প্রশাসনিক জটিলতা দূর করে জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার বিষয়ে একমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স। পরিবেশ ও পানি সম্পদ সম্পর্কিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে উচ্চপর্যায়ের নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ওপরও জোর দিয়েছে উভয় দেশ।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শারলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তাঁরা এই ঐকমত্য প্রকাশ করেন।
বৈঠকে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান সরকারিভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দ্রুত ছাড়পত্র প্রয়োজন—এমন প্রকল্পগুলোর একটি স্পষ্ট তালিকা প্রস্তুত করা এবং দ্রুত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা নথিপত্র চূড়ান্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা কাটিয়ে এসব উদ্যোগ এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) সমর্থিত বিভিন্ন পরিবেশ ও পানি সম্পর্কিত প্রকল্পের অগ্রগতি এবং অর্থায়ন নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শারলে বাংলাদেশের জলবায়ু কর্মসূচিতে তার দেশের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, অভিযোজন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাজেট সহায়তাসহ বিভিন্ন খাতে ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
উভয় পক্ষই প্রশাসনিক বাধাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে প্রকল্পগুলোর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সম্মত হন।
বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, যুগ্মসচিব লুবনা ইয়াসমিন এবং ফরাসি দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।