স্ট্রিম প্রতিবেদক
মতিঝিলের পরিচিত ভবন সিটি সেন্টার। বিশাল এই ভবনের নিচে জড়ো হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। তাঁদের চেহারায় চিন্তার ছাপ। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তাঁরা সবাই বিভিন্ন এজেন্সির মালিক। ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে ব্যবসা করতেন। প্রতিষ্ঠানটি হাঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পড়েছেন বিপাকে। কোনো উপায় না পেয়ে ভিড় করেছেন ফ্লাইট এক্সপার্টের অফিসে।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে সরেজামিনে দেখা যায়, ফ্লাইট এক্সপার্টের প্রতারণার শিকার এজেন্সি মালিকেরা সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন নথি। কে কত টাকা হারিয়েছেন বা হারাতে যাচ্ছেন, সেসব নিয়েই কথা বলছেন তাঁরা।
ইউনিয়ন ট্রাভেলসের মালিক মুহাম্মদ স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা সবাই আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান পরিবহন সমিতির (আইএটিএ) সদস্য। আমরা সরাসরি এয়ারলাইনস থেকে টিকিট কিনতে পারি। সাত-আট বছর ধরে ফ্লাইট এক্সপার্ট যেটা করত, ১০০ টাকার টিকিট তারা ৯৫ টাকায় বিক্রি করত। কাস্টমারেরা এটা নিয়ে অভিযোগ করত। আমরা দাম কেন বেশি নিচ্ছি। ফলে আমরা মার্কেটে তাদের সঙ্গে কম্পিটিশন করতে পারতাম না। তাই বাধ্য হয়ে ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা করতে হইছে। তারা মার্কেট ডমিনেট করত সব সময়।’
মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘এখন মালিকপক্ষ পালিয়ে যাওয়াতে আমাদের অনেকের ২০-৩০ লাখ টাকা আটকে গেছে। হিসাব করে দেখলাম, আমার ৫০ লাখ টাকা আটকে আছে ফ্লাইট এক্সপার্টের কাছে। এখানে একজনকে পাইছি, যার ১ কোটি টাকার ওপরে আটকে গেছে। আর এখানে যারা আজ উপস্থিত হইছে, এরা সবাই ঢাকাকেন্দ্রিক। ঢাকার বাইরে প্রচুর লোক আছে।’
ভিসা এইড ট্রাভেলসের মালিক আজিজুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে বি টু বি কাজ করি। আমরা আগে জানতাম, ফ্লাইট এক্সপার্ট নিজে সব এয়ারলাইনসের কাছ থেকে টিকিট কেনে। কিন্তু গতকাল সকালে জানলাম, ফ্লাইট এক্সপার্ট আসলে নিজে কোনো টিকিট কেনে না। বরং অন্যান্য এজেন্সির মাধ্যমে সে এই কাজগুলো করে।’
আজিজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা একটা গ্যাপের মধ্যে পড়ে গেছি। আমরা অগ্রিম টাকা দিয়ে ফ্লাইট এক্সপার্ট থেকে টিকিট কিনি। কিন্তু এখন জানতে পারছি, ফ্লাইট এক্সপার্ট অন্য এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে বাকিতে টিকিট কিনত। ফলে আমাদের টাকাগুলো আটকে আছে ফ্লাইট এক্সপার্টের কাছে। আর যেসব টিকিট এখনো ভ্যালিড আছে, সেগুলোর রিফান্ড করে নিচ্ছে ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এজেন্সিগুলো। আমরা যত টাকা লসে পড়েছি, সেটা তো পাচ্ছিই না, উল্টো যেটা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেটাও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।’
আপনারা এখন কী চাচ্ছেন জানতে চাইলে আজিজ বলেন, ‘আমরা চাই এয়ারলাইনসগুলো যেন লাইভ টিকিটগুলো ক্যানসেল না করে। এই টিকিটের টাকাগুলো যেন রিফান্ড না করে। এটা করতে পারলেও আমরা অনেক ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবে।’
কাজী খালেদ মাহমুদ নামে আরেক ভুক্তোভোগী স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা ১৭ জন মিলে একটা মামলা করেছি। অনেকে আমাদের মাধ্যমে হোটেল বুকিংসহ হজ-ওমরার জন্যেও টিকিট করে রেখেছেন। অনেক বিদেশিরাও টিকিট ক্রয় করেছেন। এখন তাঁরা যদি এয়ারপোর্টে গিয়ে ফিরে আসে, তাহলে আমরা খুবই লজ্জায় পড়ে যাব। এটা শুধু আমাদের লজ্জা না, পুরো দেশের জন্য লজ্জা। আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশের বদনাম হবে।’
এর আগে শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাতে বিপুল সরকার নামে এক গ্রাহক মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন।
মতিঝিল থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মহায়মেনুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের এমডি সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম ও তাঁর বাবা এম এ রাশিদ, এজেন্সির হেড অব ফাইনান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।’
ওসি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ফ্লাইট এক্সপার্টের হেড অব ফাইনান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।’
মহায়মেনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তদন্ত জারি রেখেছি। আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মতিঝিলের পরিচিত ভবন সিটি সেন্টার। বিশাল এই ভবনের নিচে জড়ো হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। তাঁদের চেহারায় চিন্তার ছাপ। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তাঁরা সবাই বিভিন্ন এজেন্সির মালিক। ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে ব্যবসা করতেন। প্রতিষ্ঠানটি হাঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পড়েছেন বিপাকে। কোনো উপায় না পেয়ে ভিড় করেছেন ফ্লাইট এক্সপার্টের অফিসে।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে সরেজামিনে দেখা যায়, ফ্লাইট এক্সপার্টের প্রতারণার শিকার এজেন্সি মালিকেরা সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন নথি। কে কত টাকা হারিয়েছেন বা হারাতে যাচ্ছেন, সেসব নিয়েই কথা বলছেন তাঁরা।
ইউনিয়ন ট্রাভেলসের মালিক মুহাম্মদ স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা সবাই আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান পরিবহন সমিতির (আইএটিএ) সদস্য। আমরা সরাসরি এয়ারলাইনস থেকে টিকিট কিনতে পারি। সাত-আট বছর ধরে ফ্লাইট এক্সপার্ট যেটা করত, ১০০ টাকার টিকিট তারা ৯৫ টাকায় বিক্রি করত। কাস্টমারেরা এটা নিয়ে অভিযোগ করত। আমরা দাম কেন বেশি নিচ্ছি। ফলে আমরা মার্কেটে তাদের সঙ্গে কম্পিটিশন করতে পারতাম না। তাই বাধ্য হয়ে ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা করতে হইছে। তারা মার্কেট ডমিনেট করত সব সময়।’
মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘এখন মালিকপক্ষ পালিয়ে যাওয়াতে আমাদের অনেকের ২০-৩০ লাখ টাকা আটকে গেছে। হিসাব করে দেখলাম, আমার ৫০ লাখ টাকা আটকে আছে ফ্লাইট এক্সপার্টের কাছে। এখানে একজনকে পাইছি, যার ১ কোটি টাকার ওপরে আটকে গেছে। আর এখানে যারা আজ উপস্থিত হইছে, এরা সবাই ঢাকাকেন্দ্রিক। ঢাকার বাইরে প্রচুর লোক আছে।’
ভিসা এইড ট্রাভেলসের মালিক আজিজুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে বি টু বি কাজ করি। আমরা আগে জানতাম, ফ্লাইট এক্সপার্ট নিজে সব এয়ারলাইনসের কাছ থেকে টিকিট কেনে। কিন্তু গতকাল সকালে জানলাম, ফ্লাইট এক্সপার্ট আসলে নিজে কোনো টিকিট কেনে না। বরং অন্যান্য এজেন্সির মাধ্যমে সে এই কাজগুলো করে।’
আজিজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা একটা গ্যাপের মধ্যে পড়ে গেছি। আমরা অগ্রিম টাকা দিয়ে ফ্লাইট এক্সপার্ট থেকে টিকিট কিনি। কিন্তু এখন জানতে পারছি, ফ্লাইট এক্সপার্ট অন্য এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে বাকিতে টিকিট কিনত। ফলে আমাদের টাকাগুলো আটকে আছে ফ্লাইট এক্সপার্টের কাছে। আর যেসব টিকিট এখনো ভ্যালিড আছে, সেগুলোর রিফান্ড করে নিচ্ছে ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এজেন্সিগুলো। আমরা যত টাকা লসে পড়েছি, সেটা তো পাচ্ছিই না, উল্টো যেটা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেটাও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।’
আপনারা এখন কী চাচ্ছেন জানতে চাইলে আজিজ বলেন, ‘আমরা চাই এয়ারলাইনসগুলো যেন লাইভ টিকিটগুলো ক্যানসেল না করে। এই টিকিটের টাকাগুলো যেন রিফান্ড না করে। এটা করতে পারলেও আমরা অনেক ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবে।’
কাজী খালেদ মাহমুদ নামে আরেক ভুক্তোভোগী স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা ১৭ জন মিলে একটা মামলা করেছি। অনেকে আমাদের মাধ্যমে হোটেল বুকিংসহ হজ-ওমরার জন্যেও টিকিট করে রেখেছেন। অনেক বিদেশিরাও টিকিট ক্রয় করেছেন। এখন তাঁরা যদি এয়ারপোর্টে গিয়ে ফিরে আসে, তাহলে আমরা খুবই লজ্জায় পড়ে যাব। এটা শুধু আমাদের লজ্জা না, পুরো দেশের জন্য লজ্জা। আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশের বদনাম হবে।’
এর আগে শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাতে বিপুল সরকার নামে এক গ্রাহক মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন।
মতিঝিল থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মহায়মেনুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের এমডি সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম ও তাঁর বাবা এম এ রাশিদ, এজেন্সির হেড অব ফাইনান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।’
ওসি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ফ্লাইট এক্সপার্টের হেড অব ফাইনান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।’
মহায়মেনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তদন্ত জারি রেখেছি। আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত বিষয় ছিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। অভ্যুত্থানের পরপরই বিষয়টি করা না হলেও বছরের শেষ দিকে এসে বিষয়টি নিয়ে জোরালো হতে দেখা যায় অভ্যুত্থানের নেতাদের।
৫ ঘণ্টা আগেসাংবাদিকদের জন্য ২০২৫ সালের নির্বাচনের জন্য করা নীতিমালা অবিলম্বে স্থগিত ও সংশোধন না করলে নির্বাচনের কোনো কাভারেজ না দেওয়ার হুমকি দিয়েছে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)।
৫ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, চিঠি পাঠানোর মধ্য দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ইসিকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো।
৭ ঘণ্টা আগেজুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় কারাবন্দীর একটি তালিকা জুলাই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
৭ ঘণ্টা আগে