স্ট্রিম প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন-২০০৪ সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এই সংশোধনের মধ্য দিয়ে কেবল কমিশনের প্রশাসনিক কাঠামোতেই পরিবর্তন আনা হয়নি, বরং সংস্থাটির অনুসন্ধান ও তদন্তের এখতিয়ার বা কর্মপরিধি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশে প্রথমবারের মতো দুদকের এনফোর্সমেন্ট ও গোয়েন্দা কার্যক্রমকে সুনির্দিষ্ট আইনি কাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে, যা এতদিন কেবল বিধির মাধ্যমে পরিচালিত হতো।
আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অনুমোদনক্রমে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। নতুন এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কমিশনের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে ক্ষমতা সম্প্রসারণ এবং এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমকে আইনি কাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে।
নতুন অধ্যাদেশ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে কমিশনের ক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করে ঘুষ ও দুর্নীতির পাশাপাশি জালিয়াতি, প্রতারণা, চোরাচালান, করসংক্রান্ত অপরাধ এবং পুঁজিবাজারের কারসাজিকে দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
দুদক আইনের তফসিলে সংশোধনী এনে সংস্থার কার্যপরিধি ও ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। আইনের ৩ উপধারায় প্রথমবারের মতো এনফোর্সমেন্ট ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এখন থেকে সরাসরি মূল আইনের অধীনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর অধীন অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষেত্রে। সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী, আগে দুদক কেবল ঘুষ ও দুর্নীতি সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং অপরাধের তদন্ত করতে পারত। অধ্যাদেশে এই পরিধি বিস্তৃত করে ঘুষ ও দুর্নীতি ছাড়াও দলিল-দস্তাবেজ জালকরণ, প্রতারণা, জালিয়াতি, দেশি ও বিদেশি মুদ্রা পাচার, চোরাচালান ও শুল্কসংক্রান্ত অপরাধ এবং করসংক্রান্ত অপরাধ দুদকের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজারের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশের আগে কাজে লাগিয়ে শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে সুবিধা গ্রহণ বা বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার মতো অপরাধগুলোও এখন দুদকের আওতাভুক্ত হবে।
সংশোধিত অধ্যাদেশে আইনের ৫ নম্বর ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন বিধান অনুযায়ী, কমিশনের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন থেকে একজন নারী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন কমিশনারসহ অনধিক পাঁচজন কমিশনারের সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি তাদের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করবেন।
আইনের ৭ নম্বর ধারা সংশোধন করে সার্চ কমিটির পরিবর্তে যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনের বিধান করা হয়েছে। এ কমিটিতেও এসেছে কাঠামোগত পরিবর্তন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে আপিল বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ বিচারক এই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হবেন প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান। এ ছাড়া সরকারি ও বিরোধী দলের মতামতের ভিত্তিতে স্পিকার কর্তৃক মনোনীত দুইজন সংসদ সদস্য (একজন সরকারি ও একজন বিরোধী দলীয়) সদস্য থাকবেন। তবে জাতীয় সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় বাছাই কমিটি গঠনের প্রয়োজন হলে সংসদ সদস্যদের ছাড়াই কমিটি গঠন করা যাবে বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানকে প্রধান করে আট সদস্যের দুদক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশন দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে, যা গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে দুদককে স্বাধীন ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়াসহ ৪৭টি সুপারিশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৭টি সুপারিশ ছিল প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যকর করার লক্ষ্যে। যদিও গত ২৮ নভেম্বর টিআইবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, অধ্যাদেশে সংস্কার কমিশনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সুপারিশ বাদ দেওয়ায় তাঁরা হতাশ।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন-২০০৪ সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এই সংশোধনের মধ্য দিয়ে কেবল কমিশনের প্রশাসনিক কাঠামোতেই পরিবর্তন আনা হয়নি, বরং সংস্থাটির অনুসন্ধান ও তদন্তের এখতিয়ার বা কর্মপরিধি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশে প্রথমবারের মতো দুদকের এনফোর্সমেন্ট ও গোয়েন্দা কার্যক্রমকে সুনির্দিষ্ট আইনি কাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে, যা এতদিন কেবল বিধির মাধ্যমে পরিচালিত হতো।
আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অনুমোদনক্রমে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। নতুন এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কমিশনের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে ক্ষমতা সম্প্রসারণ এবং এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমকে আইনি কাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে।
নতুন অধ্যাদেশ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে কমিশনের ক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করে ঘুষ ও দুর্নীতির পাশাপাশি জালিয়াতি, প্রতারণা, চোরাচালান, করসংক্রান্ত অপরাধ এবং পুঁজিবাজারের কারসাজিকে দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
দুদক আইনের তফসিলে সংশোধনী এনে সংস্থার কার্যপরিধি ও ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। আইনের ৩ উপধারায় প্রথমবারের মতো এনফোর্সমেন্ট ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এখন থেকে সরাসরি মূল আইনের অধীনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর অধীন অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষেত্রে। সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী, আগে দুদক কেবল ঘুষ ও দুর্নীতি সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং অপরাধের তদন্ত করতে পারত। অধ্যাদেশে এই পরিধি বিস্তৃত করে ঘুষ ও দুর্নীতি ছাড়াও দলিল-দস্তাবেজ জালকরণ, প্রতারণা, জালিয়াতি, দেশি ও বিদেশি মুদ্রা পাচার, চোরাচালান ও শুল্কসংক্রান্ত অপরাধ এবং করসংক্রান্ত অপরাধ দুদকের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজারের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশের আগে কাজে লাগিয়ে শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে সুবিধা গ্রহণ বা বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার মতো অপরাধগুলোও এখন দুদকের আওতাভুক্ত হবে।
সংশোধিত অধ্যাদেশে আইনের ৫ নম্বর ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন বিধান অনুযায়ী, কমিশনের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন থেকে একজন নারী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন কমিশনারসহ অনধিক পাঁচজন কমিশনারের সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি তাদের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করবেন।
আইনের ৭ নম্বর ধারা সংশোধন করে সার্চ কমিটির পরিবর্তে যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনের বিধান করা হয়েছে। এ কমিটিতেও এসেছে কাঠামোগত পরিবর্তন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে আপিল বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ বিচারক এই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হবেন প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান। এ ছাড়া সরকারি ও বিরোধী দলের মতামতের ভিত্তিতে স্পিকার কর্তৃক মনোনীত দুইজন সংসদ সদস্য (একজন সরকারি ও একজন বিরোধী দলীয়) সদস্য থাকবেন। তবে জাতীয় সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় বাছাই কমিটি গঠনের প্রয়োজন হলে সংসদ সদস্যদের ছাড়াই কমিটি গঠন করা যাবে বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানকে প্রধান করে আট সদস্যের দুদক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশন দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে, যা গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে দুদককে স্বাধীন ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়াসহ ৪৭টি সুপারিশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৭টি সুপারিশ ছিল প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যকর করার লক্ষ্যে। যদিও গত ২৮ নভেম্বর টিআইবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, অধ্যাদেশে সংস্কার কমিশনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সুপারিশ বাদ দেওয়ায় তাঁরা হতাশ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করে।
২৬ মিনিট আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে অভিযান চালিয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচিত তাহরিমা জান্নাত সুরভী (২১) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর টেকপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর এক আবেগঘন পরিবেশে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
১৭ বছর পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে গুলশানে জড়ো হতে শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হচ্ছেন।
৪ ঘণ্টা আগে