দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায় থাকা সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) জানিয়েছেন, গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলায় বেনজীর আহমেদ একাই আসামি। কমিশন এই মামলাতেই আজ আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেনজীরের নামে মোট ১৫ কোটি ৬৮ লক্ষ ২৫১ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর বিপরীতে তাঁর নামে ৬ কোটি ৫৯ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৬৮ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। এই সময়ে তিনি ব্যয় করেছেন ১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৯৩ টাকা। সেই হিসেবে তার ব্যয় বাদে নিট সঞ্চয় দাঁড়ায় ৪ কোটি ৬৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬৭৫ টাকা। ফলে, অর্জিত মোট সম্পদ থেকে বৈধ সঞ্চয় বাদ দিলে তার নামে ১১ কোটি ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়।
দুদক আরও জানায়, বেনজীর আহমেদ গত ২৭ আগস্ট তার আইনজীবীর মাধ্যমে যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছিলেন, তাতে তিনি ৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের (স্থাবর ও অস্থাবর) সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তদন্তে আরও দেখা যায়, অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যা মিজ যাহরা যারীন বিনতে বেনজীরের নামে অর্জিত কোনো স্থাবর সম্পদের তথ্য সম্পদ বিবরণীতে দেখাননি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, বেনজীরের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডাসহ বিদেশে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে দেশগুলোতে এমএলআর (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট) পাঠানো হয়েছে। সেসব দেশ থেকে তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া, বেনজীর পরিবারের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংসহ আরও কয়েকটি দুর্নীতির মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে আইনি প্রক্রিয়ায় আনা হবে বলে দুদক জানিয়েছে।