জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ভূমিকম্প পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিরূপণের জন্য নিরীক্ষা চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল কার্যালয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের ভবনে এক্সপ্যানশন জয়েন্ট সরে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল পরিদর্শনে যান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রকৌশল কার্যালয়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, আসাদুজ্জামান ও মো. আশিকুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা যায়, গত ২১ নভেম্বর হওয়া ভূমিকম্পে আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের এক্সপ্যানশন জয়েন্ট সরে গেছে। এছাড়া হলের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। হেলে পড়েছে হলের উত্তর পাশের সিঁড়ির একটি অংশ।
এ বিষয়ে উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান স্ট্রিমকে বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় এক্সপ্যানশন জয়েন্ট কেঁপেছে। তবে কম্পন থামার পর সেটি আর আগের অবস্থায় ফেরেনি। তাই সেটা ডিসলোকেট হয়ে গেছে। যদি হলের ফাউন্ডেশন শক্ত হতো তাহলে এটি পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতো। এক্সপেনশন জয়েন্টটা খণ্ড খণ্ড হওয়ার কারণে আমরা এটা বুঝতে পেরেছি।’
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও প্রকৌশল অফিসের অফিস প্রধান অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা যখন কামালউদ্দিন হলের রুমগুলোতে যাই, তখন সেখানে কোনো ফাটল দেখিনি। তবে মনে হয়েছে যেন ১৫ থেকে ২০ বছর ওখানে কেউ থাকেনি। দেওয়ালগুলো ড্যাম হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরনো হলগুলো তো এখন ডেমলিশ করার সুযোগ নেই। ডেমলিশ বা ডিসমেন্টেল করে এই সমস্যার সমাধান হবে না। তাই আমাদেরকে এই হলগুলো রেট্রোফিট করতে হবে।’
এ বিষয়ে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং নিজে বুয়েটের তিনজন প্রফেসরের সঙ্গে কথা বলেছি। আজকে বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলরকে চিঠি দেওয়া হবে। এরপর ভাইস চ্যান্সেলর সিভিল ডিপার্টমেন্টকে রেফার করবে। সিভিল ডিপার্টমেন্ট থেকে একটা টিম ফর্ম করে ভিজিটে আসবেন। এছাড়া মঞ্জুরি কমিশন থেকে আমি কালকে আসতে বলছি। ওনারা চেষ্টা করবেন কালকে প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শাখা থেকে ভিজিটে আসার।’