স্ট্রিম ডেস্ক

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী খনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন নিয়ে ২০০৬ সালে হওয়া আন্দোলনের পর সরকারের পিছু হাঁটার সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের জন্য ‘আত্মঘাতী’ বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তাঁর মতে, সেই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে ভারতীয় কয়লার ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে ইংরেজিতে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এসব মত প্রকাশ করেন। পোস্টে তিনি এটিকে তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত’ বলেও উল্লেখ করেন।
শফিকুল আলম লিখেছেন, বামপন্থী দল ও কর্মীদের কাছে ২০০৬ সালের ফুলবাড়ী কয়লা–উত্তোলনবিরোধী আন্দোলনকে তাঁরাও গর্বের মুহূর্ত হিসেবে দেখেন। আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে কয়েকজন নিহত হন। বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস আগে আন্দোলনটি হয়েছিল। বিএনপি তখনো উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। পরবর্তী সরকারও প্রকল্পটি কার্যকরভাবে স্থগিত করে, যা আর কখনো শুরু হয়নি।
ওই সময় তিনি নিজে এএফপির সংবাদদাতা ছিলেন বলে পোস্টে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, ‘ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প, বিশেষ করে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত অসংখ্য প্রতিবেদন ও মতামতধর্মী লেখার কথা মনে পড়ে। অথচ চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো শীর্ষ কয়লা উৎপাদনকারী দেশগুলোও ব্যাপকভাবে এই পদ্ধতির ওপরই নির্ভর করে। প্রায় প্রতিটি মতামতে উপসংহারে বলা হতো, ফুলবাড়ী প্রকল্পে পরিবেশগত বিপর্যয়, বাতাসের মান খারাপ এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছিল ক্ষতিগ্রস্তদের কখনো উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন করা হবে না।’
শফিকুল আলম বলেন, কয়লা উত্তোলন না করার ফলে যে বিশাল ব্যয় হয়েছে, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। আন্দোলনের কারণে প্রকল্প স্থগিত হলো এমন সময়ে, যখন শিল্পোন্নত দেশগুলো প্রাথমিক জ্বালানির জন্য কয়লার ওপর নির্ভরশীল ছিল এবং যখন বাংলাদেশের গ্যাস মজুদ দৃশ্যত কমে যাচ্ছিল। এক দশকের মধ্যে গ্যাসের ঘাটতি এতটাই বাড়ে যে, বিদ্যুৎকেন্দ্র, সারের কারখানা এবং রপ্তানিমুখী শিল্প সচল রাখতে বাংলাদেশকে এলএনজি আমদানি শুরু করতে হয়।
তিনি মনে করেন, তখন প্রকল্পটি দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশ্বব্যাপী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তখন আদর্শ ছিল। প্রকল্প বাতিল হওয়ায় দেশের অর্থপ্রদানের ভারসাম্যে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়েছে। তাঁর হিসেবে, বার্ষিক কয়লা উত্তোলন হলে জ্বালানি আমদানিতে কমপক্ষে দুই শ কোটি ডলার সাশ্রয় হতো। কিন্তু পরিবেশ-বিধ্বংসী হবে এমন আশঙ্কা এবং প্রভাবশালী সংবাদপত্রের সমর্থিত বামপন্থী গোষ্ঠীর ভয়ে ফুলবাড়ী, দিঘিপাড়া ও জামালগঞ্জের কয়লা সম্পদ অক্ষত রাখা হয়েছে।
তাঁর ভাষায়, এটি ছিল ‘আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত’। এর ফলে বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে ভারতীয় কয়লার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আজ প্রায় ১০ হাজার ইটভাটায় ভারতীয় কয়লা পোড়ানো হচ্ছে, যা বায়ুদূষণের বৃহত্তম উৎসে পরিণত হয়েছে।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণও থেমে থাকেনি। বাংলাদেশ এরইমধ্যে বড় কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে এবং ভারত-ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কয়লা ব্যবহার করছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর ফলে কারা লাভবান হয়েছে? পাশাপাশি বলেন, ‘বাংলাদেশ আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গেও বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করেছে, যা মূলত ভারতীয় কয়লায় চলে।’
তিনি বলেন, ২০০০-এর দশকে বাংলাদেশ দরিদ্র ছিল, এখনো তাই আছে। বাংলাদেশের কখনোই ‘কয়লাবিহীন ভবিষ্যৎ’ বেছে নেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। উদাহরণ তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, চীনের বিশাল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বিশ্বের বৃহত্তম সৌরশক্তি উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে; আজও বহু ক্ষেত্রে কয়লার ওপর নির্ভরশীল। কারণ দেশটি জ্বালানি নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। নীতিনির্ধারকেরা বুঝতে পারেন, জাতীয় সামর্থ্যের মূলভিত্তি জ্বালানি নিয়ন্ত্রণে।
শফিকুল আলম বলেন, আদর্শবাদীদের দাবিতে এই ভিত্তি দুর্বল করে দিলে অর্থনীতি সব ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ে। বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে সামান্য ওঠানামা অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। বাংলাদেশ ১৯৭৩-৭৪ এবং ২০০৭-০৮ সালের সংকটে এ অভিজ্ঞতা পেয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘তারপরও আমরা কিছু শিখিনি।’

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী খনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন নিয়ে ২০০৬ সালে হওয়া আন্দোলনের পর সরকারের পিছু হাঁটার সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের জন্য ‘আত্মঘাতী’ বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তাঁর মতে, সেই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে ভারতীয় কয়লার ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে ইংরেজিতে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এসব মত প্রকাশ করেন। পোস্টে তিনি এটিকে তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত’ বলেও উল্লেখ করেন।
শফিকুল আলম লিখেছেন, বামপন্থী দল ও কর্মীদের কাছে ২০০৬ সালের ফুলবাড়ী কয়লা–উত্তোলনবিরোধী আন্দোলনকে তাঁরাও গর্বের মুহূর্ত হিসেবে দেখেন। আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে কয়েকজন নিহত হন। বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস আগে আন্দোলনটি হয়েছিল। বিএনপি তখনো উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। পরবর্তী সরকারও প্রকল্পটি কার্যকরভাবে স্থগিত করে, যা আর কখনো শুরু হয়নি।
ওই সময় তিনি নিজে এএফপির সংবাদদাতা ছিলেন বলে পোস্টে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, ‘ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প, বিশেষ করে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত অসংখ্য প্রতিবেদন ও মতামতধর্মী লেখার কথা মনে পড়ে। অথচ চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো শীর্ষ কয়লা উৎপাদনকারী দেশগুলোও ব্যাপকভাবে এই পদ্ধতির ওপরই নির্ভর করে। প্রায় প্রতিটি মতামতে উপসংহারে বলা হতো, ফুলবাড়ী প্রকল্পে পরিবেশগত বিপর্যয়, বাতাসের মান খারাপ এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছিল ক্ষতিগ্রস্তদের কখনো উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন করা হবে না।’
শফিকুল আলম বলেন, কয়লা উত্তোলন না করার ফলে যে বিশাল ব্যয় হয়েছে, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। আন্দোলনের কারণে প্রকল্প স্থগিত হলো এমন সময়ে, যখন শিল্পোন্নত দেশগুলো প্রাথমিক জ্বালানির জন্য কয়লার ওপর নির্ভরশীল ছিল এবং যখন বাংলাদেশের গ্যাস মজুদ দৃশ্যত কমে যাচ্ছিল। এক দশকের মধ্যে গ্যাসের ঘাটতি এতটাই বাড়ে যে, বিদ্যুৎকেন্দ্র, সারের কারখানা এবং রপ্তানিমুখী শিল্প সচল রাখতে বাংলাদেশকে এলএনজি আমদানি শুরু করতে হয়।
তিনি মনে করেন, তখন প্রকল্পটি দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশ্বব্যাপী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তখন আদর্শ ছিল। প্রকল্প বাতিল হওয়ায় দেশের অর্থপ্রদানের ভারসাম্যে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়েছে। তাঁর হিসেবে, বার্ষিক কয়লা উত্তোলন হলে জ্বালানি আমদানিতে কমপক্ষে দুই শ কোটি ডলার সাশ্রয় হতো। কিন্তু পরিবেশ-বিধ্বংসী হবে এমন আশঙ্কা এবং প্রভাবশালী সংবাদপত্রের সমর্থিত বামপন্থী গোষ্ঠীর ভয়ে ফুলবাড়ী, দিঘিপাড়া ও জামালগঞ্জের কয়লা সম্পদ অক্ষত রাখা হয়েছে।
তাঁর ভাষায়, এটি ছিল ‘আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত’। এর ফলে বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে ভারতীয় কয়লার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আজ প্রায় ১০ হাজার ইটভাটায় ভারতীয় কয়লা পোড়ানো হচ্ছে, যা বায়ুদূষণের বৃহত্তম উৎসে পরিণত হয়েছে।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণও থেমে থাকেনি। বাংলাদেশ এরইমধ্যে বড় কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে এবং ভারত-ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কয়লা ব্যবহার করছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর ফলে কারা লাভবান হয়েছে? পাশাপাশি বলেন, ‘বাংলাদেশ আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গেও বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করেছে, যা মূলত ভারতীয় কয়লায় চলে।’
তিনি বলেন, ২০০০-এর দশকে বাংলাদেশ দরিদ্র ছিল, এখনো তাই আছে। বাংলাদেশের কখনোই ‘কয়লাবিহীন ভবিষ্যৎ’ বেছে নেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। উদাহরণ তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, চীনের বিশাল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বিশ্বের বৃহত্তম সৌরশক্তি উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে; আজও বহু ক্ষেত্রে কয়লার ওপর নির্ভরশীল। কারণ দেশটি জ্বালানি নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। নীতিনির্ধারকেরা বুঝতে পারেন, জাতীয় সামর্থ্যের মূলভিত্তি জ্বালানি নিয়ন্ত্রণে।
শফিকুল আলম বলেন, আদর্শবাদীদের দাবিতে এই ভিত্তি দুর্বল করে দিলে অর্থনীতি সব ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ে। বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে সামান্য ওঠানামা অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। বাংলাদেশ ১৯৭৩-৭৪ এবং ২০০৭-০৮ সালের সংকটে এ অভিজ্ঞতা পেয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘তারপরও আমরা কিছু শিখিনি।’

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য ‘চ্যালেঞ্জার ৬০৪’ উড়োজাহাজ আগামী মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় পৌঁছাবে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিতে ভাড়ার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার অনুমতি পেয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল কেজিপ্রতি প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মতো। গতকাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে আজকে আবার একটু দাম কমেছে।’
৭ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানের সীমানা বেড়ায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুরে এ ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
৯ ঘণ্টা আগে