স্ট্রিম ডেস্ক

সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী ও কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এসডিএফকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে একীভূত করার নির্ধারিত সময়সীমার আগমুহূর্তে।
আল জাজিরাকে একটি সূত্র জানায়, সোমবার আলেপ্পোর শেইহান ও লাইরমুন গোলচত্বরের কাছে সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থানে এসডিএফ গুলি চালালে দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ১১ জন আহত হন।
সংঘর্ষের কারণে ওই এলাকা থেকে বহু পরিবার ও স্থানীয় শ্রমিক নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা এ তথ্য জানিয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদক আয়মান ওঘান্না দামেস্ক থেকে জানান, ওই এলাকায় ভারী মেশিনগানের গুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স জানায়, এসডিএফের গুলিতে তাদের দুজন উদ্ধারকর্মী আহত হয়েছেন। তারা যে গাড়িতে ছিলেন, সেটিতে গুলি চালানো হয়। এছাড়া শেইহান গোলচত্বরে এসডিএফের গুলিতে দুটি শিশু বিভিন্ন ধরনের আঘাত পেয়েছে।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সানার মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, এসডিএফের হামলায় একজন সেনাসদস্যসহ দুজন নিরাপত্তা সদস্য আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় এ হামলাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে উল্লেখ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যায় আলেপ্পোর শেখ মাকসুদ ও আশরাফিয়েহ এলাকায় অবস্থানরত এসডিএফ সদস্যরা যৌথ চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনরত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালায়।
তবে এসডিএফ বেসামরিক এলাকায় হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, সিরীয় সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ এ হামলা চালিয়েছে। দামেস্ক কর্তৃপক্ষ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর সোমবার গভীর রাতে উভয় পক্ষ গুলি বন্ধে সম্মত হয়। সানা জানায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে সিরীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ গুলির উৎস লক্ষ্য না করার নির্দেশ দিয়েছে।
একই সঙ্গে এসডিএফও জানিয়েছে, তারা তাদের বাহিনীকে পাল্টা হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
উচ্চপর্যায়ের আলোচনা
এসডিএফকে নতুন সিরীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলার মধ্যেই এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। নির্ধারিত সময়সীমা সামনে রেখে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক সফর করেন। সেখানে তিনি সিরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদের অপসারণের পর ক্ষমতায় আসেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি এসডিএফের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ওই চুক্তির মাধ্যমে এসডিএফকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা চুক্তিতে স্পষ্ট করা হয়নি। এ কারণে চুক্তি বাস্তবায়ন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
দামেস্ক থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক আয়মান ওঘান্না জানান, সিরিয়া ও তুরস্কের উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকই সোমবারের সংঘর্ষের ‘মূল উদ্দীপক’ ছিল।
তিনি বলেন, এর আগে দামেস্ক প্রস্তাব দিয়েছিল এসডিএফের প্রায় ৫০ হাজার যোদ্ধাকে তিনটি ডিভিশনে ভাগ করে আংশিকভাবে সিরীয় নিয়ন্ত্রণে আনার। কিন্তু তুরস্ক এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে। তারা এসডিএফের বিদ্যমান কমান্ড কাঠামো ভেঙে দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট এসডিএফ ২০১৫ সাল থেকে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
ওঘান্না আরও বলেন, এসডিএফকে সিরীয় সরকারি বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বর্তমানে সিরিয়ার সবচেয়ে বিস্ফোরক ইস্যু। এটি দেশটির জাতীয় ঐক্যের জন্যও বড় হুমকি তৈরি করছে।
মধ্যপ্রাচ্য নীতি বিষয়ক তাহরির ইনস্টিটিউটের ননরেসিডেন্ট ফেলো সামি আকিল বলেন, চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে আস্থার অভাব অন্যতম।
তিনি জানান, এসডিএফের ওপর প্রবল চাপ রয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা ছেড়ে দিয়ে সিরীয় সেনাবাহিনীতে একীভূত হতে বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে তুরস্কের পক্ষ থেকেও সিরীয় সরকারের ওপর কূটনৈতিক সমাধানের জন্য ব্যাপক চাপ রয়েছে।
তার মতে, উভয় পক্ষের ওপর চাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই সংঘর্ষ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। এর মাধ্যমে আলোচনাকে অস্থিতিশীল করা বা তুরস্কের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।
‘পদ্ধতিগত গড়িমসি’
সবচেয়ে বড় বিতর্কের বিষয় হলো, নতুন সেনাবাহিনীতে এসডিএফ একটি সমন্বিত ইউনিট হিসেবে থাকবে কি না। নাকি তাদের ভেঙে দিয়ে সদস্যদের আলাদাভাবে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তুরস্ক এসডিএফকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তারা এসডিএফকে একটি একক ইউনিট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করে আসছে।
কুর্দি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসডিএফ-সংশ্লিষ্ট তিনটি ডিভিশনকে ইউনিট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কতটা কাছাকাছি দুই পক্ষ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মার্চের চুক্তি বাস্তবায়নের শেষ সময়সীমা ছিল বছরের শেষ পর্যন্ত। এর মধ্যে অগ্রগতি না হলে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
সোমবার হাকান ফিদানের পাশে দাঁড়িয়ে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে এসডিএফের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ বা আন্তরিক ইচ্ছা দেখা যায়নি। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ‘পদ্ধতিগত গড়িমসি’ করা হচ্ছে।
শিবানি আরও জানান, সামরিক একীভূতকরণ এগিয়ে নিতে দামেস্ক এসডিএফের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। রোববার তারা এর জবাব দিয়েছে। সেই জবাব বর্তমানে পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে।

সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী ও কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এসডিএফকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে একীভূত করার নির্ধারিত সময়সীমার আগমুহূর্তে।
আল জাজিরাকে একটি সূত্র জানায়, সোমবার আলেপ্পোর শেইহান ও লাইরমুন গোলচত্বরের কাছে সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থানে এসডিএফ গুলি চালালে দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ১১ জন আহত হন।
সংঘর্ষের কারণে ওই এলাকা থেকে বহু পরিবার ও স্থানীয় শ্রমিক নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা এ তথ্য জানিয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদক আয়মান ওঘান্না দামেস্ক থেকে জানান, ওই এলাকায় ভারী মেশিনগানের গুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স জানায়, এসডিএফের গুলিতে তাদের দুজন উদ্ধারকর্মী আহত হয়েছেন। তারা যে গাড়িতে ছিলেন, সেটিতে গুলি চালানো হয়। এছাড়া শেইহান গোলচত্বরে এসডিএফের গুলিতে দুটি শিশু বিভিন্ন ধরনের আঘাত পেয়েছে।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সানার মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, এসডিএফের হামলায় একজন সেনাসদস্যসহ দুজন নিরাপত্তা সদস্য আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় এ হামলাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে উল্লেখ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যায় আলেপ্পোর শেখ মাকসুদ ও আশরাফিয়েহ এলাকায় অবস্থানরত এসডিএফ সদস্যরা যৌথ চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনরত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালায়।
তবে এসডিএফ বেসামরিক এলাকায় হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, সিরীয় সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ এ হামলা চালিয়েছে। দামেস্ক কর্তৃপক্ষ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর সোমবার গভীর রাতে উভয় পক্ষ গুলি বন্ধে সম্মত হয়। সানা জানায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে সিরীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ গুলির উৎস লক্ষ্য না করার নির্দেশ দিয়েছে।
একই সঙ্গে এসডিএফও জানিয়েছে, তারা তাদের বাহিনীকে পাল্টা হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
উচ্চপর্যায়ের আলোচনা
এসডিএফকে নতুন সিরীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলার মধ্যেই এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। নির্ধারিত সময়সীমা সামনে রেখে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক সফর করেন। সেখানে তিনি সিরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদের অপসারণের পর ক্ষমতায় আসেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি এসডিএফের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ওই চুক্তির মাধ্যমে এসডিএফকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা চুক্তিতে স্পষ্ট করা হয়নি। এ কারণে চুক্তি বাস্তবায়ন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
দামেস্ক থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক আয়মান ওঘান্না জানান, সিরিয়া ও তুরস্কের উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকই সোমবারের সংঘর্ষের ‘মূল উদ্দীপক’ ছিল।
তিনি বলেন, এর আগে দামেস্ক প্রস্তাব দিয়েছিল এসডিএফের প্রায় ৫০ হাজার যোদ্ধাকে তিনটি ডিভিশনে ভাগ করে আংশিকভাবে সিরীয় নিয়ন্ত্রণে আনার। কিন্তু তুরস্ক এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে। তারা এসডিএফের বিদ্যমান কমান্ড কাঠামো ভেঙে দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট এসডিএফ ২০১৫ সাল থেকে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
ওঘান্না আরও বলেন, এসডিএফকে সিরীয় সরকারি বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বর্তমানে সিরিয়ার সবচেয়ে বিস্ফোরক ইস্যু। এটি দেশটির জাতীয় ঐক্যের জন্যও বড় হুমকি তৈরি করছে।
মধ্যপ্রাচ্য নীতি বিষয়ক তাহরির ইনস্টিটিউটের ননরেসিডেন্ট ফেলো সামি আকিল বলেন, চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে আস্থার অভাব অন্যতম।
তিনি জানান, এসডিএফের ওপর প্রবল চাপ রয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা ছেড়ে দিয়ে সিরীয় সেনাবাহিনীতে একীভূত হতে বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে তুরস্কের পক্ষ থেকেও সিরীয় সরকারের ওপর কূটনৈতিক সমাধানের জন্য ব্যাপক চাপ রয়েছে।
তার মতে, উভয় পক্ষের ওপর চাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই সংঘর্ষ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। এর মাধ্যমে আলোচনাকে অস্থিতিশীল করা বা তুরস্কের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।
‘পদ্ধতিগত গড়িমসি’
সবচেয়ে বড় বিতর্কের বিষয় হলো, নতুন সেনাবাহিনীতে এসডিএফ একটি সমন্বিত ইউনিট হিসেবে থাকবে কি না। নাকি তাদের ভেঙে দিয়ে সদস্যদের আলাদাভাবে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তুরস্ক এসডিএফকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তারা এসডিএফকে একটি একক ইউনিট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করে আসছে।
কুর্দি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসডিএফ-সংশ্লিষ্ট তিনটি ডিভিশনকে ইউনিট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কতটা কাছাকাছি দুই পক্ষ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মার্চের চুক্তি বাস্তবায়নের শেষ সময়সীমা ছিল বছরের শেষ পর্যন্ত। এর মধ্যে অগ্রগতি না হলে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
সোমবার হাকান ফিদানের পাশে দাঁড়িয়ে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে এসডিএফের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ বা আন্তরিক ইচ্ছা দেখা যায়নি। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ‘পদ্ধতিগত গড়িমসি’ করা হচ্ছে।
শিবানি আরও জানান, সামরিক একীভূতকরণ এগিয়ে নিতে দামেস্ক এসডিএফের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। রোববার তারা এর জবাব দিয়েছে। সেই জবাব বর্তমানে পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে নতুন করে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, মাদুরোর জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া হলে তা হবে একটি ‘বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত’। ভেনেজুয়েলার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইন-সংক্রান্ত নথির একটি অংশে গিসলেন ম্যাক্সওয়েলের ভূমিকা নতুন করে সামনে এসেছে। এসব নথিতে দেখা যায়, কিশোরী মেয়েদের এপস্টেইনের অন্ধকার জগতে টেনে আনতে তিনি নানা মনস্তাত্ত্বিক কৌশল ব্যবহার করতেন।
২০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফানিল সারভারভ। তিনি রুশ সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং অধিদপ্তরের প্রধান ছিলেন। এই হামলাকে লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
২১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে সৌদি আরবে অন্তত ৩৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের রেকর্ড এটি। এর আগে ২০২৪ সালে ৩৪৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল। এভাবে টানা দ্বিতীয় বছর সৌদি আরব নিজের রেকর্ড ভেঙেছে।
২১ ঘণ্টা আগে