leadT1ad

আরও হেলে পড়েছে ধামরাইয়ের সেই ভবন

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা)

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৬
হেলেপড়া ভবন। স্ট্রিম ছবি

ঢাকার ধামরাইয়ে গত বছর হেলে পড়া চারতলা করিডরের ভবনটি এবার ভূমিকম্পের জেরে আরও কাত হয়ে গেছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে হঠাৎ করেই ওই ভবনের একাংশ পাশের সাততলা ভবনের ওপর হেলে পড়ে। এরপর ঘটনাটি রাতারাতি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর পরপরই ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা এলাকায় ধানসিঁড়ি হাউজিং প্রকল্পের ভেতরে মো. জিয়াউদ্দিনের বাড়ির চারতলা করিডর ভবনটি আবারও পাশের ভবনের ওপর হেলে পড়ার খবর পাওয়া যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধানসিঁড়ি হাউজিং প্রকল্পে পাশাপাশি দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দুটি ভবনের মাঝের ১০ ফুট জায়গায় করিডরের মতো আরেকটি চারতলা ভবন তোলা হয়েছে, যার ভেতর দিয়েই পেছনের মূল ভবনে প্রবেশ করতে হয়। করিডরের এই অংশটিই পাশের সাততলা ভবনের ওপর হেলে পড়েছে।

ভবনে ঢুকে দেখা যায়, করিডরের তৃতীয় তলার অংশটি পাশের ছয়তলা ভবনের ওপর হেলে রয়েছে। তিন তলার বারান্দার রেলিংয়ের ইটের গাঁথুনি ফেটে গেছে। তবে করিডরের অন্য কোথাও কোনো ক্ষতি দেখা যায়নি। করিডর দিয়ে ভেতরের চারতলা ভবনতেও বড় কোনো ক্ষতির চিত্র মেলেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, ‘ভবনটি যে ঝুঁকিপূর্ণ, তা আগেও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আমরা ঝুঁকিতে আছি, যেকোনো সময় ভবনটি ধসে যেতে পারে। আজকের ভূমিকম্পে আরও বেশি ঝুঁকে গেছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা হলে প্রশাসনকে দায় নিতে হবে।’

আরমান হোসেন বলেন, ‘আগেই ভবনটি হেলে পড়েছিল। আজকে আরও বেশি কাত হয়ে গেছে। চলাফেরা করতেও ভয় লাগছে। নিজেদের ভবনের চেয়ে বেশি চিন্তা হচ্ছে ওটা ভেঙে পড়ে কিনা। এসে দেখি ভবনটি পাশের ভবনের সঙ্গে প্রায় ছুঁয়ে গেছে। আগে এ নিয়ে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

ভবনের মালিকপক্ষ জানায়, ওই প্লটে ছয়তলা ভবন করার অনুমতি ছিল। পরে মালিক জায়গাটি দুটি প্লটে বিক্রি করেন। এর মধ্যে চার শতাংশ কিনে মো. রফিক তিনতলা ভবন তোলেন। দুই শতাংশ কিনে মো. জিয়াউদ্দিন চারতলা ভবন নির্মাণ করেন। এরপর তিনতলা ও ছয়তলা ভবনের মাঝখানে সড়কের মতো ১০ ফুট চওড়া ও প্রায় ৪২ ফুট লম্বা জমি কিনে সেখানে আরেকটি করিডরের মতো চারতলা সংযুক্ত ভবন নির্মাণ করেন তিনি।

মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘সামনের সামান্য অংশ দুই বছর আগে একটু ফাটল ধরেছে। কারণ পাশের বাড়িটি আমার জমির পাশে কোনো জায়গা না রেখেই তৈরি করেছে। তারা এক ইঞ্চি জায়গাও রাখেনি। সামনের অংশ পরিত্যক্ত, কোনো ভাড়াটিয়া নেই। ভেতরে সেটাই বাড়ির রাস্তা। আজকের ভূমিকম্পে একটুও হেলেনি। সামনের অংশ কিছু দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলব।’

এ বিষয়ে ধামরাই পৌরসভার সচিব গোলাম নবী বলেন, ভবনটির বিষয়ে তিনি শুনেছেন। পৌরসভার কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত