মুন্ডা সম্প্রদায়ের জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, এই সম্প্রদায়ের জীবনে বাস্তব উপকার বয়ে আনতে পারে এমন যেকোনো পরিবেশগত হস্তক্ষেপ বা নীতিমালার বিষয়ে সরকার আন্তরিক। সব সমস্যা হয়তো পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব না-ও হতে পারে, তবে অন্তত সমাধানের যাত্রা শুরু করতে চায় বর্তমান সরকার।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল শেয়ারিং মিটিং: ফ্রম ইমপ্যাক্ট টু অ্যাকশন–মেইনস্ট্রিমিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স ফর দা মুন্ডা কমিউনিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, মুন্ডা সম্প্রদায় বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম। তাদের ঐতিহ্য ও জীবনধারা পুরোপুরি প্রকৃতিনির্ভর। কিন্তু সীমিত আর্থসামাজিক সক্ষমতার কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তারা বর্তমানে আরও নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। প্রকৃতির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও পানির অভাব, ভূমি সংকট ও স্বাস্থ্যঝুঁকির মতো বিষয়গুলোতে তাদের এখন সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বহু ক্ষেত্রে মুন্ডা সম্প্রদায়ের প্রথাগত অধিকার উপেক্ষিত হয় এবং বন ও প্রাকৃতিক সম্পদে তাদের প্রবেশাধিকারে বাধা সৃষ্টি করা হয়। তাদের প্রথাগত জীবনধারা ও অধিকারকে সম্মান জানিয়ে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে সরকার সদা প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান, অক্সফাম ইন কোরিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার জুনগুন লি এবং মুন্ডা সম্প্রদায়ের সেলফ হেল্প-এর সভাপতি সুরধনী মুন্ডা। অনুষ্ঠানে বক্তারা মুন্ডা সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন, অধিকার সুরক্ষা, প্রাকৃতিক সম্পদের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা ও জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।