leadT1ad

গুম-নির্যাতন: শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিচার শুরু

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সংগৃহীত ছবি

র‌্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন বা টিএফআই সেলে (আয়নাঘর) গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিচার শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আদালতের কার্যক্রম শেষে প্রসিকিউটর শাইখ মাহদী জানান, টিএফআই সেলে ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আট বছরে সংঘটিত অপরাধগুলোকে কেন্দ্র করে অভিযোগগুলো গঠন করা হয়েছে। এ মামলায় প্রসিকিউশনের কাছে ৩৫ জনের বেশি সাক্ষী রয়েছেন।

প্রসিকিউশনের তথ্যানুযায়ী, পরিচয় নিশ্চিত হওয়া ১৪ ভু্ক্তভোগীসহ অসংখ্য মানুষকে টিএফআই সেলে গুম করে রাখা এবং তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় মোট চারটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করতে এই গোপন সেল ব্যবহার করা হতো বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার উচ্চপদস্থ ১০ সেনা কর্মকর্তাকে এ দিন কড়া নিরাপত্তায় ঢাকা সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন– র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান।

শুনানির শুরুতে পক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের অব্যাহতির আবেদন জানাল। পরে ট্রাইব্যুনাল তা খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ১০ সেনা কর্মকর্তা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

এ মামলায় পলাতক সাত আসামির মধ্যে রয়েছেন গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত