leadT1ad

৭১ ইস্যুতে ইসহাক দারের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ২১: ০৪
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। সংগৃহীত ছবি

একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানের বিষয়ে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার যে দাবি করেছেন, তার সঙ্গে বাংলাদেশ একমত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তবে দুই দেশের অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে আগামী দিনে আলোচনা চালিয়ে যেতে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। এরপর দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ওই বৈঠকের আলোচনা নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

এর আগে আরও দুবার একাত্তর ইস্যুর সমাধান করা হয়েছে ইসহাক দারের এমন মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি অবশ্যই একমত না। একমত হলে তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো। (আজকের বৈঠকে) আমরা আমাদের অবস্থান বলেছি, আর তারা তাদের অবস্থান বলেছে।’

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিনটি বিষয়ে অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাঁদের অবস্থান তাঁরা যেটুকু বলেছেন, ওটুকুই। আমি তা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।’

পরে সাংবাদিকবা বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান খুব পরিষ্কার। আমরা চাই, হিসাবপত্র হোক এবং আমাদের যে টাকা-পয়সা পাওয়ার ব্যাপার ছিল, সেটার সমাধান হোক। এছাড়া (একাত্তরে) এখানে যে গণহত্যা হয়েছে, সেটার ব্যাপারে তারা দুঃখ প্রকাশ করুক, মাফ চাক। এবং বাংলাদেশে যে আটকেপড়া মানুষগুলো (পাকিস্তানি) আছেন, তাদের তারা ফেরত নিয়ে যাক।’

বৈঠকে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়েও কথা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান যে অমীমাংসিত ঐতিহাসিক বিষয়গুলো আছে সেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের বাণিজ্য ভারসাম্য আমাদের বিপক্ষে সেটি আমরা উল্লেখ করেছি। দুই পক্ষই বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন কারণ আমাদের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলারেরও কম।’

ঢাকা পাকিস্তানের বাজারে কিছু প্রবেশাধিকার চেয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সাফটার অধীনে যেন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল, জ্বালানি, ওষুধ শিল্প, কৃষিপণ্য ও তথ্য প্রযুক্তি এই কয়েকটি খাতে বেশি সম্ভাবনাময় বলে মনে করেছি। এছাড়া কৃষি, মৎস ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরেও সহযোগিতার সম্ভাবনা আছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জ্বালানি রফতানির বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। পরিবহন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রেও কথা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে কীভাবে জাহাজ চলাচল কীভাবে আরও নিয়মিত করা যায় সে বিষয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়াও শিক্ষা সংস্কৃতি, ক্রীড়া ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও ভালো হয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং মিয়ানমারে যে রোহিঙ্গা সংকট রয়েছে সে বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তাঁরাও (পাকিস্তান) চায় যে, রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে যাক।

বৈঠকে একটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Ad 300x250

ভারতে ‘কুকুর বাঁচাও আন্দোলন’: রাজনীতির নতুন নাগরিক ভাষা

ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ, ২৮ পদে লড়বেন ৪৭১ প্রার্থী

ডাকসু নির্বাচনে ৩ স্তরের নিরাপত্তা, প্রবেশমুখে থাকবে সেনাবাহিনী

সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ৪ দাবি ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলের

মুসলমানদের জন্য ‘গাজা গণহত্যা মডেল’ কেন দুশ্চিন্তার

সম্পর্কিত