leadT1ad

শেখ হাসিনার হাজার বার ফাঁসি দিলেও কম হবে: মীর স্নিগ্ধ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মীর স্নিগ্ধ। সংগৃহীত ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের মামলার রায় ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে আসছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রাইব্যুনালের সামনে আসেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই মীর স্নিগ্ধ। এসময় তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টে যে রায় জনগণ দিয়েছে, আমরা আশা করছি সেই রায় অনুযায়ী আদালত থেকে রায় ঘোষণা হবে। শেখ হাসিনা যে অত্যাচার করেছেন, সে জন্য তাঁর একবার না, হাজার বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও সেটি কম হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব শহীদ পরিবার, আহত এবং গত ১৭ বছর শেখ হাসিনা যাঁদের ওপর অত্যাচার করেছেন তাঁদের সবার একটাই আশা— সেটি হলো শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় আসবে আজকে এবং যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে এই রায়টি কার্যকর করা হবে।’

প্রত্যাশা পূরণ না হলে কী পদক্ষেপ নেবেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্নিগ্ধ বলেন, ‘প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার প্রশ্নই আসে না। কারণ আগেই বলেছি, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ তাঁদের রায় দিয়ে দিয়েছেন। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শহীদ হন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী মিরাজ হোসেন (২৯)। সকালে তাঁর বাবা আব্দুর রব হাইকোর্ট এলাকার মাজার গেটের বাইরে একটি ব্যানার হাতে নিয়ে অবস্থান করছেন। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, যাত্রাবাড়ী থানার সামনে হানিফ ফ্লাইওভারে ৫ আগস্ট পৌনে ৩টায় গুলিবিদ্ধ হয় মিরাজ। ওইদিনই তাঁর মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমরা আজ ফাঁসির রায় শুনতে চাই। সন্তানদের যাতে বুঝ দিতে পারি, দোষীদের শাস্তি হয়েছে। তাহলে শহীদ পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবো। শুধু হাসিনা নয়, দোষী পুলিশের কর্মকর্তাদেরও শাস্তি চাই।’

আব্দুর রব আরও বলেন, ‘মিরাজের অন্যায় ছিল আন্দোলনে অংশ নেওয়া, যাত্রাবাড়ীতে দেশের পতাকা ওড়ানো। এর জন্য পুলিশ বাহিনী তার ওপর গুলি চালিয়েছিল।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত