leadT1ad

মিয়ানমারে একপেশে নির্বাচনে খরা ভোটারের

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারকে সহায়তা করছেন পোলিং কর্মকর্তা। ছবি: আল-জাজিরা

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রায় চার বছর পর প্রথম সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গৃহযুদ্ধের আবহ ও আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, প্রধান শহরগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল ২০২০ সালের নির্বাচনের তুলনায় অনেক কম।

২০২১ সালে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে হটানোর পর জান্তা সরকারের অধীনে এটিই প্রথম ভোট। জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং দাবি করেছেন, তিন দফার এই নির্বাচন দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে। তবে জাতিসংঘ, পশ্চিমা দেশ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।

শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি এখনো বন্দি ও তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ফলে সামরিক বাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) নির্বাচনে একতরফা জয় পেতে যাচ্ছে, এটি অনুমেয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত সামরিক বাহিনীর ক্ষমতাকে বৈধতা দিতেই এই ভোটের আয়োজন।

ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়সহ প্রধান শহরগুলোতে নির্বাচনী প্রচারে আগের মতো কোনো আমেজ দেখা যায়নি। জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং কড়া পাহারায় রাজধানী নেপিদোতে ভোট দিয়ে গণমাধ্যমে হাসি মুখে পোজ দেন। তবে লড়াই চলতে থাকা চীন রাজ্যের হাকা শহর ছিল প্রায় ভোটারশূন্য। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বয়কটের ডাকে সেখানে কেউ ভোট দিতে আসেননি।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুস বলেছেন, এই নির্বাচন সংকটের সমাধান নয়, বরং মিয়ানমারের মানুষের ওপর সামরিক দমন-পীড়ন দীর্ঘস্থায়ী করার মাধ্যম। তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন আন্তর্জাতিক সমালোচনা অগ্রাহ্য করে এই ভোটকে ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যতের’ পথ হিসেবে দাবি করেছেন।

প্রথম দফার ভোটের পর আগামী ১১ ও ২৫ জানুয়ারি পরের দুই দফার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। মিয়ানমারের ৩৩০ জনপদের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোটগ্রহণের লক্ষ্য থাকলেও অনেক এলাকা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায়, সেখানে ভোট নিয়ে সংশয় রয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার তারিখ এখনো জানায়নি জান্তা সরকার।

Ad 300x250

সম্পর্কিত