স্ট্রিম সংবাদদাতা

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় নির্বাচনি প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চরফ্যাশনের জিন্নাগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতরদের চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ভোলা ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. সালাহউদ্দিন, জিন্নাগর ৪নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. মোশারেফ হোসেন, পৌরসভা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সংবাদকর্মী মো. রাফসানের নাম জানা গেছে। আহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে জিন্নাগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে তাদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে আহত জামায়াত কর্মীদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নেওয়ার সময় ফের সংঘর্ষ হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
চরফ্যাশন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মীর শরীফ হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালের দিকে নির্বাচনি প্রচারণাকে কেন্দ্র করে উপজেলার জিন্নাগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. জামাল উদ্দিনকে তার দোকান থেকে ধরে নিয়ে মারধর করেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে সে গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে আনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হলে অ্যাম্বুলেন্স আটকে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর আরেক দফা হামালা চালানো হয়। এতে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. সালাহউদ্দিন, জিন্নাগর ৪নম্বর ওয়ার্ডের সেক্রেটারি ডা. মোশারেফ হোসেন, পৌরসভা শ্রমিককল্যান ফেডারেশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম, মিডিয়াকর্মী মো. রাফসানসহ ২০-২৫জন আহত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আহতদেরকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানেও বিএনপির নেতাকর্মীরা জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আহতদের মধ্যে গুরুতর ৫ জনকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুই জনকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এদিকে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মালতিয়া বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলে চরফ্যাশনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে আওয়ামী ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেসব চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে যদি জামায়াত মাঠে নামতে চায় তাহলে আমাদের যেসব ছেলেরা বিগত দিনে মার খেয়েছে তাদের “মাইন্ডে বাজারই” কথা, তাঁরা তো এটা বাধা দেবে। কারণ তাঁরা বিগত দিনে মার খেয়েছে। এখন জামায়াত যদি তাদেরকে (আওয়ামী লীগ) নিজেদের দলের পরিচয় করিয়ে দিতে চায় তাহলে এটা তো আমাদের (বিএনপি) জন্য দুঃখজনক।’
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অনুপ্রবেশ করে এসব ঘটনা ঘটাইতেছে। ওই জামাল উদ্দিন আগে আওয়ামী লীগ করত, আওয়ামী লীগের আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অন্যায়-অত্যাচার করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের হাতাহাতি হয়েছিল। পরে চরফ্যাশন উপজেলা শহর থেকে ২০-৩০টা মোটরসাইকেলে জামায়াতের নেতাকর্মীরা এসে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাঁদের হামলায় আমাদের ৮-১০ জন আহত হয়েছে, তারা চিকিৎসাধীন।’ তবে তিনি আহতদের নাম-পরিচয় জানাননি।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, ‘সংঘর্ষে একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এখনো কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় নির্বাচনি প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চরফ্যাশনের জিন্নাগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতরদের চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ভোলা ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. সালাহউদ্দিন, জিন্নাগর ৪নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. মোশারেফ হোসেন, পৌরসভা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সংবাদকর্মী মো. রাফসানের নাম জানা গেছে। আহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে জিন্নাগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে তাদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে আহত জামায়াত কর্মীদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নেওয়ার সময় ফের সংঘর্ষ হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
চরফ্যাশন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মীর শরীফ হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালের দিকে নির্বাচনি প্রচারণাকে কেন্দ্র করে উপজেলার জিন্নাগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. জামাল উদ্দিনকে তার দোকান থেকে ধরে নিয়ে মারধর করেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে সে গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে আনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হলে অ্যাম্বুলেন্স আটকে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর আরেক দফা হামালা চালানো হয়। এতে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. সালাহউদ্দিন, জিন্নাগর ৪নম্বর ওয়ার্ডের সেক্রেটারি ডা. মোশারেফ হোসেন, পৌরসভা শ্রমিককল্যান ফেডারেশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম, মিডিয়াকর্মী মো. রাফসানসহ ২০-২৫জন আহত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আহতদেরকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানেও বিএনপির নেতাকর্মীরা জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আহতদের মধ্যে গুরুতর ৫ জনকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুই জনকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এদিকে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মালতিয়া বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলে চরফ্যাশনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে আওয়ামী ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেসব চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে যদি জামায়াত মাঠে নামতে চায় তাহলে আমাদের যেসব ছেলেরা বিগত দিনে মার খেয়েছে তাদের “মাইন্ডে বাজারই” কথা, তাঁরা তো এটা বাধা দেবে। কারণ তাঁরা বিগত দিনে মার খেয়েছে। এখন জামায়াত যদি তাদেরকে (আওয়ামী লীগ) নিজেদের দলের পরিচয় করিয়ে দিতে চায় তাহলে এটা তো আমাদের (বিএনপি) জন্য দুঃখজনক।’
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অনুপ্রবেশ করে এসব ঘটনা ঘটাইতেছে। ওই জামাল উদ্দিন আগে আওয়ামী লীগ করত, আওয়ামী লীগের আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অন্যায়-অত্যাচার করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের হাতাহাতি হয়েছিল। পরে চরফ্যাশন উপজেলা শহর থেকে ২০-৩০টা মোটরসাইকেলে জামায়াতের নেতাকর্মীরা এসে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাঁদের হামলায় আমাদের ৮-১০ জন আহত হয়েছে, তারা চিকিৎসাধীন।’ তবে তিনি আহতদের নাম-পরিচয় জানাননি।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, ‘সংঘর্ষে একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এখনো কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বলেছে, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট ও আধিপত্যবাদী শক্তি’ সম্মিলিতভাবে জুলাই বিপ্লবীদের ‘গুপ্ত হত্যায়’ মাঠে নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। একই সঙ্গে তিনি সিইসির ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৬ ডিসেম্বরকে জাতির অহংকার, আনন্দ আর বেদনার এক মহাকাব্যিক দিন অভিহিত করে বলেছেন, ‘১৯৭১-এ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও চক্রান্তকারীদের নীলনকশা এখনো চলমান।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘পতিত পলাতক একটি চক্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়েছিল, অনেক ক্ষেত্রে দলীয় ইতিহাসে তারা পরিণত করেছিল। এই অপচেষ্টার কারণেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এখন আবার মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত একটি চক্র বিজয়ের নতুন ইতিহাস রচনার অপচেষ্টা করছে।’
৫ ঘণ্টা আগে