leadT1ad

‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ায় রুমিনসহ ৯ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি

রুমিন ফারহানা। সংগৃহীত ছবি

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করার অভিযোগ এনে নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাসহ ৯ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বহিষ্কার করা অন্য নেতা হলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহ আলম, হাসান মামুন, আব্দুল খালেক, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তরুণ দে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রশিদ ওরফে চাকসু মামুন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ।

(উপরে বাম থেকে) রুমিন ফারহানা, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহ আলম ও হাসান মামুন এবং (নিচে বাম থেকে) আব্দুল খালেক, তরুণ দে, সাইফুল আলম নীরব, মামুনুর রশিদ (চাকসু মামুন) ও মেহেদী হাসান পলাশ। ছবি সংগৃহীত
(উপরে বাম থেকে) রুমিন ফারহানা, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহ আলম ও হাসান মামুন এবং (নিচে বাম থেকে) আব্দুল খালেক, তরুণ দে, সাইফুল আলম নীরব, মামুনুর রশিদ (চাকসু মামুন) ও মেহেদী হাসান পলাশ। ছবি সংগৃহীত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এসব নেতার বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

রুমিন ফারহানা, সাইফুল আলম নীরব, হাসান মামুন, চাকসু মামুন– চারজনই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। রুমিন ফারহানার এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মিত্র জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে জোটের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি।

সাইফুল আলম নীরবকে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-১২ আসনের জন্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছিল বিএনপি। পরে আরেক জোট শরিক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে আসনটি ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন নীরব।

হাসান মামুনের এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে বিএনপি জোটের প্রার্থী হয়েছেন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তবে সেখানে হাসান মামুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মামুনুর রশিদ ওরফে চাকসু মামুন। আসনটি জোট শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুককে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনটি গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির জন্য ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এখানে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত