ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সংস্কার, একচেটিয়া সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ এবং মোবাইল ফোনের উন্মুক্ত আমদানির সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা থেকে বসুন্ধরা সিটি মার্কেট পর্যন্ত মানববন্ধন করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) আহ্বানে দেশব্যাপী এই কর্মসূচি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
মানববন্ধনে এমবিসিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, রাজধানীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মীরা অংশ নিয়েছেন। মানববন্ধনের এক পর্যায়ে তারা সার্কফোয়ারা চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেন। তবে সড়কে যান চলাচল কোনো বাধা দেননি আন্দোলনকারীরা। যদিও যত্রতত্র চলাফেরার কারণে যানবাহনে ধীরগতি দেখা যায়। এসময় আশপাশের সড়কগুলোতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, আজ সকাল ১০টা থেকে কারওয়ান বাজার-পান্থপথ এলাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছে। একই সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমেছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের মোট মোবাইল ফোন বাজারের ৭০ শতাংশের বেশি যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এনইআইআর কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে মোবাইল ব্যবসায়ীরা। স্ট্রিম ছবিতাঁরা জানান, এনইআইআর-এর বিরুদ্ধে নয় ব্যবসায়ীরা; বরং প্রক্রিয়ার যৌক্তিক সংস্কার, কর কাঠামোর সামঞ্জস্য, একচেটিয়া সিন্ডিকেট ভাঙা এবং সবার জন্য সমান ব্যবসায়িক সুযোগ নিশ্চিত করাই তাঁদের দাবি।
বক্তাদের অভিযোগ, অধিকাংশ খুচরা ব্যবসায়ীর মতামত না নিয়েই একতরফাভাবে এনইআইআর চালুর প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, অনিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবহার রোধ ও টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি চালু হলে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া বা আমদানি অননুমোদিত ফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ হবে বলেও প্রত্যাশা করা হচ্ছে।