leadT1ad

নুরের শরীরে তিন আঘাত, এখনো আশঙ্কামুক্ত নন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
গুরুতর আহত নুরুল হক নুর বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের জ্ঞান ফিরেছে। নুরের শরীরের তিন জায়গায় আঘাত লেগেছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকের বরাতে স্ট্রিমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন তাঁর দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান।

আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শাকিল এই তথ্য জানান। স্ট্রিমকে তিনি বলেন, `সারা রাত পর সকালে নুরুল হক নুরের জ্ঞান ফিরেছে। তাঁর চোখ, নাক ও মাথায় আঘাত লেগেছে। এর মধ্যে মাথার আঘাতটা আশঙ্কাজনক। সেখানে গুরুতর আঘাত লেগেছে।‘

এদিকে, নুরের চিকিৎসার জন্য উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, মাথা ও নাকের আঘাতের কারণে নুরের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে ও তাঁর জ্ঞান ফিরেছে। তবে ৪৮ ঘণ্টার আগে তিনি আশঙ্কামুক্ত, সেটি বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, রাজধানীর কাকরাইলে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জাপা কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ওই সংঘর্ষ হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

গতকাল রাতে হামলার পর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন জানিয়েছিলেন, জাতীয় পার্টির হামলার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৯টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে নুরুল হক নুরসহ নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে নুরসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।

হামলায় নুর মাথা, নাক ও চোখে আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। সকালে তাঁর জ্ঞান ফিরেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি জানান, নুরের চিকিৎসার জন্য উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে ৪৮ ঘণ্টার আগে তিনি আশঙ্কামুক্ত, সেটি বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, গতকাল রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘটনার শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে অনুরোধ জানান। তবে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু নেতা-কর্মী তা উপেক্ষা করে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করেন। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালান এবং আনুমানিক রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বাড়ান। তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালান।

জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য আহত হন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

Ad 300x250

সম্পর্কিত