leadT1ad

রায় ৪৫৩ পৃষ্ঠার, জাতিসংঘের রিপোর্ট ও হাসিনার কল রেকর্ডের বর্ণনা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে আদালত চত্বরে। ছবি: আশরাফুল আলম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কার্যক্রম চলছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায় পড়া শুরু করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন– বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এ মামলার অন্য আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন। তাদের মধ্যে মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।

ছয় অংশে ৪৫৩ পৃষ্ঠা রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ে শোনানো হচ্ছে। এতে উঠে এসেছে জুলাই গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন ও আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া কথোপকথনের বর্ণনা।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্টে প্রায় এক হাজার ৪০০ জনের মতো নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগের মৃত্যু হয়েছে রাইফেল ও শটগানের গুলিতে। ওই সময় নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমন্বয়কাজে নেতৃত্ব দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাদের নির্দেশেই বিক্ষোভ দমনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ ও র‍্যাবের তথ্য অনুযায়ী ১১ হাজার ৭০০ জনকে তখন আটক করা হয়েছিল। যারা নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শিশু। পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে শিশুরা টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছে ও পঙ্গু হয়েছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তখন পদ্ধতিগত ও সংগঠিতভাবে মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অংশ হয়ে ওঠেছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে শেখ হাসিনার কথোপকথনের অডিওতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলন দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন তিনি নিজেই দিয়েছিলেন বলে উঠে এসেছে। চলতি বছরের মার্চে অনলাইনে ফাঁস হওয়া ওই অডিও রেকর্ডিং, বিবিসি আই যাচাই করে, যাতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার’ করার জন্য দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর প্রতি নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।

নির্দেশনায় বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ‘যেখানে পাবে, সোজা গুলি করবে’।

Ad 300x250

সম্পর্কিত