leadT1ad

কর্মবিরতিতে বন্ধ মেট্রোরেল, যাত্রীদের ভোগান্তি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

কর্মবিরতির জন্য চলছে না মেট্রোরেল। সংগৃহীত ছবি

‘স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি-বিধিমালা’ প্রণয়ন না করায় সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মীরা। আজ শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে মেট্রোরেল চলার কথা থাকলেও বন্ধ আছে। বিভিন্ন স্টেশনের বাইরে অপেক্ষা করে যাত্রীরা ফিরে আসছেন। তাঁরা ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।

রাজধানীর শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশনের নিচে বেলা পৌনে দুটা থেকে বেশ কয়েকজন সিঁড়িতে ওঠার কলাপসিবল গেট খোলার অপেক্ষায় ছিলেন। সোয়া তিনটার দিকেও গেট না খোলায় হতাশ হয়ে ফিরে যান তাঁরা।

তাঁদের মধ্যে সাইদুর রহমান নামে একজন বলেন, ‘শুনেছি মেট্রোরেলের কর্মীরা আন্দোলন করছে। কিন্তু মেট্রোরেল তো চলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব। এখন অন্য উপায় খুঁজতে হবে।’

অন্যান্য দিন সকাল সাতটায় মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়। তবে শুক্রবার ছুটির দিনে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করে। কর্মীদের কর্মবিরতির ঘোষণার পর গতকাল রাতে ডিএমটিসিএলের ফেসবুক পেইজে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ীই চলাচল করবে।

তবে শুক্রবার মেট্রোরেল বন্ধ থাকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের বিষয়ে জানতে ডিএমটিসিএল এমডি ফারুক আহমেদকে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

২০১৩ সালে ডিএমটিসিএল প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ৯০০-এর বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি করছেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক অপারেশন শুরু হওয়ার পর কর্মীরা ছুটি, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, শিফট-অ্যালাউন্স/ওভারটাইম, ইনস্যুরেন্সসহ নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করছেন।

গতকাল রাতে আন্দোলনকারীরা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে চাকরিবিধি অনুমোদনের দাবি তোলা হলেও তা হয়নি। এ জন্য শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করবেন তাঁরা।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে দিয়াবাড়ীতে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

Ad 300x250

সম্পর্কিত