leadT1ad

বিজিবি দিবসে ৭২ জনকে পদক, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৭
বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২৫’ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের শহীদ শাকিল আহমেদ হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি বিজিবিতে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদকপ্রাপ্তদের ব্যাজ পরিয়ে দেন। এ বছর ১২ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ২৪ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম), ১২ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক-সেবা (বিজিবিএমএস) এবং ২৪ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক-সেবা (পিবিজিএমএস) দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৭২ জনকে বিভিন্ন পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পদক প্রদান শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবির খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং উপহারসামগ্রী দেন। তিনি ভবিষ্যতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবিতে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদকপ্রাপ্তদের ব্যাজ পরিয়ে দেন। ছবি: সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবিতে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদকপ্রাপ্তদের ব্যাজ পরিয়ে দেন। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদর দপ্তরের অভয়ারণ্যে বৃক্ষরোপণ করেন এবং সীমান্ত কুঞ্জে ভিভিআইপি রেজিস্টারে স্বাক্ষর করেন।

দুপুর ১টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বীর উত্তম খন্দকার ফজলুর রহমান মাল্টিপারপাস শেডে বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কেন্দ্রীয় প্রীতিভোজে অংশ নেন। প্রীতিভোজে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী, তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে ফজরের নামাজের পর পিলখানাসহ সারা দেশে বিজিবির সব মসজিদে বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এ ছাড়া বিজিবির সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিট পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি শাহাদতবরণ করেন। এ কারণে সরকার ২০ ডিসেম্বরকে শোক দিবস ঘোষণা করায় ওই দিন বিজিবি দিবসের সব আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছিল। পরে ২৯ ডিসেম্বর বিজিবি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিষয়:

বিজিবি
Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত