leadT1ad

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: আটক যুবশক্তি নেত্রীকে আসামি করে মামলা

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
খুলনা

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১২
খুলনা মেডিকেলে গুলিবিদ্ধ শ্রমিক শক্তির নেতা মোতালেব শিকদার। স্ট্রিম ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির খুলনা বিভাগীয় কমিটির প্রধান মোতালেব শিকদারকে গুলি করার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মোতালেব শিকদারের স্ত্রী রহিমা আক্তার ফাহিমা খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা থানায় মামলাটি করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম সদস্য সচিব মোসা. তনিমা ওরফে তন্বীকে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে সাত থেকে আটজনকে।

নগরের সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে মোতালেব শিকদারের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে তানিয়া তন্বীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত সাত থেকে আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে এ ঘটনায় আটক তানিয়া তন্বীকে মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’

এর আগে সোমবার রাতে তনিমাকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তাকে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওসি রফিকুল বলেন, থা‘নার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে সন্ধ্যার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তনিমাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে নেওয়া হয়।’

তিনি আরও জানান, একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোতালেব কিছুটা সুস্থ হয়েছেন।

খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম জানান, রোববার রাত ১২টার দিকে দুই সহযোগীকে নিয়ে তনিমা ওরফে তন্বীর ভাড়া করা নগরের আল-আকসা মসজিদ সড়কের মুক্তা হাউসের বাসায় যান মোতালেব শিকদার। সারারাত তারা সেখানেই ছিলেন। সোমবার সকালে ওই বাড়িতে চার-পাঁচজনের একটি দল ঢোকে। তারা মোতালেব শিকদারকে মারধর এবং অর্থ দাবি করে। একপর্যায়ে তারা ভয় দেখাতে গুলি করে। গুলিটি মোতালেবের মাথার চামড়া স্পর্শ করে বেরিয়ে যায়। এরপর মোতালেব নিজে হেঁটে হাসপাতালে যান। তখন অন্যরা পালিয়ে যায়।

তাজুল ইসলাম বলেন, মাঝেমধ্যেই তনিমার বাসায় যেতেন মোতালেবসহ অন্যরা। ওই কক্ষে অসামাজিক কার্যকলাপ এবং মাদক সেবন করতেন তারা। সেখানে নিয়মিত আদকের আড্ডা বসত। গুলির ঘটনার পর ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদের খালি বোতল, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে কারা ছিল, এ তথ্য জানতে তনিমাকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি কিছু তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে সেগুলো প্রকাশ করা যাচ্ছে না। অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি র‌্যাব, সিআইডি, পিবিআই ছায়া তদন্ত করছে।

এদিকে সোমবার রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মোতালেব শিকদারের পরিবার। সেখানে মোতালেব শিকদারের স্ত্রী রহিমা আক্তার ফাহিমা দাবি করেন, ফাঁদে ফেলে মোতালেবকে তনিমার বাসায় নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে কারা ছিল, অস্ত্রধারীরা কারা এবং সেই অস্ত্র কোথায় এগুলো খুঁজে বের করলে মূল রহস্য বের হয়ে আসবে।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, নগরের সোনাডাঙ্গা শেখপাড়া পল্লীমঙ্গল স্কুল এলাকার মৃত মোসলেম শিকদারের ছেলে পেশায় ট্রাকচালক মোতালেব একসময় শ্রমিক লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি এনসিপির সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তিতে যোগ দেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত