leadT1ad

নির্বাচন আয়োজনে ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত’: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৯
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের বিদায়ী সাক্ষাৎ। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সফলভাবে আয়োজন নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সফলভাবে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির ব্যাপারে তিনি বলেন, “আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত”। নির্বাচনের আগে শান্তি বিঘ্ন করার যেকোনো ধরনের প্রচেষ্টা আমরা কঠোরভাবে মোকাবিলা করব।’

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাতে গেলে তাঁকে এই প্রস্তুতির কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জ্যাকবসনের এটি বিদায়ী সাক্ষাৎ।

সাক্ষাৎকালে ফেব্রুয়ারির আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের পাশাপাশি বাণিজ্য, সিভিল অ্যাভিয়েশন, শ্রম সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপসহ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচন হয়।

বাংলাদেশে ঘটনাবহুল এক বছর দায়িত্ব পালন শেষে দেশে ফেরার প্রাক্কালে জ্যাকবসন গত ১৭ মাসে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এসময় তিনি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।

সাক্ষাৎকালে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করেন মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স। বিশেষ করে নতুন শ্রম আইনকে ‘সত্যিকারের উল্লেখ্যযোগ্য ও ব্যতিক্রমধর্মী’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এসব সংস্কার বাংলাদেশে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় আগের সরকারগুলোর সময়ে শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে করা ৪৬টি মামলার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের ৪৫টি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেন জ্যাকবসন।

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা নতুন শ্রম অধ্যাদেশকে ‘একটি উৎকৃষ্ট আইন’ হিসেবে মন্তব্য করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় শ্রমিক নেতারা এ সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন অনুসমর্থনের বিষয়টিও ইতিবাচকভাবে দেখছেন।

এসময় তাঁরা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তায় বরাদ্দ নিয়েও আলোচনা করেন। রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

ভবিষ্যতেও এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব এলাকায় আশ্রয় শিবিরগুলোতে বসবাসরত এক মিলিয়নের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার জন্য জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে সবচেয়ে বড় দাতা।’

সাক্ষাতে বছরব্যাপী দায়িত্ব পালনকালে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’-এর জন্য জন্য ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। এসময় ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে বাংলাদেশের ‘বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে আবার বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. ইউনূস।

এসময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত