জীবাশ্ম জ্বালানি বাদ দিয়ে ‘আপসচুক্তি’

.png)

ব্রাজিলের বেলেমে আয়োজিত কপ৩০ সম্মেলনের জাঁকজমকপূর্ণ দশ দিন শেষ হলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি, ফলে আলোচনা আরও একদিন বর্ধিত হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির বৈশ্বিক জাস্ট ট্রানজিশনের রোডম্যাপ নিয়ে দেশগুলোর অবস্থান এখনও ব্যাপকভাবে বিপর্যস্থ এবং শুক্রবার প্রকাশিত নতুন খসড়া পাঠ থেকেও এই রোডম্যাপ

ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিত কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে দশম দিনের আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুরো দিনের উচ্চস্তরের আলোচনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্যাভিলিয়ন এলাকার ভেতরে সম্ভবত একটি মাইক্রোওয়েভ এর বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

ব্রাজিলের বেলেম শহর থেকে জাতিসংঘের কপ-৩০ আয়োজনের আপডেট জানাচ্ছেন সোহানুর রহমান, নির্বাহী সমন্বয়কারী, ইয়ুথনেট গ্লোবাল।

বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা এবার কপ৩০–এ একত্রিত হয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রগতির পথ খুঁজতে। হাজারো অংশগ্রহণকারী থাকা এই সম্মেলন হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনায় থমকে গেছে।

কপ৩০ চলছে আমাজন নদীর বদ্বীপে। পরের বছরের আয়োজন কোথায় হবে, তা নিয়ে বেশ সরগরম ছিল আলোচনার টেবিল। অস্ট্রেলিয়া ও তুরস্কের মধ্যকার দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছেছেন দুই পক্ষ।

কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি সাশ্রয় এবং মিথেন নির্গমন কমানোর বিষয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা গেলে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব।

ব্রাজিলে চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের করিডোরজুড়ে জলবায়ু কর্মীরা ‘বাম (বিএএম)!’ লেখা ব্যাজ পরছেন। এটি পুরনো কোনো সুপারহিরো কমিকের প্রতি সমর্থন নয়। বরং তারা বেলেম অ্যাকশন মেকানিজম (বিএএম)-এর প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য হলো দেশগুলোকে নিম্ন-কার্বন অর্থনীতির দিকে ন্যায়সংগত রূপান্তর

ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিত কপ৩০ সম্মেলন বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক নেতাদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন উজাড়, তাপপ্রবাহ, খরা ও জীবাশ্ম জ্বালানি নির্গমনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে বিশ্ব এখন অতিসংবেদনশীল অবস্থায়, এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ

বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দর-কষাকষির বিষয় নয়, বরং টিকে থাকা, ন্যায়বিচার ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, জলবায়ু সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর ভোগান্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ স

ব্রাজিলের বেলেমে চলমান (১০-২১ নভেম্বর ২০২৫) জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০-এ জলবায়ু কর্মী ও আদিবাসী নেতারা জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, ভূগর্ভ থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলন অব্যাহত থাকলে মানবজাতি আত্মবিনাশের পথে যাবে।