শামীমা সুলতানা

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর যেসব পদক্ষেপ সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশে নারী শিক্ষার প্রসারে তাঁর নীতিগত অবদান। ১৯৯১ সালে তিনি যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন, তখন থেকেই নারী শিক্ষার চিত্রটি পাল্টাতে শুরু করে।
আমাদের সমাজব্যবস্থার মধ্যে পুরুষতান্ত্রিকতা প্রবলভাবে বিরাজমান। বিশেষ করে মফস্বল ও প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে তা অত্যন্ত প্রকট। তঝন মেয়েদের পড়াশোনাকে প্রায়শই অপ্রয়োজনীয় মনে করা হতো। মনে করা হত যে, মেয়েরা তো বিয়ের পর চলেই যাবে। বাবা-মাকে দেখবে পরিবারের পুত্র সন্তান। গ্রামীণ পরিবারগুলো এরকম সব অর্থনৈতিক ও সনাতন সামাজিক কারণে মেয়েদের শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে দ্বিধা করত। এই গভীর সামাজিক সমস্যাটি অনুধাবন করে বেগম খালেদা জিয়া এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ নেন।
দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রেখে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই সত্য উপলব্ধি করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি নারীদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা চালু করেন। যখন রাষ্ট্র মেয়েদের শিক্ষার দায়ভার নিল এবং বিনে পয়সায় পড়ার সুযোগ নিশ্চিত হলো, তখন গ্রামীণ পরিবারগুলোর আগ্রহ বাড়ে। এর ফলে মেয়েরা অন্তত একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়। এটি ছিল শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদী সুফল পুরো জাতি ভোগ করছে। আজ দেশের কর্মক্ষেত্র, প্রশাসন কিংবা জাতীয় উন্নয়নে নারীদের যে ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা যায়, তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে এই সিদ্ধান্তের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বেগম জিয়ার রাজনৈতিক জীবন নানা চড়াই-উতরাই ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের কঠিন সময়ে তাঁকে দেশ ত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হলেও তিনি দেশেই থাকার অবস্থানে অনড় থাকেন। যার জন্য তিনি ‘আপসহীন নেত্রী’ নামেও পরিচিত। তাঁর এই দৃঢ়তা কেবল রাজনীতির মাঠে নয়, প্রতিফলিত হয়েছে দেশের উন্নয়ন নীতিতেও।
বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই নেত্রীর অবদান দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যে নীতি ও সাহসের মাধ্যমে দেশের নারী সমাজের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছেন, তার গুরুত্ব দল-মত নির্বিশেষে সকলের কাছে স্বীকৃত। দেশের মানুষ তাঁর সুস্থতার প্রত্যাশা করে। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দৃঢ়তা দেশের সম্পদ।
লেখক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর যেসব পদক্ষেপ সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশে নারী শিক্ষার প্রসারে তাঁর নীতিগত অবদান। ১৯৯১ সালে তিনি যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন, তখন থেকেই নারী শিক্ষার চিত্রটি পাল্টাতে শুরু করে।
আমাদের সমাজব্যবস্থার মধ্যে পুরুষতান্ত্রিকতা প্রবলভাবে বিরাজমান। বিশেষ করে মফস্বল ও প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে তা অত্যন্ত প্রকট। তঝন মেয়েদের পড়াশোনাকে প্রায়শই অপ্রয়োজনীয় মনে করা হতো। মনে করা হত যে, মেয়েরা তো বিয়ের পর চলেই যাবে। বাবা-মাকে দেখবে পরিবারের পুত্র সন্তান। গ্রামীণ পরিবারগুলো এরকম সব অর্থনৈতিক ও সনাতন সামাজিক কারণে মেয়েদের শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে দ্বিধা করত। এই গভীর সামাজিক সমস্যাটি অনুধাবন করে বেগম খালেদা জিয়া এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ নেন।
দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রেখে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই সত্য উপলব্ধি করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি নারীদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা চালু করেন। যখন রাষ্ট্র মেয়েদের শিক্ষার দায়ভার নিল এবং বিনে পয়সায় পড়ার সুযোগ নিশ্চিত হলো, তখন গ্রামীণ পরিবারগুলোর আগ্রহ বাড়ে। এর ফলে মেয়েরা অন্তত একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়। এটি ছিল শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদী সুফল পুরো জাতি ভোগ করছে। আজ দেশের কর্মক্ষেত্র, প্রশাসন কিংবা জাতীয় উন্নয়নে নারীদের যে ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা যায়, তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে এই সিদ্ধান্তের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বেগম জিয়ার রাজনৈতিক জীবন নানা চড়াই-উতরাই ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের কঠিন সময়ে তাঁকে দেশ ত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হলেও তিনি দেশেই থাকার অবস্থানে অনড় থাকেন। যার জন্য তিনি ‘আপসহীন নেত্রী’ নামেও পরিচিত। তাঁর এই দৃঢ়তা কেবল রাজনীতির মাঠে নয়, প্রতিফলিত হয়েছে দেশের উন্নয়ন নীতিতেও।
বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই নেত্রীর অবদান দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যে নীতি ও সাহসের মাধ্যমে দেশের নারী সমাজের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছেন, তার গুরুত্ব দল-মত নির্বিশেষে সকলের কাছে স্বীকৃত। দেশের মানুষ তাঁর সুস্থতার প্রত্যাশা করে। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দৃঢ়তা দেশের সম্পদ।
লেখক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে তিনি কেবল একজন রাজনীতিবিদই নন, বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সারিতে থাকা এক ঝাঁক তরুণের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দ্বিদলীয় তথা পরিবারতান্ত্রিকতা ছিল প্রবল। এর বাইরে গিয়ে একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তারা আর্বিভূত হবে—যাদের আদর্শ হবে কট্টর ডান ও বামের মাঝামাঝি এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ ত
১৮ ঘণ্টা আগে
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো।
২ দিন আগে
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুন, তাঁর দুটি ছোট মেয়ের আগুনে পুড়ে মৃত্যু—এই ঘটনাগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন দুঃখ নয়; এগুলো হলো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতার ধারাবাহিক ট্র্যাজেডি।
৩ দিন আগে