জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। রবিবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)– এর ‘ডিক্যাব টক’-এ একথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য আমার কাছে নেই। আমরা জানি, তিনি (আসাদুজ্জামান খান কামাল) সেখানে (ভারতে) আছেন। কিন্তু লিখিতভাবে কখনো আমাদের সেটা জানানো হয়নি। তাঁকে দিয়ে যে ওখান থেকে প্রত্যর্পণ শুরু হবে– এমনও কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’
গত ২৮ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাই গণহত্যার মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধ খতিয়ে দেখছে ভারত। সেই প্রত্যর্পণের শুরুটা হবে কামালকে দিয়ে। ফেসবুকে প্রেস সচিব লেখেন, তিনি বিশ্বাস করেন, জুলাইয়ের ঘটনাবলীর অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে একদিন বাংলাদেশের আদালতের মুখোমুখি হতে হবে। ভারত এরই মধ্যে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ পরীক্ষা করছে।
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, ঢাকার কসাই আসাদুজ্জামান খান কামালকে শিগগির বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ করা হবে। হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনকালে সংঘটিত কথিত অপরাধের ওপর যত আলোকপাত করা হবে, গণহত্যা ও জোরপূর্বক গুমের ব্যাপারে কামালের ভূমিকা সম্ভবত বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।’
প্রেস সচিব যে বিষয়ে বললেন, আপনি (পররাষ্ট্র উপদেষ্টা) সে বিষয়ে কিছুই জানেন না– সরকারের মধ্যে সমন্বয়হীনতা কিনা জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমন্বয়ের অভাব বা এই ইস্যুতে সমন্বয়ের অভাব, এটা কিছুটা হয়। বিশেষ করে আমাদের... মানে অনেকেই যে বিষয়ে তাঁর কথা বলা উচিত না, সেটা বলে বসেন অনেক সময়। এটা হয় কখনো কখনো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে পুরো বিষয়ে সবাই কনসার্নড। অনেকে মনে করেন, আমি এই জিনিসটা জানি, এটা একটু বলি। এটা হয়। তো এটা নিয়ে এত বেশি বিচলিত আমার মনে হয় আমাদের না হওয়াই ভালো। অফিসিয়াল তথ্য নেই; আসলে কামালের রিটার্নের ব্যাপারে আমার কাছে অফিসিয়াল কোনো তথ্য নেই।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মইনুদ্দিন। বক্তৃতা রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।