leadT1ad

কৃষকের পণ্যের দাম নির্ধারণ করা নির্বুদ্ধিতা: আমীর খসরু

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৫
বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সম্মেলনে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি সংগৃহীত

কৃষকের পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া নির্বুদ্ধিতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের দাম ঠিক করে দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান বোকার মতো কাজ করেছে। বাজারকে বাজারের মতো চলতে দেওয়া উচিত।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সম্মেলনে এসব কথা বলেন আমীর খসরু।

চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আজ ‘কৃষি ও খাদ্যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আমীর খসরু বলেন, কৃষিতে ভালো করেছি। কিন্তু বিপ্লব হয়নি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঞ্চলভিত্তিক ম্যাপিং করতে হবে। খাদ্য আমদানি নির্ভরতা কমাতে না পারলে বৈশ্বিক রাজনীতির শিকার হতে হবে।

তিনি বলেন, কৃষির বিশাল পরিবর্তন হচ্ছে। কৃষিতেও বিপ্লব সম্ভব। জিয়াউর রহমানের স্লোগান ছিল উৎপাদনের রাজনীতি। তখন বিদেশে চাল রপ্তানি হয়েছে। কৃষির সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে সরকার বেসরকারি খাত ও এনজিওগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কৃষি খাতে নীতি আছে। তবে নীতি বাস্তবায়ন করার মানুষ কম। অনেক সংস্কার হয়। কিন্তু কৃষক এর সুফল পায় না। কৃষকের ফসল পচে নষ্ট নয়। এটিকে প্রক্রিয়াজাত করতে হবে। কৃষিতে বিনিয়োগ দরকার। প্রযুক্তির উন্নয়ন দরকার।

তিনি বলেন, খাদ্যে বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। কারণ অনেক দেশ হঠাৎ করে কোনো একটি পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। আবার কোনো একটি পণ্যে ট্যারিফ আরোপ করে। এ কারণে খাদ্যে বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে।

আমীর খসরু আরও বলেন, শুধু কৃষক নয়, গ্রামগঞ্জে কামার-কুমার, তারা ভালো দাম পায় না। কৃষকসহ সর্বক্ষেত্রে ইন্ট্রিগ্রেশন করতে হবে। কৃষিপণ্যের বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে আমাদের সংযোগ ঘটাতে হববে। কৃষককে সাহায্য করতে চাইলে অন্যভাবে সাপোর্ট দিতে হবে৷ কিন্তু কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া বোকামি সিদ্ধান্ত।

বিএজেএফ সভাপতি সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সভাপতিত্বে ও বিএজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু খালিদের সঞ্চালনায় সভায় প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। নতুবা দেশের উন্নয়ন ঘটবে না। মাছ-মুরগির উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। হর্টিকালচারে আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এর জন্য আমরা চীনের সহায়তা নিতে পারি।

তিনি বলেন, আমার ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করব, কেনাবেচার ক্ষেত্রে আমরা পরিমিত লাভ করব। আমরা যদি পরিমিত লাভ না করি, তাহলে আপনারা (সাংবাদিক) ধরিয়ে দেবেন। সবার সহযোগিতায় দেশের কৃষিখাতকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

সম্মেলনের কো-স্পন্সর আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, লাল তীর সিডস লিমিটেড, ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বন অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

Ad 300x250

সম্পর্কিত