স্ট্রিম প্রতিবেদক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে উত্তাল সময় ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতের জলপাইগুড়িতে জন্ম নেন খালেদা জিয়া। বাবা ইস্কান্দর মজুমদারের বন্ধু চিকিৎসক অবনী গুহ নিয়োগী নবজাতকের নাম দেন ‘শান্তি’।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপ-প্রেস সচিব সৈয়দ আবদাল আহমেদ তাঁর ‘নন্দিত নেত্রী: খালেদা জিয়া’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘তখন শরতের স্নিগ্ধ ভোর। নতুন শিশুর আগমনে পরিবারের সবাই আনন্দিত।’
বিভিন্ন জীবনীগ্রন্থে বলা হয়েছে, পৈতৃক নিবাস ফেনীতে হলেও বাবার কর্মসূত্রে খালেদা জিয়ার শৈশব কেটেছে দিনাজপুরে। পরে স্বামী মেজর জিয়াউর রহমানের কর্মস্থল ও নিজের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের সুবাদে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিমের মতে, খালেদা জিয়া ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। পারিবারিক ও রাজনৈতিক কারণে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সব জনপদেই তাঁর পদচিহ্ন পড়েছে।’
খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুর গ্রামে, যা স্থানীয়ভাবে ‘মজুমদার বাড়ি’ নামে পরিচিত। বনেদি এই মুসলিম পরিবারে এখনো তাঁর আত্মীয়-স্বজন বসবাস করেন। তবে বাবার চাকরির সুবাদে খালেদা জিয়ার শিক্ষাজীবন শুরু হয় দিনাজপুরে। পড়াশোনা চলাকালে ১৯৬০ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
শওকত আলী খানের লেখা ‘জিয়াউর রহমান: একটি রাজনৈতিক মহাকাব্য’ বই অনুযায়ী, বিয়ের সময় জিয়াউর রহমান দিনাজপুরে ডিএফআই (বর্তমান ডিজিএফআই) কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান করাচিতে বদলি হলে খালেদা জিয়াও সেখানে তাঁর সঙ্গী হন।
খালেদা জিয়া যখনই রাজনীতিতে এসেছেন, পৈতৃক ভিটার টান ভুলতে পারেননি। ফেনী-১ আসন থেকে তিনি ১৯৯৬ থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চারবার সংসদ নির্বাচন করে বিজয়ী হন। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৩ (সদর) আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করার কথা ছিল।
১৯৭০ সালে জিয়াউর রহমান অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হয়ে চট্টগ্রামে এলে, তাঁরা ষোলশহর এলাকায় সংসার পাতেন। এই বাসাতেই শুরু হয় তাদের দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর শৈশব। ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চে এই সাধারণ বাসাটিই হয়ে ওঠে ইতিহাসের সাক্ষী।
হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’-এর নবম খণ্ডে বলা হয়, ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ শুরু করলে জিয়াউর রহমান ষোলশহর থেকেই ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং রণাঙ্গনে চলে যান।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে দুই সন্তানসহ খালেদা জিয়া কিছুদিন আত্মগোপনে থাকলেও পরে ঢাকায় বড় বোনের বাসায় আশ্রয় নেন। ১৯৭১ সালের ২ জুলাই পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে আটক করে ঢাকা সেনানিবাসের একটি বাড়িতে বন্দি করে রাখে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরদিন ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তি পান। চট্টগ্রামেও তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম-৮ এবং ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হলে তাঁরা ঢাকা সেনানিবাসের মঈনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। স্বামীর শাহাদাতের পর ১৯৮১ সালে বাড়িটি নামমাত্র মূল্যে তাঁকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
দীর্ঘ চার দশক এই বাড়িতে কাটানোর পর ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাঁকে উচ্ছেদ করে। এক কাপড়ে বাড়িটি ছাড়তে বাধ্য হন খালেদা জিয়া। এরপর গুলশানে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাসা ‘ফিরোজা’ হয় তাঁর নতুন ঠিকানা। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। ঢাকার রাজনীতিতেও তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী, ১৯৯১ সালে ঢাকা-৭ ও ঢাকা-৯ আসনে নির্বাচন করে দুটিতেই বিজয়ী হন।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনে স্বামী জিয়াউর রহমানের পৈতৃক নিবাস বগুড়া সব সময়ই বিশেষ স্থান দখল করে ছিল। জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের এই বাড়িটিকে তিনি নিজের দ্বিতীয় এবং প্রকৃত ঠিকানা হিসেবেই মনে করতেন।
প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধীদলীয় নেত্রী, যে অবস্থানেই ছিলেন, বারবার ছুটে গেছেন বাগবাড়ীতে মাটির টানে। স্বামীর পৈতৃক ভিটার অদূরেই তাঁর উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল। বগুড়া কেবল তাঁর শ্বশুরবাড়ি নয়, হয়ে উঠেছিল বিএনপির রাজনীতির অঘোষিত রাজধানী। জীবদ্দশায় প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার একাধিক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি প্রতিবারই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
মঈনুল রোডের বাড়িটি থেকে উচ্ছেদের পর গুলশানের ‘ফিরোজা’ ভবনটিই হয়ে ওঠে খালেদা জিয়ার জীবনের শেষ আশ্রয়স্থল। বাড়ি হারানোর পর গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় এবং এই ‘ফিরোজা’কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হতে থাকে তাঁর রাজনীতি ও ব্যক্তিগত জীবন।
২০১২ সালের ‘রোড মার্চ’ থেকে শুরু করে ২০১৩-১৪ সালের আন্দোলন, সবকিছুরই উপকেন্দ্র ছিল গুলশানের এই বাসভবন।
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে টানা ৯২ দিন তিনি কার্যত অবরুদ্ধ ছিলেন এই কার্যালয়েই। চিকিৎসকদের মতে, সেই অবরুদ্ধ দিনগুলো থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজা নিয়ে তিনি কারাগারে যান। দুই বছরেরও বেশি সময় কারাবাসের পর ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির সময় নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে তিনি আবার ‘ফিরোজা’য় ফিরে আসেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর খালেদা জিয়া পুরোপুরি মুক্তি পান। উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান। সেখানে ১১৭ দিনের চিকিৎসা শেষে ৬ মে দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু বার্ধক্য ও নানাবিধ জটিলতায় বারবার তাঁকে হাসপাতালে ছুটতে হয়েছে।
সব লড়াইয়ের অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ‘আপসহীন নেত্রী’।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে উত্তাল সময় ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতের জলপাইগুড়িতে জন্ম নেন খালেদা জিয়া। বাবা ইস্কান্দর মজুমদারের বন্ধু চিকিৎসক অবনী গুহ নিয়োগী নবজাতকের নাম দেন ‘শান্তি’।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপ-প্রেস সচিব সৈয়দ আবদাল আহমেদ তাঁর ‘নন্দিত নেত্রী: খালেদা জিয়া’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘তখন শরতের স্নিগ্ধ ভোর। নতুন শিশুর আগমনে পরিবারের সবাই আনন্দিত।’
বিভিন্ন জীবনীগ্রন্থে বলা হয়েছে, পৈতৃক নিবাস ফেনীতে হলেও বাবার কর্মসূত্রে খালেদা জিয়ার শৈশব কেটেছে দিনাজপুরে। পরে স্বামী মেজর জিয়াউর রহমানের কর্মস্থল ও নিজের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের সুবাদে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিমের মতে, খালেদা জিয়া ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। পারিবারিক ও রাজনৈতিক কারণে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সব জনপদেই তাঁর পদচিহ্ন পড়েছে।’
খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুর গ্রামে, যা স্থানীয়ভাবে ‘মজুমদার বাড়ি’ নামে পরিচিত। বনেদি এই মুসলিম পরিবারে এখনো তাঁর আত্মীয়-স্বজন বসবাস করেন। তবে বাবার চাকরির সুবাদে খালেদা জিয়ার শিক্ষাজীবন শুরু হয় দিনাজপুরে। পড়াশোনা চলাকালে ১৯৬০ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
শওকত আলী খানের লেখা ‘জিয়াউর রহমান: একটি রাজনৈতিক মহাকাব্য’ বই অনুযায়ী, বিয়ের সময় জিয়াউর রহমান দিনাজপুরে ডিএফআই (বর্তমান ডিজিএফআই) কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান করাচিতে বদলি হলে খালেদা জিয়াও সেখানে তাঁর সঙ্গী হন।
খালেদা জিয়া যখনই রাজনীতিতে এসেছেন, পৈতৃক ভিটার টান ভুলতে পারেননি। ফেনী-১ আসন থেকে তিনি ১৯৯৬ থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চারবার সংসদ নির্বাচন করে বিজয়ী হন। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৩ (সদর) আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করার কথা ছিল।
১৯৭০ সালে জিয়াউর রহমান অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হয়ে চট্টগ্রামে এলে, তাঁরা ষোলশহর এলাকায় সংসার পাতেন। এই বাসাতেই শুরু হয় তাদের দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর শৈশব। ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চে এই সাধারণ বাসাটিই হয়ে ওঠে ইতিহাসের সাক্ষী।
হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’-এর নবম খণ্ডে বলা হয়, ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ শুরু করলে জিয়াউর রহমান ষোলশহর থেকেই ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং রণাঙ্গনে চলে যান।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে দুই সন্তানসহ খালেদা জিয়া কিছুদিন আত্মগোপনে থাকলেও পরে ঢাকায় বড় বোনের বাসায় আশ্রয় নেন। ১৯৭১ সালের ২ জুলাই পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে আটক করে ঢাকা সেনানিবাসের একটি বাড়িতে বন্দি করে রাখে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরদিন ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তি পান। চট্টগ্রামেও তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম-৮ এবং ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হলে তাঁরা ঢাকা সেনানিবাসের মঈনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। স্বামীর শাহাদাতের পর ১৯৮১ সালে বাড়িটি নামমাত্র মূল্যে তাঁকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
দীর্ঘ চার দশক এই বাড়িতে কাটানোর পর ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাঁকে উচ্ছেদ করে। এক কাপড়ে বাড়িটি ছাড়তে বাধ্য হন খালেদা জিয়া। এরপর গুলশানে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাসা ‘ফিরোজা’ হয় তাঁর নতুন ঠিকানা। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। ঢাকার রাজনীতিতেও তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী, ১৯৯১ সালে ঢাকা-৭ ও ঢাকা-৯ আসনে নির্বাচন করে দুটিতেই বিজয়ী হন।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনে স্বামী জিয়াউর রহমানের পৈতৃক নিবাস বগুড়া সব সময়ই বিশেষ স্থান দখল করে ছিল। জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের এই বাড়িটিকে তিনি নিজের দ্বিতীয় এবং প্রকৃত ঠিকানা হিসেবেই মনে করতেন।
প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধীদলীয় নেত্রী, যে অবস্থানেই ছিলেন, বারবার ছুটে গেছেন বাগবাড়ীতে মাটির টানে। স্বামীর পৈতৃক ভিটার অদূরেই তাঁর উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল। বগুড়া কেবল তাঁর শ্বশুরবাড়ি নয়, হয়ে উঠেছিল বিএনপির রাজনীতির অঘোষিত রাজধানী। জীবদ্দশায় প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার একাধিক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি প্রতিবারই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
মঈনুল রোডের বাড়িটি থেকে উচ্ছেদের পর গুলশানের ‘ফিরোজা’ ভবনটিই হয়ে ওঠে খালেদা জিয়ার জীবনের শেষ আশ্রয়স্থল। বাড়ি হারানোর পর গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় এবং এই ‘ফিরোজা’কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হতে থাকে তাঁর রাজনীতি ও ব্যক্তিগত জীবন।
২০১২ সালের ‘রোড মার্চ’ থেকে শুরু করে ২০১৩-১৪ সালের আন্দোলন, সবকিছুরই উপকেন্দ্র ছিল গুলশানের এই বাসভবন।
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে টানা ৯২ দিন তিনি কার্যত অবরুদ্ধ ছিলেন এই কার্যালয়েই। চিকিৎসকদের মতে, সেই অবরুদ্ধ দিনগুলো থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজা নিয়ে তিনি কারাগারে যান। দুই বছরেরও বেশি সময় কারাবাসের পর ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির সময় নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে তিনি আবার ‘ফিরোজা’য় ফিরে আসেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর খালেদা জিয়া পুরোপুরি মুক্তি পান। উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান। সেখানে ১১৭ দিনের চিকিৎসা শেষে ৬ মে দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু বার্ধক্য ও নানাবিধ জটিলতায় বারবার তাঁকে হাসপাতালে ছুটতে হয়েছে।
সব লড়াইয়ের অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ‘আপসহীন নেত্রী’।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বাবা বাড়ি দিনাজপুর শহরের পৌর এলাকার বালুবাড়িতে। তাঁর মায়ের নাম অনুযায়ী বাড়ির নাম ‘তৈয়বা ভিলা’। এই বাড়িতেই কেটেছে তাঁর শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। বর্তমানে বাড়িটিতে তাঁর পরিবারের কেউ থাকেন না। তারপরও তাঁর মৃত্যুর খবরে বাড়িটিতে ছুটে এসেছিলেন অনেকে।
১ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ সাত বছর পর অভিমান ভেঙেছে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের। আবার বিএনপিতে ফিরেছেন তিনি। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয় এলাকায় দেখা যায় মনির খানকে।
১ ঘণ্টা আগে
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের স্বামী অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের ‘বীর প্রতীক’ খেতাব বাতিল করেছে সরকার। মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে নেওয়া এই খেতাব বাতিলের বিষয়ে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রবাসী এবং দেশের তিন শ্রেণির ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের জন্য নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ ঘণ্টা আগে