leadT1ad

এই এনসিপির সঙ্গে নাই মাহফুজ, টানলেন ‘শীতল যুদ্ধ’ প্রসঙ্গ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী সমঝোতার আওতায় ঢাকায় প্রার্থী হতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ জানিয়েছেন, তিনি এই এনসিপির অংশ হচ্ছেন না।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম ছাত্রনেতা মাহফুজ আলম জানান, জামায়াত-এনসিপি জোট থেকে তাঁকে ঢাকায় প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের আদর্শিক অবস্থান ধরে রাখাকেই তিনি অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। মাহফুজ বলেন, ‘আমি এই এনসিপির অংশ হচ্ছি না। জোটের প্রার্থী হওয়ার চেয়ে আমার লং স্ট্যান্ডিং পজিশন ধরে রাখা জরুরি।’

মাহফুজ আলম ছাড়াও এনসিপির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে ইতোমধ্যে হয় দল ছেড়েছেন, নয়তো এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত নাগরিক কমিটি ও এনসিপিকে একটি স্বতন্ত্র ‘বিগ জুলাই আম্ব্রেলা’ বা বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে তাঁর আক্ষেপ, ‘কিন্তু নানাবিধ কারণে তা সম্ভব হয়নি।’ মাহফুজের অভিযোগ, তাঁর অনেক জুলাই সহযোদ্ধা এনসিপির নেতৃত্বে থাকলেও, তিনি যেসব নীতি ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলেছিলেন, তা দলটিতে পুরোপুরি ধারণ করা হয়নি।

জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতা হিসেবে যে তিনজন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন, তাদের একজন মাহফুজ আলম। অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা তরুণদের দল ও সংগঠন এনসিপি এবং নাগরিক কমিটিতে তাঁর প্রভাব ছিল। তবে এ মাসের প্রথম দিকে মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদ ছাড়ার পর তিনি এনসিপি থেকে প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা ছিল।

এখন নির্বাচন ঘিরে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর এই দলের সঙ্গে তিনি আর যুক্ত না হওয়ার সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করলেন। বর্তমানে ইতিহাস একটি ‘শীতল যুদ্ধের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সময়ে কোনো নির্দিষ্ট পক্ষের অংশ না হয়ে নীতিতে অটল থাকাই শ্রেয়। তবে মাহফুজ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বিকল্প ও মধ্যপন্থী তরুণ শক্তির উত্থান এখনো সম্ভব এবং তিনি তাঁর রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই চালিয়ে যাবেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত