স্ট্রিম প্রতিবেদক

ক্ষমতার মসনদ থেকে নির্জন কারাগার কিংবা হাসপাতালের চার দেয়াল—সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবনের প্রতিটি বাঁকে যিনি নিঃশব্দে পাশে ছিলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতা নন; এমনকি রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়ও নন। তিনি ফাতেমা বেগম। খালেদা জিয়ার দীর্ঘতম সময়ের গৃহকর্মী এবং সবচেয়ে বিশ্বস্ত ‘ছায়াসঙ্গী’।
রাজনীতির উত্তাল সময়ে যখন বড় বড় নেতারা দিকভ্রান্ত হয়েছেন, কিংবা সুসময়ের বন্ধুরা দুঃসময়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তখন ফাতেমা স্থাপন করেছেন বিশ্বস্ততার এক বিরল নজির। নিজের সংসার, স্বামী-সন্তান—সবকিছুকে তুচ্ছ করে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন খালেদা জিয়ার সেবায়।
ফাতেমার বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। খুব সাধারণ পরিবার থেকে আসা ফাতেমা নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে খালেদা জিয়ার বাসভবনে কাজ শুরু করেন। সেই থেকে তিনি খালেদা জিয়ার পরিবারের একজন হয়ে ওঠেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ ফাতেমার দীর্ঘ বসবাস।
সময়ের পরিক্রমায় ফাতেমা কেবল একজন গৃহকর্মী থাকেননি, হয়ে উঠেছেন খালেদা জিয়ার নির্ভরতার প্রতীক। খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো যখন দেশের বাইরে কিংবা কারাগারে ছিলেন, তখন ফাতেমাই ছিলেন এই প্রবীণ নেত্রীর মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তির উৎস।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হয় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যখন তাঁকে নেওয়া হয়, তখন তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ একা। অসুস্থ শরীর আর বয়সের ভারে ন্যুব্জ খালেদা জিয়ার সেই নিঃসঙ্গ সময়ে আদালতের বিশেষ অনুমতি নিয়ে কারাগারে তাঁর সঙ্গে প্রবেশ করেন ফাতেমা।
সাধারণত অপরাধীরাই কারাগারে যায়। কিন্তু ফাতেমা অপরাধী না হয়েও কেবল প্রিয় নেত্রীর সেবা করার জন্য স্বেচ্ছায় কারাবরণ বেছে নেন। নির্জন কারাগারে খালেদা জিয়ার একমাত্র সঙ্গী ছিলেন এই ফাতেমা।
ফাতেমার নিজেরও সংসার আছে। তাঁর স্বামী এবং দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, ছোট মেয়ে পড়াশোনা করছে। কিন্তু ফাতেমা নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকার চেয়ে খালেদা জিয়ার পাশে থাকাকেই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরাও মায়ের এই ত্যাগ মেনে নিয়েছেন। খালেদা জিয়া যখন কারাগারে ছিলেন, তখন ফাতেমার মেয়ে বা স্বামী মাঝে মাঝে জেলগেটে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসতেন।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে খালেদা জিয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁর রাজনৈতিক উত্থান-পতন নিয়ে লেখা হবে অনেক বই। সেই ইতিহাসের কোনো এক পাদটীকায় হয়তো ফাতেমা বেগমের নামও লেখা থাকবে। যিনি প্রমাণ করেছেন—পদ-পদবি বা রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও কেবল ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে মানুষ কতটা বিশ্বস্ত হতে পারে।
ফাতেমা হয়তো রাজনীতি বোঝেন না, ক্ষমতার সমীকরণ জানেন না। কিন্তু তিনি জানতেন, তাঁর ‘ম্যাডাম’ তাঁকে ছাড়া অসহায়। আর এই বোধটুকুই ফাতেমাকে সাধারণ একজন গৃহকর্মী থেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

ক্ষমতার মসনদ থেকে নির্জন কারাগার কিংবা হাসপাতালের চার দেয়াল—সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবনের প্রতিটি বাঁকে যিনি নিঃশব্দে পাশে ছিলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতা নন; এমনকি রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়ও নন। তিনি ফাতেমা বেগম। খালেদা জিয়ার দীর্ঘতম সময়ের গৃহকর্মী এবং সবচেয়ে বিশ্বস্ত ‘ছায়াসঙ্গী’।
রাজনীতির উত্তাল সময়ে যখন বড় বড় নেতারা দিকভ্রান্ত হয়েছেন, কিংবা সুসময়ের বন্ধুরা দুঃসময়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তখন ফাতেমা স্থাপন করেছেন বিশ্বস্ততার এক বিরল নজির। নিজের সংসার, স্বামী-সন্তান—সবকিছুকে তুচ্ছ করে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন খালেদা জিয়ার সেবায়।
ফাতেমার বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। খুব সাধারণ পরিবার থেকে আসা ফাতেমা নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে খালেদা জিয়ার বাসভবনে কাজ শুরু করেন। সেই থেকে তিনি খালেদা জিয়ার পরিবারের একজন হয়ে ওঠেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ ফাতেমার দীর্ঘ বসবাস।
সময়ের পরিক্রমায় ফাতেমা কেবল একজন গৃহকর্মী থাকেননি, হয়ে উঠেছেন খালেদা জিয়ার নির্ভরতার প্রতীক। খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো যখন দেশের বাইরে কিংবা কারাগারে ছিলেন, তখন ফাতেমাই ছিলেন এই প্রবীণ নেত্রীর মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তির উৎস।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হয় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যখন তাঁকে নেওয়া হয়, তখন তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ একা। অসুস্থ শরীর আর বয়সের ভারে ন্যুব্জ খালেদা জিয়ার সেই নিঃসঙ্গ সময়ে আদালতের বিশেষ অনুমতি নিয়ে কারাগারে তাঁর সঙ্গে প্রবেশ করেন ফাতেমা।
সাধারণত অপরাধীরাই কারাগারে যায়। কিন্তু ফাতেমা অপরাধী না হয়েও কেবল প্রিয় নেত্রীর সেবা করার জন্য স্বেচ্ছায় কারাবরণ বেছে নেন। নির্জন কারাগারে খালেদা জিয়ার একমাত্র সঙ্গী ছিলেন এই ফাতেমা।
ফাতেমার নিজেরও সংসার আছে। তাঁর স্বামী এবং দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, ছোট মেয়ে পড়াশোনা করছে। কিন্তু ফাতেমা নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকার চেয়ে খালেদা জিয়ার পাশে থাকাকেই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরাও মায়ের এই ত্যাগ মেনে নিয়েছেন। খালেদা জিয়া যখন কারাগারে ছিলেন, তখন ফাতেমার মেয়ে বা স্বামী মাঝে মাঝে জেলগেটে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসতেন।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে খালেদা জিয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁর রাজনৈতিক উত্থান-পতন নিয়ে লেখা হবে অনেক বই। সেই ইতিহাসের কোনো এক পাদটীকায় হয়তো ফাতেমা বেগমের নামও লেখা থাকবে। যিনি প্রমাণ করেছেন—পদ-পদবি বা রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও কেবল ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে মানুষ কতটা বিশ্বস্ত হতে পারে।
ফাতেমা হয়তো রাজনীতি বোঝেন না, ক্ষমতার সমীকরণ জানেন না। কিন্তু তিনি জানতেন, তাঁর ‘ম্যাডাম’ তাঁকে ছাড়া অসহায়। আর এই বোধটুকুই ফাতেমাকে সাধারণ একজন গৃহকর্মী থেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের স্বামী অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের ‘বীর প্রতীক’ খেতাব বাতিল করেছে সরকার। মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে নেওয়া এই খেতাব বাতিলের বিষয়ে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২৩ মিনিট আগে
প্রবাসী এবং দেশের তিন শ্রেণির ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের জন্য নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২৭ মিনিট আগে
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে উত্তাল সময় ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতের জলপাইগুড়িতে জন্ম নেন খালেদা জিয়া। বাবা ইস্কান্দর মজুমদারের বন্ধু চিকিৎসক অবনী গুহ নিয়োগী নবজাতকের নাম দেন ‘শান্তি’।
৩৩ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শোক পালন করা হচ্ছে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
২ ঘণ্টা আগে