূর্ণ যা অনুক্ত। খালেদা জিয়ার জানাজায় তারেক রহমানের ৫৮ সেকেন্ডের ভাষণ সেই পাঠেরই দাবি রাখে।

তারেক রহমান তাঁর মায়ের জানাজায় মাত্র ৫৮ সেকেন্ড কথা বললেন। তাঁর তো অনেক কথা বলার ছিল। বাবা শহীদ হয়েছেন। যে মায়ের জানাজায় দাঁড়িছেন—কে না জানেন, সেই মাকে চিকিৎসা করতে না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি যাঁর বাবা, প্রধানমন্ত্রী মা, নিজে দেশের এখন সবচেয়ে বড় দলের প্রধান, তিনি ভাষণের রাজনীতি করলেন না। মিতভাষী তারেক রহমান এখন জানেন কখন কী বলা লাগবে।
তারেক রহমান তাঁর মায়ের জানাজার বক্তব্য এমন কী, তাঁর মা যে কত অবিচারের শিকার হয়েছেন, সেই কথাও মুখে আনেননি। খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ থেকে শুরু করে চিকিৎসাহীন জেলে রাখা, সংসদে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া থেকে শুরু করে কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট কাজে লাগিয়েও খালেদা জিয়াকে মানুষের মন থেকে সরানো যায়নি। তিনি হয়েছেন মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত।
তাঁর সন্তান জানাজায় হাজির হয়েছেন একজন মায়ের সাধারণ সন্তান হিসেবে। সন্তান হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে মায়ের ঋণ পরিশোধের কথা বললেন, ‘আমি মরহুমা বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান। আজকে এখানে উপস্থিত সকল ভাই ও বোনেরা, মরহুমা বেগম খালেদা জিয়া জীবিত থাকা অবস্থায় যদি আপনাদের কারো কাছ থেকে যদি কোনো ঋণ নিয়ে থাকেন, দয়া করে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। আমি সেটি পরিশোধের ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ।’
খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে বলেলেন, ‘একই সাথে, তিনি জীবিত থাকাকালীন অবস্থায় ওনার কোনো ব্যবহারে, ওনার কোনো কথায় কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে মরহুমার পক্ষ থেকে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দোয়া করবেন, আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে বেহেশত দান করেন।’
তারেক রহমানের বক্তব্যে আবেগের আতিশয্য নেই, প্রতিশোধের বিস্ফার নেই, নেই কোনো অভিযোগ। খালেদা জিয়ার প্রয়াণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্টেটসম্যানের অনানুষ্ঠানিক দায়িত্ব মূলত তারেক রহমানের কাঁধে গেল। তিনি যেন সেই দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকেই কথা বললেন। কোনো প্রতিশোধ নয়। কোনো বিদ্বেষ নয়। একজন সাধারণ বাঙালি মুসলমান যা করেন, সেই ‘কালচারাল’ সিলসিলা তিনি বহন করেছেন। সেভাবেই তিনি অ্যাক্ট করেছেন। জানাজার আগে মায়ের পাশে তিনি পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেছেন। খেয়াল করলে দেখবেন, সেই ছোট আকারের কোরআন বহু ব্যবহারে মলিন। আর দশটা মুসলিম পরিবারে যেমন হয়।
তারেক রহমান তাঁর মায়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক ফায়দায় ব্যবহার করার চেষ্টা করেননি। তিনি খুব সচেতনভাবে কাজটি করেছেন। কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি। তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, খালেদা জিয়া রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন। তিনি সবার। বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তারেক রহমান আর দশজন বাংলাদেশির মতোই অসাধারণভাবে সাধারণ রইলেন।
‘মৃত্যু শুধু দূরে ঠেলে দেয় না, কাছেও আনে’ বলে যে কথা প্রচলিত আছে, তা আবার দেখা গেল। খালেদার অন্তিম মূহূর্তে তাঁর পরিবারের সবাই উপস্থিত ছিলেন। দেশবাসীর শুভকামনা তো বটেই, পরিবারের সবার উপস্থিতিতে অনন্তে পাড়ি জমান খালেদা জিয়া। দেশের লাখো মানুষ জড়ো হলেন তাঁর জানাজায়। খালেদা জিয়াকে এত অত্যাচারকারী আওয়ামী লীগ পর্যন্ত ক্ষমা না চেয়ে শোক প্রকাশ করে ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ লুটতে চেয়েছে। এই বছর যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া দুই ‘চিরশত্রু’ ভারত-পাকিস্তানের হাই অফিশিয়ালরা খালেদা জিয়ার মৃত্যু কেন্দ্র করে ঢাকায় একসঙ্গে বসেছেন!
কোনো লেখায় যা বলা হয় তার সমান গুরুত্বপূর্ণ যা অনুক্ত। খালেদা জিয়ার জানাজায় তারেক রহমানের ৫৮ সেকেন্ডের ভাষণ সেই পাঠেরই দাবি রাখে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি নির্দেশ করে। তবে তাঁর জানাজাকে ঘিরে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি শোকের গণ্ডি ছাড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক বাস্তবতায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত তৈরি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালকে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বিজয়ের বছর বলা যাবে না, আবার একেবারে ভেঙে পড়ার গল্পও নয়। এই বছরটা যেন মাঝনদীতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি নৌকা; পেছনে তীব্র স্রোত, সামনে অজানা গন্তব্য।
৭ ঘণ্টা আগে
দেড় বছরের শাসনকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামে খুব বেশি সফলতা দেখাতে পারবে না। কিন্তু সংগ্রাম শুরু করতে বাধা কোথায়? দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা কঠোর সংগ্রাম শুরু করে এগিয়ে নিয়ে গেলে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে ওই সংগ্রাম চালিয়ে নিতে বাধ্য হবে না?
৯ ঘণ্টা আগে
গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হলো সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের উপস্থিতি, স্বাধীন গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ দেশে বিএনপির মাধ্যমে ‘সমন্বয়ের রাজনীতির’ নতুন ধারা চালু করেছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগে