leadT1ad

ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাঙচুর

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

ছায়ানট ভবনের ভেতরের একটি চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্ববায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ছায়ানট ভবনেও হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।

বৃহ্স্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মধ্যরাতের পর বিক্ষোভকারীদের একটি দল ধানমন্ডির সাততলা এ ভবনের বিভিন্ন তলায় গিয়ে প্রতিটি কক্ষে ভাঙচুর চালায়।

এর আগে, হাদির মৃত্যুর খবর আসার পর শাহবাগসহ রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষোভ বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়। এরই মধ্যে একদল বিক্ষোভকারী রাত ১টার পর ধানমন্ডির শংকরে ছায়ানটের সামনে জড়ো হতে থাকেন।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে (স্বতন্ত্রভাবে যাছাই করা সম্ভব হয়নি) দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা দলে দলে সেখানে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর শুরু করে। তারা সংগঠনের নামফলক ভেঙে ফেলে। নিচ তলায় গিয়ে সব আসবাবপত্র ও বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলে।

বেসরকারি টেলিভিশন চানেলে টোয়েন্টিফোরের লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, তিন তলা পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। মিলনায়তনে যা পেয়েছেন সেটিই ভেঙে ফেলা হয়। পুরো মনিটরিং সিস্টেম, লাইট ও ফ্যান ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে থাকা মাটির তৈরি চারুকর্ম ও শিল্প কর্মও ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রতিটি তলায় থাকা সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এবং সেখানে পরিচালিত বিদ্যালয়ের সবগুলো কক্ষ ও অফিস রুমের বেশির ভাগ আসবাব ভেঙে ফেলা হয়েছে। কাগজপত্র ও সরঞ্জাম তছনছ করা হয়েছে।

ভাঙচুরের সময় হামলাকারীদের বলতে শোনা যায় ‘ভারতীয় সংস্কৃতি চর্চার’ কোনো জায়গা নেই বাংলাদেশে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, এ হামলার পর ছায়ানট ভবনে পরিচালিত ‘ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের’ ক্লাসসহ সংগঠনের সব কার্যক্রম পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ছায়ানটের ফেসবুকে পেজে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত