leadT1ad

দেড় বছর পর না ফেরার দেশে আরেক জুলাইযোদ্ধা

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৪
রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার সময় ডান পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিক। ছবি সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রায় দেড় বছর মারা গেলেন শফিকুল ইসলাম শফিক। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের দর্শাপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে শফিক পরিবারসহ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

জানা যায়, শহীদ শফিকুল ইসলাম সরকারিভাবে গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। তার গেজেট নম্বর ৭২২। গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার সময় ডান পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিক। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (পিজি) থেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর-পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সরকারিভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা হলেও শফিক দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি জ্বর ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ২৯ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শফিকের ভগ্নিপতি শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, সম্প্রতি গুলির ক্ষতস্থানে সংক্রমণ হলে শফিকুলের জ্বর আসে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি নিউমোনিয়া ও সংক্রমণের কারণে মারা গেছেন।

হালুয়াঘাট জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী জানান, পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর নামাজে জানাজা হয়। পরে নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির শহীদ ও আহত সেলের সমন্বয়কারী আল নূর মোহাম্মদ আয়াস বলেন, শফিকুলের মৃত্যু আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে– আহত জুলাইযোদ্ধারা এখনও উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত