leadT1ad

জাতীয় কবির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ওসমান হাদি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৫
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে। ছবি: সংগৃহীত

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ৩টার দিকে তাঁকে দাফন করা হয়।

এর আগে দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর নামাজে জানাজা হয়। এতে ইমামতি করেন হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজায় অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জুলাই অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা ও সাধারণ ছাত্র-জনতা। এরপর বেলা ৩টার দিকে মরদেহবাহী ফ্রিজার ভ্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছায়। পরিবার, স্বজন ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে বেলা সোয়া ৩টার দিকে তাঁকে দাফন করা হয়। সহযোদ্ধারা চোখের জলে বিদায় জানান ওসমান হাদিকে।

গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় গণসংযোগ করে ফেরার পথে বেলা ২টা ২৪ মিনিটে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা অবস্থায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে টানা ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত বৃহস্পতিবার তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয়।

শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক। ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন ইনকিলাব মঞ্চ। এ ছাড়া তিনি ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত