leadT1ad

ময়মনসিংহে দীপু দাসের মরদেহ গাছে ঝোলানো যুবক গ্রেপ্তার

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
ময়মনসিংহ

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩৯
দিপু হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার যুবক নিবির ইসলাম অনিক। সংগৃহীত ছবি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিবির ইসলাম অনিক (২০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় তিনি দীপুর মরদেহ গাছে ঝুলিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পশ্চিম থানার চেরাগআলী এলাকা থেকে অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা (মধ্য ভাটিবাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার সময় ভালুকার একটি ফ্যাক্টরিতে নিটিং অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে ধর্ম অবমাননার অযুহাত তুলে ১৮ ডিসেম্বর ভালুকায় পোশাক শ্রমিক দীপু দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর রশি দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন তাঁর ছোট ভাই অপুচন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে ভালুকা থানায় একটি মামলা করেন। অনিকসহ ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভালুকা থানা-পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সাদা শার্ট পরিহিত এক যুবককে দীপু দাসের নিথর দেহ রশি দিয়ে বেঁধে টেনে গাছের ওপর তুলতে দেখে তারা। প্রযুক্তির সহায়তায় এতে জড়িত যুবক নিবির ইসলাম অনিক বলে শনাক্ত করে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই অনিক গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন। তাঁকে ধরতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালানো হয়। সর্বশেষ ঢাকার বনানী ও গাজীপুরের চেরাগআলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারী দল।

দিপুচন্দ্র দাসকে হত্যার পর গাছে ঝোলানো হয়। ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া
দিপুচন্দ্র দাসকে হত্যার পর গাছে ঝোলানো হয়। ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অনিক যে ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন, ঘটনার পর থেকেই তিনি সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তারের পর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠান বিচারক। তবে তাঁর রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে তদন্ত অব্যাহত আছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দিপু হত্যা মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার ১৮ জনের মধ্যে ১২ জনকে তিনদিন করে এবং বাকি ছয়জনকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ১২ আসামিকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৫ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত