স্ট্রিম প্রতিবেদক

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের বিছানায় সংকটময় মুহূর্ত পার করছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ৩৯ বছর আগে স্বামী হারিয়েছেন। আদরের ছোট ছেলেও মারা গেছেন ১০ বছর আগে। একমাত্র জীবিত সন্তান তারেক রহমান ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে ছিলেন। জীবনের শেষ অংশের বড় সময় তাঁকে বন্দিদশায় কাটাতে হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার অভাবে তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছিল নানা রোগব্যাধি। এসব রোগ নিয়ে নানা কটূক্তি শুনতে হলেও তিনি কোনো অভিযোগ করেননি। এমনকি শেষ বক্তৃতায়ও তাঁর ওপর দীর্ঘদিনের নির্যাতনকারী স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার নামে কোনো কটূক্তি বা বিষোদ্গার ছিল না।
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর কারামুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় কিছুদিন অবস্থান করেন। প্রিয় সন্তানের সঙ্গে সচেতনভাবে কাটানো ওটাই ছিল তাঁর শেষ সময়। গত ২৫ ডিসেম্বর দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তারেক রহমান দেশে ফিরেছেন। চারদিকে যখন তাঁর আগমন ঘিরে আনন্দমুখর পরিবেশ, ঠিক তখনই নেমে এলো শোকের ছায়া।
সোমবার দিবাগত রাতে শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা। গভীর রাতে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হাসান জানান, খালেদা জিয়া অতি সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন।
এরপর আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন। এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে গৃহবধূ থেকে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আপসহীন নেত্রী হয়ে ওঠা খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য জীবনের।
দীর্ঘ দেড় যুগের আন্দোলন-সংগ্রাম শেষে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বিএনপির এই অগ্রযাত্রার মুহূর্তে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। সচেতন অবস্থায় ছেলের স্থায়ী প্রত্যাবর্তন ও নেতা-কর্মীদের ভালোবাসার জোয়ার দেখে যেতে পারেননি তিনি।
মৃত্যুকালে তাঁর পাশে ছিলেন বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বড় পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান, নাতনি জাইমা রহমান, ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি, ছোট ভাই শামীম এসকান্দার এবং বড় বোন সেলিনা ইসলামসহ আরও আত্মীয়স্বজন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের বিছানায় সংকটময় মুহূর্ত পার করছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ৩৯ বছর আগে স্বামী হারিয়েছেন। আদরের ছোট ছেলেও মারা গেছেন ১০ বছর আগে। একমাত্র জীবিত সন্তান তারেক রহমান ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে ছিলেন। জীবনের শেষ অংশের বড় সময় তাঁকে বন্দিদশায় কাটাতে হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার অভাবে তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছিল নানা রোগব্যাধি। এসব রোগ নিয়ে নানা কটূক্তি শুনতে হলেও তিনি কোনো অভিযোগ করেননি। এমনকি শেষ বক্তৃতায়ও তাঁর ওপর দীর্ঘদিনের নির্যাতনকারী স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার নামে কোনো কটূক্তি বা বিষোদ্গার ছিল না।
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর কারামুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় কিছুদিন অবস্থান করেন। প্রিয় সন্তানের সঙ্গে সচেতনভাবে কাটানো ওটাই ছিল তাঁর শেষ সময়। গত ২৫ ডিসেম্বর দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তারেক রহমান দেশে ফিরেছেন। চারদিকে যখন তাঁর আগমন ঘিরে আনন্দমুখর পরিবেশ, ঠিক তখনই নেমে এলো শোকের ছায়া।
সোমবার দিবাগত রাতে শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা। গভীর রাতে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হাসান জানান, খালেদা জিয়া অতি সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন।
এরপর আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন। এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে গৃহবধূ থেকে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আপসহীন নেত্রী হয়ে ওঠা খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য জীবনের।
দীর্ঘ দেড় যুগের আন্দোলন-সংগ্রাম শেষে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বিএনপির এই অগ্রযাত্রার মুহূর্তে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। সচেতন অবস্থায় ছেলের স্থায়ী প্রত্যাবর্তন ও নেতা-কর্মীদের ভালোবাসার জোয়ার দেখে যেতে পারেননি তিনি।
মৃত্যুকালে তাঁর পাশে ছিলেন বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বড় পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান, নাতনি জাইমা রহমান, ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি, ছোট ভাই শামীম এসকান্দার এবং বড় বোন সেলিনা ইসলামসহ আরও আত্মীয়স্বজন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।

ভোট ঘিরে অনিয়ম প্রতিরোধ, গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে সমুন্নত রাখা এবং নিরপেক্ষতা দৃশ্যমান করার জন্য চারটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
৪৪ মিনিট আগে
বিএনপির সদ্য প্রয়াত চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাঁর বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে খালেদা জিয়া একজন মমতাময়ী মা, যিনি নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য।’
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনে আনা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
জরুরি তলবে ঢাকায় এসেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা পৌঁছান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে