
.png)

অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক সারা জীবনে প্রায় কিছুই লিখলেন না। শিক্ষকতা করলেন, দাবা খেললেন আর গল্প করে গেলেন। অথচ লেখার মতো অনেক কিছু তাঁর ছিল। তাঁর শেষ না করা পিএইচডি থিসিস দেখলে তাতে সন্দেহ থাকে না। কিন্তু তিনি আর কিছু লিখলেন না।

দুই মেরুর দুই বাসিন্দা—আহমদ ছফা ও হুমায়ুন আজাদ; দুজনের মধ্যে প্রায়ই ধুন্ধুমার ঝগড়া লেগে যায়। পত্রিকায় সেসব বিবাদকাণ্ডের খবর আমরা পড়ি। নব্বইয়ের দশকে হঠাৎ একদিন খেয়াল হলো দুজন বিস্ময়করভাবে একই গুরুর ‘শিষ্য’; গুরুর নাম আব্দুর রাজ্জাক। হুমায়ুন আজাদ রাজ্জাকের একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।

যেভাবে তিনি তরুণদের প্রভাবিত করলেন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে সেই সময়ের শাসকদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছিলেন ছফা। আবার বছরগুলোতে আমাদের দেশ যে স্বৈরশাসনের ছায়ায় ছিল, এ সময় বেঁচে থাকলে কেমন হতো ছফার ভূমিকা? কী রকম হতেন তিনি?
আহমদ ছফাকে `বাংলার প্রমিথিউস’ বললে হয়তো বাড়াবাড়ি হবে না। স্বর্গ থেকে আগুন আনার মতো, সমাজের অচলায়তন ভেঙে বারবার তিনি জ্বালতে চেয়েছিলেন বুদ্ধিবৃত্তির মশাল। `বাঙালি মুসলমানের মন’ থেকে `গাভী বিত্তান্ত’সহ নানা বইয়ে সমাজের মধ্যে থাকা তিতা সত্য কথাগুলো অকপটে লিখে গেছেন তিনি।

এ কালের অনেক তরুণের মতো ছফাও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে দাঁড় করিয়েছিলেন কাঠগড়ায়। জাতীয়তাবাদের প্রতীকসমূহের দিকে ছুড়ে দিয়েছিলেন সমালোচনামূলক ভাষ্য। জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, মতাদর্শ—সব কিছুকেই তিনি পাঠযোগ্য করে তুলেছেন।