
.png)

সমুদ্রে অবৈধ ও অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ এবং ক্ষতিকর জালের ব্যবহারের কারণে সামুদ্রিক মাছের সংস্থান কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সমুদ্র জরিপের ফলাফল বাংলাদেশকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।

কৃষি খাতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ও গুরুত্বপূর্ণ উপখাত হওয়া সত্ত্বেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সরকারি কোনো ভর্তুকি পায় না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

অপরিকল্পিতভাবে মাছ আহরণের ফলে সমুদ্রে মাছের মজুদ বা স্টক কমে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। মৎস্য বিভাগের সনদ জটিলতার কারণ আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে মাছ রপ্তানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে প্রতিদিন অন্তত দেড় কোটি টাকার রপ্তানি আয় কমবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়া পাখি মাছটির পিঠে জুড়ে ( প্রায় মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত) পাখনা থাকে। দেখতে অনেকটা নৌকার পালের মতো বলে একে সেইল (পাল) ফিশ বলা হয়। উপকূলে এসব মাছের চাহিদা না থাকায় তেমন একটা দাম ওঠে না। মাছটি ৩১২ টাকা কেজি ধরে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন জেলে জসিম মোল্লা।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে ধরা ২৪ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ বিক্রি হয়েছে ৬৭ হাজার ২০০ টাকায়। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মাছটি ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।

বরেন্দ্র অঞ্চলে বছরে গড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। সাধারণত বৃষ্টিপাত কম হয় বলে এই অঞ্চল ক্রমেই খরাপ্রবণ হয়ে উঠছে। কিন্তু শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতের অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ২৭ কেজি ওজনের একটি বিশাল পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি উন্মুক্ত নিলামে ৭০ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নিয়েছেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ।

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগর ও দেশের নদ-নদীতে ইলিশ ধরা শুরু করবেন জেলেরা।

রাজধানীর বাজারে আবারও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সরবরাহ ব্যাহতের অজুহাতে সবজি, মাছ, মাংস—সবকিছুর দামই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজি কেজিপ্রতি মূল্য ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঢাকার বাজারে আগাম শীতের সবজি উঠতে শুরু করেছে। তবে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেশ চড়া। আবার ভোজ্যতেলের বাজারও অস্থির। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে খোলা সয়াবিন ও সুপার পাম অয়েলে।

হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে মৎস্যজীবী আব্দুর রাজ্জাকের ইলিশজালে ধরা পড়ে বড় কাতল। মাছটি কিনতে বেশ কয়েকজন দরদাম করেন। পরে মাছটি স্থানীয় এক ব্যবসায়ি ১৪ হাজার ৬০০ টাকায় কিনে নেন।

সবজি ও মাছ-মাংসের দাম চড়া
মিরপুরের মাটিকাটা কাঁচাবাজারে দেখা হলো হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি এই বাজারে প্রায় ২৫ বছর ধরে মালামাল বহনের কাজ করেন। প্রতিদিন তাঁর আয় গড়ে ৫০০ টাকা। কিন্তু অন্যের বাজার বহন করলেও নিজের বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে।

বেশ কিছুদিন হলো নদীতে মাছ নেই বললেই চলে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টার দিকে সহযোগীদের নিয়ে ট্রালারে পদ্মায় মাছ শিকারে যান জীবন হালদার। ভোর ৪টার দিকে জাল ফেলে ৫টার দিকে তুলতেই ঢাঁই মাছটি ভেসে ওঠে। মাছটির ওজন ২২ কেজি ৬০০ গ্রাম।