চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়ে প্রেমিক ও তার বন্ধুদের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। গত ৬ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটে। তবে সেই পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে রেখেছিল ধর্ষণকারীরা, যা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে তারা। পরে ঘটনা জানাজানি হলে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে গত ১০ নভেম্বর শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওইদিনই শিবগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নয়ন আলী (২১) ও ইমন (২৫) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে পলাতক রয়েছে মামলার আরেক আসামি মো. জাহাঙ্গীর আলী (২৭)।
আটক নয়ন শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের হাঙ্গামী গ্রামের মো. মোকিম আলীর ছেলে এবং ইমন একই উপজেলার চরসিংনগর গ্রামের নুৎফল মিস্ত্রির ছেলে। পলাতক রয়েছে হাঙ্গামী গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলী।
নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর স্বজনরা জানান, আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজের এইচএসসি পড়ুয়া ইমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে পদ্মার চরে ঘুরতে যায় তারা। সেখানেই পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয় ওই কিশোরী। এর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলেরও চেষ্টা করে ধর্ষণকারীরা। এতে সাড়া না দিলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই স্কুল ছাত্রী। তার স্বজনরা ঘটনার তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। যেহেতু ঘটনার কিছু দিন পরে এখানে এসেছে, আসামিদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠাতে হবে।’
শিবগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাকিল রেজা বলেন, ‘ঘটনাটি জানতে পেরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এর পরেই অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা আদালতে দায় স্বীকার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অপর আসামি জাহাঙ্গীরকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।’