leadT1ad

অবৈধ ও অতিরিক্ত আহরণে কমছে সামুদ্রিক মাছের সংস্থান: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

সমুদ্রে অবৈধ ও অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ এবং ক্ষতিকর জালের ব্যবহারের কারণে সামুদ্রিক মাছের সংস্থান কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সমুদ্র জরিপের ফলাফল বাংলাদেশকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।

রোববার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইকোসিস্টেম অ্যাপ্রোচ টু ফিশারিজ (ইএএফ)-ন্যানসেন সার্ভে ২০২৫’ বিষয়ক ডি-ব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা জানান, বঙ্গোপসাগরের কোনো কোনো স্থানে অক্সিজেন স্বল্পতা, মাইক্রোপ্লাস্টিকের উচ্চ ঘনত্ব ও জেলিফিশের অস্বাভাবিক বিস্তার হচ্ছে। এসব সতর্ক সংকেত সামুদ্রিক পরিবেশের গুরুতর ঝুঁকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এছাড়া ২৭৩টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলারের মধ্যে ৭২টি সাউন্ড নেভিগেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও সঠিক প্রয়োগ না থাকায় মাছের অপচয় বাড়ছে।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলারের লাইসেন্স সীমিত করা ও ট্রলারভিত্তিক আহরণে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের তাগিদ দিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের নিয়ে করণীয় ঠিক করা হবে। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা অপরিহার্য।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন বক্তব্য দেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত