leadT1ad

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্লট দুর্নীতি

ওবায়দুল কাদের, সাবেক ১২ সচিবসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২৩
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লোগো। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য নির্মিত ফ্ল্যাট নিজেদের নামে বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক ১২ জন সচিবসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি ফ্ল্যাট আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা করা হয়।

মামলার বাদী ও দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলমের অনুসন্ধান শেষে জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব কামাল উদ্দীন আহমদ, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুল জলিল, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, সাবেক সিএএজি ও সোনালী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সংসদবিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক মিজ জুয়েনা আজিজ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সাবেক সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

দুদক সূত্র জানা যায় , বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করে। কিন্তু গেজেটে উল্লিখিত উদ্দেশ্যের বাইরে গিয়ে সরকারি কর্মচারীদের আবাসনের জন্য এই জমিতে ভবন নির্মাণ করা হয় এবং ৯৯ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি লিজ দেওয়া হয়।

স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন-২০১৭ অনুযায়ী, এ ধরনের কাজের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন থাকলেও সেতু কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি। এ ছাড়া সেতু কর্তৃপক্ষের ১০৬তম ও ১০৭তম বোর্ড সভায় ‘বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর ও প্রকল্পের স্থায়ী কর্মচারীদের জন্য নির্মিতব্য ফ্ল্যাট দীর্ঘমেয়াদি লিজ প্রদানসংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৮’ অনুমোদন করা হয়, যা আইনবহির্ভূত বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

দুদক জানায়, সেতু কর্তৃপক্ষের আইনে নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এভাবে ফ্ল্যাট নির্মাণ করে স্থায়ী ইজারা দেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নেওয়া একটি প্রকল্প।

Ad 300x250

সম্পর্কিত