leadT1ad

তফসিলের পর বেআইনি কর্মসূচি করলেই ব্যবস্থা

বাসস
বাসস

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫২
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি, অনুমোদনহীন জনসমাবেশ ও আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিলের বিষয়ে ভাষণ দেবেন। এটা ১০ ডিসেম্বর রেকর্ড করা হবে। এ বিষয়ে বিটিভি ও বেতারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার রেওয়াজ রয়েছে। জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই সাধারণত সিইসি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এবারও সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়– বর্তমানে এটাই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য। একটি সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা যা করণীয়, সরকার সেদিকে মনোনিবেশ করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিলের পর সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনী নির্বাচনী পরিবেশ যাতে নিশ্চিত হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর প্রায় ৯ লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ইতোমধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য রেকর্ড দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যেকোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে– এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যারা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা জানি, অনেকেরই ন্যায্য দাবি-দাওয়া রয়েছে। গত দেড় বছরে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন-বিক্ষোভ সংগঠিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আন্দোলনকারীরা দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছেন। সরকার ন্যায্য দাবিতে সব সময় সাড়া দিয়েছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে, সবার যা কিছু দাবি-দাওয়া, তা নির্বাচন পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। আমরা আশা করব, এ সময়ের মধ্যে কেউ দাবি-দাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন করবেন না।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত