
.png)

ভূমিকম্প-সহনশীল ভবন নির্মাণের পাঁচ পরামর্শ দিচ্ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান।

ভূমিকম্প মোকাবিলায় সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না, তবে কোনো অবৈজ্ঞানিক পদক্ষেপও নেবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের লিখিত পরামর্শ চেয়েছেন ও সে অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স

সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে সেখানে পাঠদান বন্ধ রেখে বিকল্প ব্যবস্থা বা প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস চালুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নরসিংদীর পলাশে ভূমিকম্পের আতঙ্ক এখনো কাটেনি। রোববার রাতজুড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শতশত মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা মাঠ, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঈদগাহে আশ্রয় নিয়ে কাটান। ভূমিকম্প আবার হতে পারে—এমন গুজবে শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।

ভূমিকম্পে করণীয় কী? ব্যাখ্যা করেছেন বুয়েটের ড. রাকিব আহসান

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি পরবর্তী গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির সেই সেফটি মডেল কীভাবে আমরা আমাদের বাসাবাড়িতে অ্যাপ্লাই করতে পারি? আজকে চলুন জেনে নেই এমন কিছু গুড প্র্যাকটিস সমন্ধে যেগুলো ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আমাদের একটু হলেও সহায়তা করতে পারে।

মাত্র ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার নরসিংদীর মাধবদী থেকে সরে গাজীপুরের বাইপাইলে, এবং সেখান থেকে একেবারে ঢাকার বাড্ডার দিকে চলে এসেছে।

যেকোনো দুর্যোগই (বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা ভূমিকম্প) মানুষের জীবনকে সংখ্যায় পর্যবসিত করে। কিন্তু সাম্প্রতিক এই ভূমিকম্প সেই সংখ্যায়ও যেন এক ভয়ংকর বিভাজন রেখা টেনে দিল। সেই বিভাজনের নাম—প্রাপ্তবয়স্ক বনাম অপ্রাপ্তবয়স্ক, সচেতন বনাম অসহায়, রাজনৈতিক উপযোগিতা বনাম অনুপযোগিতা।

ভূমিকম্প শব্দটি আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। বাংলার ইতিহাসে বড় ভূমিকম্পগুলোর প্রভাব শুধু প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতিতে সীমাবদ্ধ ছিল না। ভূমিকম্পে নদীও তার পুরোনো পথ ছেড়ে নতুন পথ খুঁজে নিয়েছে।

ভূমিকম্পের পর আমাদের নিউজফিড ভরে গেছে ঘর এবং অফিসের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে। ফ্যান দুলছে, আসবাবপত্র নড়ছে, বাচ্চারা ভয়ে কুঁকড়ে আছে কিংবা অফিসের কর্মীরা আতঙ্কে দৌড়ে পালাচ্ছে। আচ্ছা, এই ফুটেজগুলো আমরা কেন শেয়ার করি?

একবিংশ শতাব্দীতে তথ্য আলোর গতিতে ছুটলেও ভূকম্পন তরঙ্গের বেগ শব্দে। এই দুই গতির মধ্যবর্তী যে নগণ্য সময়ের ব্যবধান, সেখানেই লুকিয়ে থাকে হাজারো মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন। ভূমিকম্পের অন্যতম জটিল ফল্ট লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশে, কম্পন অনুভূত হওয়া মাত্র সচেতন মানুষ স্মার্টফোনে তিনটি উৎসে ঢু মারেন।

দুই দিনে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে রাজধানীতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্প দুইটির প্রথমটির উৎপত্তিস্থল রাজধানীর বাড্ডায়। যার রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭ এবং অন্যটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীতে যার রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩।

ঢাকার খুব কাছে মধুপুর ফল্ট লাইনের অবস্থান। যে কারণে ঢাকা শহর নিশ্চিতভাবে ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার (২১ নভেম্বর) যে ফল্ট থেকে ভূকম্পন হয়েছে, সেটির অবস্থান নরসিংদীতে। রিখটার স্কেলে এটির মাত্রা ছিল সকালে ৫ দশমিক ৫।

রাজধানী ঢাকায় গত ৩২ ঘণ্টায় চারটি ভূমিকম্প নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। নরসিংদীর মাধবদীতে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের পর আরও তিনটি কম্পন—সবকটির উৎপত্তি দেশের ভেতরেই। এতে মানুষের মৃত্যু, হতাহত ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি আবার আলোচনায় এসেছে।

দুই দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশে চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এতে ১০ জনের প্রাণহানির সঙ্গে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। বহু ভবন ও সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে সামনে আসছে ভূকম্পন সহনীয় ভবন নির্মাণ।

রাজধানীতে দুই দিনের মধ্যে চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল রোববার (২৩ নভেম্বর) সব ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখার তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক ফররুখ মাহমুদ।