প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা অ্যাখ্যা দিয়ে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা প্রকাশ করেছে।
এর আগে, সিইসির ওই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেক রাজনৈতিক কর্মী কথা বলেন। অনেকে এই বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দাবি করেন। এমনকি জাতীয় প্রেস ক্লাবে দলের এক কর্মসূচিতে ওসমান হাদির ওপর হামলা ঘটনা নিয়ে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানও।
ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে—আজ সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন রাজধানীতে আইএফইএস আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান শেষে শরীফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেওয়া বক্তব্যের একটি অংশকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত তথ্যের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিয়েছেন জানিয়ে এই বিজ্ঞপতিতে বলা হয়—এর অংশ হিসেবে গতকাল (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিশন জরুরি সভা করেন। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলাকারীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়—প্রধান নির্বাচন কমিশনার মূলত তাঁর বক্তব্যে বুঝাতে চেয়েছেন যে, ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলা আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। কমিশন হাদি এর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে এবং তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।
ইসির দেওয়া ব্যাখ্যা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করবে বলেও কমিশন আশা প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, আজ সকালে রাজধানীর গুলশানে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খুন-খারাবি হয়, এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে; এগুলো আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।’
অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে কি আহসানউল্লাহ মাস্টার (প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা) খুন হয় নাই? এরকমতো আগেও অনেক হয়েছে, ঘটনা তো অনেক হয়েছে। আমাদের কিবরিয়া সাহেব (সাবেক অর্থমন্ত্রী এস এম কিবরিয়া) খুন হন নাই? নির্বাচন আসলে এ ধরনের ঘটনা হয়, বাংলাদেশে এটা নতুন কিছু না।’
.png)
.png)
