leadT1ad

অর্থ কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায়ও দোষী সাব্যস্ত মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৯
গত ২২ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুর আদালতে তোলা হয় নাজিব রাজাককে। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ তহবিল ওয়ান এমডিবির (মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাড) আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত দ্বিতীয় মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক (৭২) দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশটির উচ্চ আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। খবর আল জাজিরার।

শুক্রবার কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করে। নাজিবকে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (৫৩৯ মিলিয়ন ডলার) অবৈধভাবে স্থানান্তরে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি অভিযোগ এবং ২১টি অর্থ পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে এর জন্য কত বছরের সাজা দেওয়া হবে তা উল্লেখ করা হয়নি আল জাজিরার প্রতিবেদনে।

প্রসিকিউটর বলেছেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাজিব ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এক দশকেরও আগে অর্থমন্ত্রী ও বিনিয়োগ তহবিল ওয়ান এমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান বিপুল পরিমাণ অর্থ নাজিবের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সরিয়েছেন।

গত সাত বছর ধরে এই মামলার বিচার কাজ চলে। এ সময় ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে নাজিবেরও সাক্ষ্য নেয় আদালত। এর আগে ২০২০ সালে ওয়ান এমডিবি তহবিল থেকে প্রায় ৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অপব্যবহারের অভিযোগের প্রথম মামলায় নাজিবের ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে তা ৬ বছরে নামিয়ে আনা হয় এবং এখন তিনি এ সাজা ভোগ করছেন।

গত বছর ওয়ান এমডিবি কেলেঙ্কারিতে ভুলভাবে পরিচালনার জন্য নাজিব ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় মামলার বিচারের সময় তিনি দাবি করেছিলেন, পলাতক মালয়েশিয়ান অর্থলগ্নিকারী ও ব্যবসায়ী ঝো লো তাঁকে বিপথগামী করেছিলেন। ঝো লোকে গ্রেপ্তারে ২০১৬ সালে ইন্টারপোল রেড নোটিস জারি করে। বর্তমানে তার অবস্থান অজানা।

আজ বিচার কাজ চলাকালীন বিচারক কলিন লরেন্স সিকুয়েরাহ আদালতকে বলেন, প্রমাণে দেখা গেছে নাজিবের সঙ্গে ঝো লো’র ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও যোগাযোগ ছিল’। ঝো লো প্রধানমন্ত্রীর ‘প্রক্সি ও মধ্যস্থতাকারী’ হিসেবে কাজ করেছেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত