leadT1ad

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বিবৃতি

করোনায় ৩ বছরের মৃত্যুর চেয়ে তামাকে ১৪ গুণ বেশি প্রাণহানি

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৩
বিবৃতির প্রতীকী ছবি

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ১৩ জন বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তারা বলেছেন, দেশে তামাকজনিত রোগে প্রতি বছর মৃতের সংখ্যা করোনা মহামারিতে তিন বছরের মোট মৃতের সংখ্যার চেয়ে প্রায় ১৪ গুণ বেশি।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে বিশেষজ্ঞরা এই তাগিদ দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর প্রধান কারণ তামাক। টোবাকো অ্যাটলাসের তথ্যমতে, তামাকজনিত রোগে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন প্রায় ৪ লাখ মানুষ। এছাড়া পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বছরে মারা যান ২৫ হাজার মানুষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার বরাত দিয়ে জানানো হয়, ২০২৪ সালে তামাক ব্যবহারের কারণে স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ব্যয় ছিল ৮৬ হাজার কোটি টাকা, যা এই খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (৪০ হাজার কোটি টাকা) দ্বিগুণেরও বেশি।

বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেন, আইন শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে তামাক কোম্পানিগুলো রাজস্ব হ্রাসের ধুয়া তুলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অথচ গত ২০ বছরে কর বাড়ানোর ফলে এই খাতে রাজস্ব ১৪ গুণ বেড়েছে। কোম্পানিগুলো রেস্টুরেন্টে ধূমপানের স্থান তৈরি ও ভেপিং মেলার মাধ্যমে তরুণদের আসক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তায় রাজস্ব আয় কখনোই মানুষের জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা অবিলম্বে আইন সংশোধন ও কার্যকর তামাক কর নীতি গ্রহণের আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী এবং পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী প্রমুখ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত